মহম্মদ শামির কথা প্রথমে তুললেন জেমাইমা। রোহিতের কাছে জেমাইমার প্রশ্ন ছিল, নেটে কোন বোলারকে ভয় লাগে? আর তার উত্তরে কিছু না ভেবেই রোহিতের মুখ থেকে শামির নামটাই বেরিয়ে আসে। মহম্মদ শামির বোলিংয়ে নেটে প্র্যাকটিস করতে রীতিমতো গোত্তা খেতে হয়, ঠিক এই কথাই বলছিলেন হিটম্যান। দুর্ধর্ষ সিম মুভমেন্ট আর তার সঙ্গে দুরন্ত গতি– শামির বোলিংয়ে নেট প্র্যাকটিস সত্যিই একটু কষ্টসাধ্য। শুধু রোহিত কেন! যে কোনও ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রেই তা যে কোনও মুহূর্তে ভয়ংকর।
আর ঠিক তার পরক্ষণেই মান্ধানা জুড়লেন যে, কী ভাবে তাঁর পক্ষে নেটে শামির বল সামলানো একপ্রকার দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিল। এমনকী শামির বলে রীতিমতো আহতও হয়েছিলেন স্মৃতি মান্ধানা।
কথা দিয়েছিলেন শামি। যে গতিতে তিনি বিপক্ষ দলের বোলারদের বল করে থাকেন সচরাচর, সেই গতিতে কখনই স্মৃতিকে বল করবেন না! কিন্তু শামির বল যেন দেখতেই পাচ্ছিলেন না স্মৃতি। বল এসে সজোরে লেগেছিল মান্ধানার উরুতে।

তাঁর কথায়, “আমার একবার শামি ভাইয়ার সঙ্গে নেটে প্র্যাকটিস করার কথা মনে আছে। ১২০ এমপিএইচ গতিতে বল করছিলেন, আর আমাকে বলেছিলেন, গায়ে লাগবে না নিশ্চিন্তে খেলতে পারো। প্রথম দুটো বল তো খেলতেই পারিই। অতো গতির বল খেলার অভ্যাস আমার নেই। তৃতীয় বলটা সোজা এসে লেগেছিল আমার থাইয়ে। এক লহমায় আমার থাইয়ের রং কালো, নীল, তারপরে সবুজ হয়ে গেল। কমপক্ষে ১০ দিনের জন্য ফুলে গিয়েছিল আমার থাই।”
আরও পড়ুন: ইরফান ক্লিন বোল্ড করেছিলেন মহারাজ সৌরভকে! জানেন?
তারপরই রোহিত বললেন বুমরাহের থেকেও তাঁর কাছে কঠিনতর বোলার হচ্ছেন শামি। কারণ হিসেবে রোহিত বলছেন, শামির বল এসে ব্যাটসম্যানের শরীরের যে কোনও অংশে আঘাত হানতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতকে টপকে ICC শীর্ষে অজিরা, T20 তালিকার বাইরে পাকিস্তান!
“২০১৩ সাল থেকে আমি আর শামি একসঙ্গে ক্রিকেট খেলছি। তবে হ্যাঁ এই মুহূর্তে শামি আর বুমরাহের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে, কে কত জোরে বল করতে পারে, আর কে কত হেলমেটে আঘাত হানতে পারে!” যোগ করলেন রোহিত শর্মা।
YouTube এ সকল অ্যাসাইনমেন্টের সমধান পেতে আমাদের অফিসিয়াল YouTube চ্যানেলটিতে এখনি সাবস্ক্রাইব করো।
আমাদের চ্যানেলঃ 10 Minute Madrasah
প্রশ্ন প্রকাশ হলে সবগুলো বিষয়ের উত্তর দেওয়া হবে। তাই তোমরা পেজটি সেভ বা বুকমার্ক করে রাখো।
আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজে যুক্ত থাকো