লখনউ : করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশের প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই বায়ুসেনার চপার হঠাৎ দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের বাগপতের ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের ওপর। না, করোনা মোকাবিলার উদ্দ্যেশ্যে নয়। ভারতীয় বায়ু সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছিল হেলিকপ্টার চিতা।
বৃহস্পতিবার সকালে বাগপতের এই ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে উড়ানের কিছু পরেই কপ্টারটিতে সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাধ্য হয়ে পাইলট কপ্টারটির অবতরণ করান। পরে চিতা কপ্টারটিকে হিন্দোন এয়ারবেসে ফেরত পাঠানো হয়। সূত্রের খবর এই হেলিকপ্টার অন্যন্য চপারের তুলনায় অনেকটাই হালকা ও একটি অত্যন্ত উচ্চ-পারফরম্যান্স হেলিকপ্টার৷ যার ফলে এই হেলিকপ্টারে নিয়ন্ত্রন রাখা অনেকটাই সহজ। এটি অনেকটা ওজন বহন করতে সক্ষম।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জম্মুর রিয়াসি জেলায় ভেঙে পড়ে চিতা হেলিকপ্টার। কপ্টারটিতে দুজন পাইলট ছিলেন। ভেঙে পড়ার আগে দুজনেই কপ্টারটি থেকে কোনওক্রমে বেরিয়ে আসেন।
এর আগে, করোনা রুখতে ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে মালদ্বীপের দিকে উড়ে যায় এয়ারক্রাফট C-130J। ২১ দিনের জন্য গোটা দেশ লকডাউন হয়ে যাওয়ার ফলে সাধারণ ভাবে মালদ্বীপে করোনার সামগ্রী পৌঁছে দিতে না পারার কারণেই এই এয়ার লিফটের সিদ্ধান্ত।
করোনা মোকাবিলায় ভারত যে মালদ্বীপের পাশে আছে তা বোঝাতেই এই এয়ার লিফট করল বায়ুসেনা। সরকারি তরফে এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, করোনার বিরুদ্ধে লড়তে সমস্ত প্রতিবেশী দেশের পাশে আছে ভারত।
যে সামগ্রী ভারত পাঠাল, তা দেশের আটটি উতপাদন সংস্থা তৈরি করেছে বলে জানা গিয়েছে। মোট ৬.২ টন সামগ্রী পাঠানো হয়েছে মালদ্বীপে। ভারতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর মালদ্বীপই প্রথম দেশ, যারা প্রয়োজনীয় ওষুধ পেল ভারতের কাছ থেকে।
মালদ্বীপের সরকারের অনুরোধে, আইএএফ বিমানটি অপারেশন ‘সঞ্জীবনী’ চালু করে। মালদ্বীপ যাওয়ার আগে নয়াদিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই এবং মাদুরাইয়ের বিমানবন্দরগুলি থেকে এই ওষুধগুলি তুলে নেয় এয়ারক্রাফট C-130J
YouTube এ সকল অ্যাসাইনমেন্টের সমধান পেতে আমাদের অফিসিয়াল YouTube চ্যানেলটিতে এখনি সাবস্ক্রাইব করো।
আমাদের চ্যানেলঃ 10 Minute Madrasah
প্রশ্ন প্রকাশ হলে সবগুলো বিষয়ের উত্তর দেওয়া হবে। তাই তোমরা পেজটি সেভ বা বুকমার্ক করে রাখো।
আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজে যুক্ত থাকো