আন্তর্জাতিক, বিবিসিনিউজ24 ডেস্ক- ‘কমান্ডার অব হার্টস’-এর জানাজায় কাঁদলেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা বা ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি। তিনিই সোমবার ইউনিভার্সিটি অব তেহরানে কুদস ফোর্সের নিহত কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও তার সঙ্গে নিহত অন্যদের জানাজা পড়ান।
এ সময় আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে কাঁদতে দেখা যায়। এ সময় হাউমাউ করে কাঁদেন উপস্থিত জনতা। জানাজা শেষে তার প্রতি শেষ প্রদ্ধা জানান তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও তেহরান টাইমস।
এতে বলা হয়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এই শেষ শ্রদ্ধা প্রদর্শন শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানানোর কয়েক ঘন্টা আগে থেকেই তেহরানের রাস্তায় নামে শোকার্ত জনতার ঢল।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয় যে, তেহরানের রাস্তায় বিশাল জনসমাগম হয়েছে জানাজা ঘিরে। সোলেইমানিকে দেশটিতে জাতীয় নায়ক এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে দেখা হতো।
জানাজায় অনেক মানুষকেই কাঁদতে দেখা গেছে। কেউ কেউ সোলেইমানির ছবি আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। মানুষ সোলেইমানির কফিন মাথার ওপর দিয়ে বয়ে নিয়ে চলে এবং ‘আমেরিকার মৃত্যু’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
সোলেইমানির মেয়ে জয়নাব সোলেইমানি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘কালো দিন’ দেখবে। তিনি বলেন, পাগল ট্রাম্প, তুমি ভেবো না যে আমার বাবার শাহাদাতের মধ্য দিয়ে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।
সোমবারের জানাজার পর, জেনারেল সোলাইমানির মরদেহ শিয়া ইসলামের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কোমে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে মঙ্গলবার কেরমানে তার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে।
তেহরানে সোলেইমানির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, আমেরিকানরা আসলেই বুঝতে পারেনি যে তারা কত বড় ভুল করেছে। এই এলাকার ওপর থেকে যেদিন আমেরিকার নোংরা হাত কেটে ফেলা হবে, সেদিনই তার রক্তের বদলা পূরণ হবে।
ইরানের প্রতিক্রিয়া
ইরান রোববার ঘোষণা দিয়েছে যে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির কোনও শর্ত তারা আর মেনে চলবে না। ওই চুক্তিতে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে ইরান পরমাণু সক্ষমতা কমাতে রাজি হয়েছিল।
কিন্তু এক বিবৃতিতে ইরান বলেছে যে, পরমাণু সমৃদ্ধকরণের সামর্থ্যে, মাত্রায়, মজুদ করায়, গবেষণা বা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আর কোনও সীমাবদ্ধতা মানবে না।
এই চুক্তির তিন ইউরোপীয় দেশ জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইরানকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে রোববার ইরাকি এমপিরা বিদেশি সেনাদের দেশত্যাগের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে।
এর আগে ইসলামিক স্টেট গ্রুপকে পরাজিত করতে সহায়তা করার জন্য মার্কিন বাহিনীকে ইরাকে স্বাগত জানানো হয়। ইরানের কুদস বাহিনীর নতুন প্রধান- যার নেতৃত্বে সোলেইমানি ছিলেন- তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিতাড়িত করার অঙ্গীকার করেছেন।
ট্রাম্প কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন?
ইরানের হুমকির পর ট্রাম্প বলেন যে, সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে কোনও পদক্ষেপ নেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা হামলা চালাবে, আর সেটা হবে ‘অনেকটা অতর্কিতভাবে’।
তিনি বলেন, তেহরান যদি আমেরিকান নাগরিক বা মার্কিন সম্পদে হামলা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ৫২টি সাইটে হামলা চালাতে প্রস্তুত এবং তা ‘খুব দ্রুত ও কঠোর’ হবে।
YouTube এ সকল অ্যাসাইনমেন্টের সমধান পেতে আমাদের অফিসিয়াল YouTube চ্যানেলটিতে এখনি সাবস্ক্রাইব করো।
আমাদের চ্যানেলঃ 10 Minute Madrasah
প্রশ্ন প্রকাশ হলে সবগুলো বিষয়ের উত্তর দেওয়া হবে। তাই তোমরা পেজটি সেভ বা বুকমার্ক করে রাখো।
আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজে যুক্ত থাকো
আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।
Join Our Facebook Group
Hi, I am Jabed Hossain from 10 Minute Madrasah. I am an online graver, working as freelancer. This site is only for gathering knowledge process.