Table of Contents (সূচিপত্র)
নারীদের রোজা সম্পর্কিত জরুরী মাসআলা মাসায়েল – মহিলাদের রোজা
রোজা সম্পর্কে নারীদের অনেক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আজকে এই পোস্ট আশাকরি আপনাদের অনেক ভাল লাগবে । তাহলে আর দেরি কেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলূন ।
গর্ভাবস্থায় রোজা
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে যদি কোনো মুসলমান পরহেজগার অভিজ্ঞ ডাক্তার বলেন, রোজা রাখলে তার নিজের বা গর্ভের বাচ্চার প্রাণনাশের বা মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাহলে সেই নারী রোজা নাও রাখতে পারেন। পরে শুধু কাজা করে নিলেই হবে।
স্তন্যদানকারিনীর রোজা- নারীদের রোজা
স্তন্যদানকারিনীর রোজার বিষয়টিও অনেকটাই অন্তঃসত্ত্বার রোজার মতো। অর্থাৎ স্তন্যদানকারিনী যদি নিজে রোজা রাখলে দুগ্ধপোষ্য শিশুর প্রাণনাশ বা অন্য কোনো মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে তাহলে তিনি রোজা না রাখতে পারেন। পরে কাযা করে নিতে হবে।
ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রেখে রোজা
মহিলাদের পিরিয়ড হওয়াটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আল্লাহ তায়ালা তাদের এভাবেই সৃষ্টি করেছেন। এতে তাদের কোনো দোষত্র“টি নেই। পিরিয়ড অবস্থায় নামাজ মাফ। আর রোজা পিরিয়ড অবস্থায় রাখা নিষেধ। এ রোজা না রাখায় তাদের কোনো গোনাহ নেই। তবে পরে তা কাজা করতে হয়। এজন্য রমজান মাসে পিরিয়ড হলে তা নিয়ে মনঃক্ষুণœ হওয়ার কোনো যুক্তি নেই। তবে কেউ যদি শুরু হওয়ার আগেই ওষুধ-বড়ি খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখেন তবে সে রোজা সহিহ হয়ে যাবে। ফলে তা আর পরে কাজা করতে হবে না। (শামী ১/৫০৮, আলমগীরি ১/৩৮, বাদায়ে ১/৩৯, ফাতহুল কাদির ১/১৪৫, আপকে মাসায়েল ৩/২০৭)।
রমজানের মাসয়ালা মাসায়েল সকল ভিডিও দেখুন
লিপস্টিক বা লিপজেল -মহিলাদের রোজা
রোজা অবস্থায় নারীরা লিপস্টিক বা লিপজেল ব্যবহার করতে পারবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন মুখে চলে না যায়। যদি মুখে চলে যায়, তবে রোজা মাকরুহ হবে। গলায় স্বাদ অনুভব হলে রোজা ভেঙে যাবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া ৩/৩৯৮)
রান্নার লবণ ও বিভিন্ন অবস্থা পরীক্ষা – জরুরী মাসআলা মাসায়েল
নারীরা রান্না করার লবণ ও বিভিন্ন অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য জিহ্বার মাধ্যমে তরকারির স্বাদ নিলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। (আল ফেকহুল মুয়াসসার, বেহেশতি জেওর)।
পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকা – জরুরী মাসআলা মাসায়েল
أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ﴿البقرة: ١٨٧﴾
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে,
তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত।
নারীদের রোজা সম্পর্কিত জরুরী মাসআলা
যদি হায়েজ শুরু বা সন্তান প্রসব হয়- নারীদের রোজা
পবিত্র অবস্থায় রোজা রাখার পর যদি হায়েজ শুরু হয় বা সন্তান প্রসব হয়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং পরে তা কাজা করতে হবে। চাই সেটা ফরজ বা নফল রোজা হোক।
স্বামীর অনুমতি ব্যতীত রোজা – মহিলাদের রোজা
মহিলারা রমজান ছাড়া স্বামীর অনুমতি ব্যতীত রোজা রাখবে না। (তিরমিজি : হাদির নম্বর ৭৮২)
যে মেয়ে বালেগ হয়েছে
যে মেয়ে বালেগ হয়েছে অথচ লজ্জার কারণে প্রকাশ করে না এবং রোজাও রাখে না। তাহলে তার ওপর তাওবা ও ছুটে যাওয়া রোজার কাজা করা ওয়াজিব।
হায়েজের রক্ত – নারীদের রোজা
মহিলা যদি নিজের অভ্যাস অনুযায়ী বুঝতে পারে যে আগামীকাল তার হায়েজ জারি হবে। তাহলেও সে রোজা ভাঙবে না। যতক্ষণ না সে তার হায়েজের রক্ত দেখতে পায়। (আপকে মাসায়েল : খ. ৩, পৃ. ২৭৮)
তারাবির নামাজ ২০ না ৮ রাকাত? কোনটি পড়বেন?
কসিদায়ে বুরদা শরীফ ইমাম বুসিরী (রহঃ) এর কবিতা
করোনা ভাইরাস: আমাদের করনীয় ও বর্জনীয়
সূরা ফাতেহার বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ | সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ
হায়েজওয়ালা মহিলা যদি সূর্য হেলার আগেই পাক হয়ে যায়
হায়েজওয়ালা মহিলা যদি সূর্য হেলার আগেই পাক হয়ে যায় এবং রোজার নিয়ত করে, তাহলে তার ফরজ আদায় হবে না। (শামি : খ. ৩, পৃষ্ঠা : ৩৮৫) মহিলা যদি নিজের হায়েজের আর্দ্রতা তথা পবিত্রতার নিদর্শন দেখতে পায়। যার দ্বারা বুঝতে পারে যে সে এখন পাক হতে যাচ্ছে। তাহলে রাতেই রোজার নিয়ত করবে। আর যদি পবিত্রতার নিদর্শন না দেখা যায়, তাহলে ভেতরে তুলা লাগিয়ে দেবে। যদি পরিষ্কার থাকে, তাহলে রোজা রাখবে। যদি দ্বিতীয়বার হায়েজের রক্ত এসে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে ফেলবে।
স্বামী-স্ত্রীতে যৌনকার্য সংঘটিত হলে
যে মহিলার উপর রোজা ফরয হয়েছে, তার সম্মতিতে রমজানের দিনে স্বামী-স্ত্রীতে যৌনকার্য সংঘটিত হলে, উভয়ের উপর একই হুকুম কার্যকরী হবে (ক্বাযা করতে হবে ও কাফ্ফারা দিতে হবে)। আর স্বামী যদি জোর করে সহবাস করে তাহলে স্ত্রী শুধু ক্বাযা আদায় করবে, কাফ্ফারা দিতে হবে না। তবে স্বামীকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে। যে সব পুরুষ লোক নিজেদেরকে সংযত রাখতে পারে না, তাদের স্ত্রীদের উচিত দুরে দুরে থাকা এবং রমজান দিবসে সাজ-সজ্জা না করা।
নারীদের রোজা সম্পর্কিত জরুরী মাসআলা মাসায়েল
মলদ্বার দিয়ে কোনো ওষুধ
মলদ্বার দিয়ে কোনো ওষুধ ভেতরে প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে।- মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিক্হিল ইসলামী, দশম সংখ্যা ২/৩৬৫,আলমাওসূআতুত তিব্বিয়া ৬২৪, যাবিতুল মুফাত্ তিরাত ১৭৪ .
হায়েজা মহিলাদের ইবাদত- জরুরী মাসআলা মাসায়েল
বিসমিল্লহির রাহমানির রাহিম ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলতে কোনো অসুবিধা নেই।
বর্তন, পিরিচ অথবা কাগজের উপর যদি শুধু কুরআনের আয়াত লিখা থাকে, তাতে হাত লাগানো যাবে না, তবে পৃথক কোনো কাপড় দিয়ে তা ধরা যাবে।
হায়েজা মহিলা বাচ্চাদেরকে কুরআন শরীফ বানান করে শিক্ষা দিতে পারবে। তবে রিডিং পড়ানোর সময় ১ শ্বাসে পূর্ণ ১ আয়াত পড়াতে পারবেনা বরং শ্বাস ভেঙ্গে ১-২ শব্দ করে পড়াতে হবে।
মহিলাদের রোজা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু মাসয়ালা
রোজা অবস্থায় রক্ত দেওয়া নেওয়া
রোজা অবস্থায় রক্ত দেওয়া-নেওয়া দুটোই জায়েয। এর কারণে রোজা ভাঙবে না । তাই রোজা অবস্থায় ডায়ালাইসিস করা যাবে।এর দ্বারা রোজা ভাঙবে না।- ফিকহুন নাওয়াযিল ২/৩০০ .
নাকে ড্রপ, স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহারের পর – জরুরী মাসআলা মাসায়েল
নাকে ড্রপ, স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহারের পর তা যদি গলার ভেতরে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। অবশ্য গলায় না গেলে বা গলায় স্বাদ অনুভূত না হলে রোজা ভেঙে যাবে না । – মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিক্হিল ইসলামী, দশ্ম সংখ্যা ২/৪৫৪., আলমাওসূআতুত তিব্বিয়া আলফিক্হিয়া ৬২৪
রোজা অবস্থায় বিমানে পশ্চিম দিক সফর
রোজা অবস্থায় বিমানে পশ্চিম দিক সফর করার কারণে দিন বড় হয়ে যায়, তাহলেও (বিমানে বা জমিনে যেখানেই হোক তার অবস্থান স্থলে) যখন সূর্যাস্ত হবে তখনই তার ইফতারের সময় হবে। এর আগে ইফতার করা বৈধ হবে না। অবশ্য দিন বেশি বড় হয়ে যাওয়ার কারণে রোজা রাখা যদি অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে যায়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি আছে। তবে পরবর্তী সময়ে রোজাটি কাযা করে নিতে হবে।
মহিলাদের এতেকাফ
হজরত মুহাম্মদ সা. এর সহধর্মিণীরা এতেকাফ করতেন। হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হজরত নবী করিম (সা.) তার ইন্তেকাল পর্যন্ত রমজানের শেষ ১০ দিন এতেকাফ করতেন। অতঃপর তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর স্ত্রীরা এতেকাফ করেছেন। (বুখারি, হাদিস নং ২০২৬)
নারীদের এতেকাফের নিয়ম
নারীরা ঘরের নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের জন্য নির্ধারিত স্থানে এতেকাফ করবেন। যদি পূর্ব থেকে ঘরে নামাজের জন্য এমন কোনো স্থান নির্ধারিত না থাকে তাহলে এতেকাফের জন্য একটি স্থান নির্ধারিত করে সেখানেই এতেকাফ করবেন। (মাবসূত, সারাখসী ৩/১১৯; আলবিনায়াহ ৪/৩৮৬; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৭৯; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/২২৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১১; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৪১)
রমজানের শেষ দশকের এতেকাফ পুরুষের জন্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া হলেও নারীদের জন্য তা মুস্তাহাব।
মহিলাদের রোজা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু মাসয়ালা
বিবাহিত নারীদের এতেকাফ
বিবাহিতা মহিলারা রমজানের শেষ দশকের এতেকাফ বা অন্য সময়ের নফল এতেকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। বিবাহিতা মহিলা স্বামীর অনুমতি ছাড়া এতেকাফ করা অনুচিত। স্বামীর অনুমতি নিয়ে মহিলারা এতেকাফ করতে পারবেন। আর স্বামীদের উচিত যুক্তিসঙ্গত, গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া স্ত্রীদের এতেকাফ বারণ না করা, তাদের এতেকাফের সওয়াব থেকে বঞ্চিত না করা। (বাদায়ে ২/২৭৪।
স্বামী স্ত্রীকে এতেকাফের জন্য অনুমতি দেয়ার পর তাকে আর এতেকাফে বাধা দিতে পারবে না। যদি বাধা দেয় তাহলে সে বাধা মানা স্ত্রীর কর্তব্য নয়। (শামী ৩/৪২৯, আলমগীরি ১/২১১)।
এতেকাফ অবস্থায় স্বামী স্ত্রীর মিলন
এতেকাফ অবস্থায় দিন-রাতে কোনো সময়ই স্বামী-স্ত্রী মেলামেশা করা যাবে না। করলে এতেকাফ ভেঙ্গে যাবে। (সূরা বাকারা আয়াত ১৮৭, বাদায়ে ২/২৮৫, শামী ৩/৪৪২, হেদায়া ১/২৩১)।
স্বামী স্ত্রীকে এতেকাফের জন্য অনুমতি দেয়ার পর তার সঙ্গে সহবাস করতে পারবে না। (শামী, ৩/৪২৯)।
পিরিয়ডের সময় এতেকাফ নয় – মহিলাদের রোজা
মহিলাদের এতেকাফের জন্য হায়েজ, নেফাস থেকে পবিত্র হওয়া শর্ত। হায়েজ নেফাসের অবস্থায় এতেকাফ সহি হয় না। (বাদায়ে ২/২৭৪, আলমগীরি ১/২১১, শামী ৩/৪৩০)।
মহিলাদের সুন্নাত এতেকাফে বসার আগেই হায়েজ-নেফাসের দিন-তারিখের হিসাব-নিকাশ করে বসাই উচিত। যাতে এতেকাফ শুরু করার পর হায়েজ পিরিয়ড শুরু হয়ে না যায়। তবে কারও যদি রমজানের শেষ দশকে হায়েজ হওয়ার নিয়ম থাকে তাহলে তিনি হায়েজ শুরু হওয়া পর্যন্ত নফল এতেকাফ করতে পারেন। হায়েজ শুরু হওয়ার আগেই ওষুধ-বড়ি খেয়ে হায়েজ পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখলে এতেকাফ করলে রোজা ও এতেকাফ সহি হবে। কোনো মহিলা এতেকাফ শুরু করার পর যদি তার হায়েজ পিরিয়ড শুরু হয়ে যায় তাহলে তার এতেকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং পরে শুধু একদিনের এতেকাফ রোজাসহ কাজা করতে হবে। (আহসানুল কাতাওয়া ৪/৫০২)।
নারীদের রোজা সম্পর্কিত জরুরী মাসআলা মাসায়েল
মহিলারা ঘরের যে স্থান এতেকাফের জন্য নির্ধারণ করবে এতেকাফ অবস্থায়, তা পুরুষের ক্ষেত্রে মসজিদের মতো গণ্য হবে। অর্থাৎ মানবিক প্রয়োজন ছাড়া সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে না। মানবিক প্রয়োজন ছাড়া সে স্থানের বাইরে গেলে এতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। (আলমগীরি ১/২১১, বাদায়ে ২/২৮২)।
মানবিক প্রয়োজন বলতে বোঝায় প্রস্রাব-পায়খানা। মহিলারা এতেকাফ অবস্থায় ঘরের নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থান থেকে শুরু কেবল প্রস্রাব-পায়খানার জন্য বের হতে পারবেন। অজুর জন্যও বাইরে যেতে পারবেন। খাবার পৌঁছে দেয়ার লোক না থাকলে খাবার আনার জন্য বাইরে যেতে পারবেন। (বাদায়ে ২/২৮২, হেদায়া /২৩০, শামী ৩/৪৩৫)।
মহিলাদের রোজা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু মাসয়ালা
পানাহার এতেকাফের জায়গায় অর্থাৎ নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে করতে হবে। বাইরে করা যাবে না। (হেদায়া ১/২৩০)।
এতেকাফের জায়গায় থেকে অন্যদের সাংসারিক কাজের ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া যাবে। বাইরে যাওয়া যাবে না। রান্না-বান্নার লোক না থাকলে এতেকাফের স্থান থেকে রান্না-বান্নার কাজ সম্ভব হলে করা যাবে। (মাহমুদিয়া ১৫/৩৩৪)।
কোনো মহিলার স্বামী যদি মাজুর হয় তার সেবা-যত্নের প্রয়োজন হয়, তাহলে সে মহিলার উচিত হচ্ছে এতেকাফে না বসে বরং স্বামীর সেবা-যত্ন, দেখাশোনা করা। কারণ সওয়াবের নিয়তে স্বামীর খিদমত সেবা-যত্ন করলে এতেকাফের চেয়ে অধিক সওয়াব পাওয়া যাবে। যে মহিলার ছোট ছোট সন্তান আছে এবং তাদের লালন-পালন ও দেখাশোনার কেউ নেই এমন মহিলারও উচিত এতেকাফে না বসে সন্তানের লালন-পালন ও দেখাশোনা করা। যে মহিলার সাবালগ মেয়ে আছে। তাদের দেখাশোনার জন্য কেউ নেই। সে মহিলারও উচিত এতেকাফে না বসে বরং সাবালগ মেয়ের দেখাশোনা করা। (আহকামে রমজান ও জাকাত, ৬৪)।
বর্তমানে মহিলারা খুব কমই এতেকাফ করেন। অথচ এতেকাফ অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। আর মহিলাদের জন্য এতেকাফ তো সহজও বটে। ১০ দিনের এতেকাফ সম্ভব না হলে , আংশিক করা উচিত।
মহিলাদের রোজা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু মাসয়ালা
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ জনৈক মহিলা হায়েজ ও নেফাসের কারণে বিগত ৭/৮ বছর কিছু রোজা রাখতে পারেনি। এবং কোন বছর কয়টি রোজা অনাদায় রয়েছে তাও স্মরণ নেই। এখন এরোজাগুলো কিভাবে আদায় করা হবে?
জবাব : প্রশ্নোক্ত মহিলা হায়েয নেফাসের কারণে যে সকল রোজা রাখতে পারেনি, সে রোজাগুলোর সংখ্যা স্মরণ করার চেষ্টা করবে। যদি পুরোপুরি স্মরণ না আসে তাহলে যে ক’টি রোজা কাজা হওয়ার ব্যাপারে তার প্রবল ধারণা হয় সে ক’টি রোজা কাজা করে নিবে। আর নিয়ত এভাবে করবে যে আমার জীবনে কাজা হয়ে যাওয়া প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় রোজা আদায় করছি। (ফতাওয়া আলমগিরি : ১/১৯৬)
নারীদের রোজা সম্পর্কিত জরুরী মাসআলা মাসায়েল
রোজা সম্পর্কিত সকল মাসয়ালা মাসায়েল দেখুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে করুন
YouTube এ সকল অ্যাসাইনমেন্টের সমধান পেতে আমাদের অফিসিয়াল YouTube চ্যানেলটিতে এখনি সাবস্ক্রাইব করো।
আমাদের চ্যানেলঃ 10 Minute Madrasah
প্রশ্ন প্রকাশ হলে সবগুলো বিষয়ের উত্তর দেওয়া হবে। তাই তোমরা পেজটি সেভ বা বুকমার্ক করে রাখো।
আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজে যুক্ত থাকো
আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।
Join Our Facebook Group
Hi, I am Jabed Hossain from 10 Minute Madrasah. I am an online graver, working as freelancer. This site is only for gathering knowledge process.
Comments 2