• Home
  • কোরআন ও হাদীস
  • সকল শ্রেণি
    • মুসলিম বিশ্ব
    • শিক্ষা সংবাদ
  • Paragraph
  • বাংলা ২য়
    • ব্যাকরণ
    • ভাব সম্প্রসারণ
    • অনুচ্ছেদ
    • রচনা
    • প্রবাদ-প্রবচন
    • বাগধারা
  • Assignment
    • Dakhil Or SSC
    • 6th Week Assignment
    • HSC/Alim
    • ICT
10 Minute Madrasah
  • Home
  • কোরআন ও হাদীস
  • সকল শ্রেণি
    • মুসলিম বিশ্ব
    • শিক্ষা সংবাদ
  • Paragraph
  • বাংলা ২য়
    • ব্যাকরণ
    • ভাব সম্প্রসারণ
    • অনুচ্ছেদ
    • রচনা
    • প্রবাদ-প্রবচন
    • বাগধারা
  • Assignment
    • Dakhil Or SSC
    • 6th Week Assignment
    • HSC/Alim
    • ICT
No Result
View All Result
  • Home
  • কোরআন ও হাদীস
  • সকল শ্রেণি
    • মুসলিম বিশ্ব
    • শিক্ষা সংবাদ
  • Paragraph
  • বাংলা ২য়
    • ব্যাকরণ
    • ভাব সম্প্রসারণ
    • অনুচ্ছেদ
    • রচনা
    • প্রবাদ-প্রবচন
    • বাগধারা
  • Assignment
    • Dakhil Or SSC
    • 6th Week Assignment
    • HSC/Alim
    • ICT
No Result
View All Result
10 Minute Madrasah
No Result
View All Result
Home কুরবানীর মাসয়ালা

কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল পর্ব – ৫

Admin by Admin
August 5, 2019
in কুরবানীর মাসয়ালা, কোরআন ও হাদীস
0
কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল পর্ব - ৫

কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল পর্ব - ৫

33
SHARES
31
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
78 / 100
Powered by Rank Math SEO

Table of Contents (সূচিপত্র)

  • কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল
    • ✍ গোলাম সামদানী
    • যাদের জবাহ হালাল নয়
    • আরো পড়ুন:  কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল পর্ব – ২
  • চল্লিশ হাদিস মুখস্ত করার ফযিলত পর্ব-২
  • জেনে নিন সব সময় অযু অবস্থায় থাকার সাতটি ফযীলত
    • পরিশেষে পরামর্শ স্বরূপ বলছি
  • সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে সহজ পদ্ধতিতে আরবি শিক্ষা | সহজ পদ্ধতিতে শিক্ষক ছাড়া কুরআন শিক্ষা
    • গাইরুল্লাহর নামে জবাহ
    • বিশেষ বিজ্ঞপ্তিঃ
    • দালালদের ছদ্মবেশি চরিত্র নিম্নরূপ
  • আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।
    • Join Our Facebook Group

কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল

✍ গোলাম সামদানী

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, (তরজমা) “আপনি আপনার প্রতিপালকের জন্য নামায পড়ুন এবং কুরবানী করুন।” (সূরা কাউছার-২)

যাদের জবাহ হালাল নয়

মাসয়ালা (১) – পাগল অথবা শিশু, জবেহ সম্পর্কে যার আদৌ জ্ঞান নেই, কাফের মুশরিক ও মুরতাদের জবেহ হালাল নয়। (বাহারে – শরিয়াত)

মাসয়ালা    (২)  -  নাবালেগ  বাচ্চা  যদি   জবেহ  সম্পর্কে জ্ঞান  রাখে  তাহলে   তার  জবেহ  হালাল  হবে    (বাহারে শরীয়ত)

মাসয়ালা (৩) – আহলে কিতাবদের জবেহ হালাল। যদি কোনো আহলে কিতাব জবেহ করার সময় হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম  এর নাম উচ্চারণ করে জবেহ করে  তাহলে পশু হালাল হবেনা। (বাহারে শরিয়াত) বর্তমানে পৃথিবীতে    আহলে   কিতাব  নেই।  সবাই  মুশরিক  হয়ে  গিয়েছে, সেহেতু তাদের জবেহ খাওয়া হালাল নয়।

আরো পড়ুন:  কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল পর্ব – ২

মাসয়ালা   (৪)  -  ওহাবী   দেওবন্দীদের    জবেহ  হালাল নয়।    কারণ    এরা    দ্বীন    ইসলামের    বহু   জরুরী   বিষয় অস্বীকার  করে  থাকে।   ওহাবি  দেওবন্দীদের   কতিপয় ইসলাম বিরুদ্ধ ধারণা নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ

১) হুজুর কবরে স্বশরীরে জীবিত নেই। কবরে  সাধারণ মানুষের যে অবস্থা তাঁরও সেই অবস্থা।
২) হুজুরের রওজা পাক জিয়ারত করতে যাওয়া হারাম ও ব্যাভিচারের পর্যায়ের গোনাহ।
৩) হুজুর শাফায়াৎ করতে পারবেন না।
৪) আমাদের প্রতি হুজুর ﷺ কোনো অবদান নেই।
৫) হুজুর ﷺ আমাদের মতই মানুষ।
৬) হুজুর   ﷺ র ওসিলা  দিয়ে সাহায্য  চাওয়া জায়েজ নয়।
৭)  আল্লাহর নবী অপেক্ষা আমাদের হাতের লাঠি বেশি সাহায্যকারী।   কারণ   লাঠী   দ্বারা   আমরা   কুকুর   মেরে  থাকি।
৮)  চারটি মাজহাবের  মধ্যে যেকোনো একটি  মাজহাব অবলম্বন করা শির্ক।
৯) হুজুর ﷺ র প্রতি  দরুদ – সালাম ও  মীলাদ শরীফ পাঠ করা বিদায়াত ও হারাম।
১০)    যারা     ওহাবীদের    অনুসরণ     করবেন     না    তারা মুসলমান নয়।
[[সংগৃহীতঃঃ   -   আশশিহাবুস     সাকিব   ২৪পৃস্টা    হতে  ৬৭পৃস্টা]]

কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল পর্ব - ৫ 1

স্বামী স্ত্রী এর পরস্পর সুখে থাকার অবাক করা ১২টি উপায়

১১) হুজুর ﷺ আমাদের বড় ভাই এর ন্যায় অতএব তাঁর      সন্মান      বড়ভাই        এর       ন্যায়      করতে        হবে [তাকবীয়াতুল ঈমান ৪৮পৃস্টা]
১২) শয়তান অপেক্ষা হুজুরের ইলম বেশি ছিলো বললে মুশরিক হয়ে যাবে [বাহারানে কাতিয়া ৫৫পৃস্টা]
১৩) হুজুর ﷺ র যতটুকু ইলমে গায়েব ছিলো ততটুকু ইলমেগায়েব শিশু, উন্মাদ ও সমস্ত জীব জন্তুর রয়েছে। [হিফজুল ইমান ৮পৃস্টা]
১৪) হুজুর ﷺ দেওবন্দী মৌলবিদের নিকট হতে উর্দু ভাষা শিক্ষা করেছেন (বাহারানে কাতীয়া ৩০পৃস্টা)
১৫) হুজুর ﷺ র পর  যদি কোনো নবী  আসে  তাহলে তাঁর শেষত্বে ক্ষতি হবেনা (তাহজীরুন্নাস ১৪পৃস্টা)

চল্লিশ হাদিস মুখস্ত করার ফযিলত পর্ব-২

এ   ছাড়াও এরা আরো বহু কুফরি  ধারণা পোষন করে থাকে।

সাধারণ  মাংস ব্যাবসায়ীদের  ওহাবী   দেওবন্দী ধারণা  করা    আদৌ   উচিত   নয়।    এরা   ওহাবী   দেওবন্দীদের ধারণা সম্পর্কে আদৌ জ্ঞাত নয়। অতএব তাদের নিকট মাংস     ক্রয়    করা    জায়েজ।    যদি     কোনো    ব্যাবসায়ী  নিজেকে ওহাবী দেওবন্দী  বলে দাবী  করে  থাকে এবং ওহাবী দেওবন্দীদের ন্যায় কুফরি আক্বীদা পোষণ করে থাকে অথবা কোনো ওহাবী দেওবন্দীদের মৌলবি দ্বারা জবেহ করে থাকে,  তাহলে উক্ত  মাংস  অবশ্যয়  হারাম হবে।

লা-মাজহাবী গায়ের  মুকাল্লিদ সম্প্রদায়ের    জবেহ করা পশুর   মাংস  হালাল নয়। কিন্ত   যেসমস্ত হানাফী ওহাবী  দেওবন্দী লামাজহাবীদের চক্রান্তে তাদের দলভূক্ত হয়ে যাচ্ছে  এদের  ব্যাপারটি  খানিকটা  সতন্ত্র।   কারণ  এরা  ওহাবী    দেওবন্দীদের   কুফরি   আক্বীদা     গুলো   সমর্থন করেনা।     বরং     এরা     ওহাবী     দেওবন্দীদের     চক্রান্তে  তাদের কুফরী  আকীদা সম্পর্কে অবগত হতে পারেনা। যদি   কোনো   নির্ভরশীল   সুন্নী   আলেমের    নিকট    হতে ওহাবী দেওবন্দীদের কুফরি ধারণা গুলো অবগত হবার পরও তাদের অনুসরণ করে চলে তাহলে তাদের মাংস হালাল হবে না।

জেনে নিন সব সময় অযু অবস্থায় থাকার সাতটি ফযীলত

পরিশেষে পরামর্শ স্বরূপ বলছি

বর্তমানে   মুসলিম    সমাজ    শরীয়ত  হতে  বহুদূরে  সরে গিয়েছে।    সাধারণ    মানুষ    শরীয়তের     কোনো    বিষয়  যাচাই     করতে     আদৌ     আগ্রহী     নয়।     বিশেষ     করে  পশ্চিমবাংলার  সুন্নী     ও ওহাবীদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে কোনো  জিনিষে   পার্থক্য  নেই   বললেও  চলে।  এসমস্ত কারণে অত্যন্ত   সুকৌশলে  সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

মাসয়ালা  (১)  -  কেবল   ”আল্লাহ্”   বলে  জবেহ   করলে অথবা কেবল “আর-রহমান” অথবা “আর-রাহীম” বলে জবেহ   করলে     পশু   হালাল    হবে।।   অনুরূপ   ”আল্লাহু আকবর”             অথবা             ”আল্লাহু            আজম”            অথবা “আল্লাহুররহমান”       অথবা         ”আল্লাহুররহীম”        অথবা “সুবহানআল্লাহ” অথবা “লা-ইলাহা ইল্লালাহ” পাঠ করে জবেহ করলে পশু হালাল হবে। (আলামগীরি)

মাসয়ালা  (২)   -  যদি   জবেহ  কারী  ইচ্ছাকৃত   আল্লাহর নাম  উচ্চারণ  না  করে,  সঙ্গীরা  আল্লাহর   নাম   উচ্চারণ করলেও  পশু হারাম   হবে। যদি জবেহ করার উদ্দেশ্যে আল্লাহর   নাম   উচ্চারণ   না  করে   বরং  অন্য     উদ্দেশ্যে আল্লাহর নাম  উচ্চারণ করে জবেহ করে থাকে, তাহলে পশু        হালাল       হবে       না। যথাঃ  - হাঁছির পর আলহামদুলিল্লাহ্ পাঠ   করে  জবেহ  করলে   পশু হালাল হবেনা। অবশ্য        যদি  জবেহ করার  উদ্দেশ্যে আলহামদুলিল্লাহ্ পাঠ  করে থাকে  তাহলে  পশু   হালাল  হবে (বাহারে শরীয়ত)

সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে সহজ পদ্ধতিতে আরবি শিক্ষা | সহজ পদ্ধতিতে শিক্ষক ছাড়া কুরআন শিক্ষা

মাসয়ালা (৩) – জবেহ করার পর রক্ত বের হয়েছে কিন্ত কোনো  প্রকার নড়েনি  তাহলে   উক্ত  রক্ত  যদি জীবিত পশুর    ন্যায়     হয়    তাহলে    হালাল     হবে।     (বাহারে    - শরিয়াত)

মাসয়ালা   (৪)   -    অসুস্থ   পশু   জবেহ    করার   পর   যদি কেবল তার মুখ খুলে যায় তাহলে হারাম হবে। যদি মুখ বন্ধ  করে   নেয়  তাহলে    হালাল  হবে।  যদি  চোখ  খুলে দেয়  তাহলে   হারাম   হবে।  যদি  চোখ   বন্ধ  করে    নেয় তাহলে হালাল হবে। যদি   পা  লম্বা   করে  দেয়   তাহলে হারাম  হবে। যদি পা জড়ো করে নেয়, তাহলে হালাল হবে।  পশম  খাড়া  না  হলে  হারাম  এবং  খাড়া   হলে   হালাল   হবে।   মোট   কথা   যখন   পশুর   জীবিত   হওয়া  সন্দেহ  হবে তখন কোনো প্রকার নিদর্শন দেখে হালাল ও হারাম পার্থক্য করতে হবে (আলমগীরী)।

মাসয়ালা (৫) – জবেহ করার  জন্য   অস্ত্র ব্যবহার    করা জরুরী  নয়।  বাঁশের   চেটি  অথবা   ঐপ্রকার  অন্য  কোন ধারালো   জিনিষ   দ্বারা    জবেহ    করলে    জায়েজ    হবে। ধারালো পাথর দ্বারা ও জবেহ করা জায়েজ। ধারবিহীন অস্ত্রদ্বারা জবেহ করা মাকরূহ (দুররে মুখতার)।

মাসয়ালা   (৬)   -   জংলি    জানোয়ার    যদি     পালিত   হয় তাহলে যথা নিয়মে তাকে জবেহ করতে হবে আর যদি পালিত পশু  জংলি জানোয়ারের  মত আয়ত্বের  বাহিরে   চলে     যায়    তাহলে    যেকোনো     প্রকারে     তার    দেহের যেকোনো  অংশ  ক্ষত  করে   দিলে  জবেহ  হয়ে     যাবে।  অনুরূপ যদি কোনো পশু  কুঁয়াতে পড়ে যায় এবং যথা নিয়মে জবেহ করা সম্ভব না হয় তাহলে যেভাবে সম্ভব হবে সেইভাবে জবেহ করলে জায়েজ হবে (হেদায়া)

মাসয়ালা    (৭)     -    মুসলিম    মহিলার     জবেহ    হালাল। অনুরূপ বোবা  যদি মুসলমান     হয় তাহলে তার  জবেহ  হালাল হবে (আলমগিরী)

মাসয়ালা  (৮)  – খাৎনা বিহীন  ব্যক্তির জবেহ  হালাল।  (আলমগিরী)

আরো পড়ুন:

সাদাকাতুল ফিতর কী এবং সাদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ : কিছু কথা (ভিডিও সহ)

ইতিকাফের বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েল জেনে নিন ( ভিডিও সহ )

রূহের  অবস্থান-  কিতাবুর রূহ্  এর বর্ণনা

মৃত্যুর পর  রূহের  অবস্থান কোথায়?

স্বামী স্ত্রী এর পরস্পর সুখে থাকার অবাক করা ১২টি উপায়

মাসয়ালা   (৯)   -   জিন   মানুষের   আকৃতি   ধারণ     করে  জবেহ করলে  জায়েজ হবে। অন্যথায়  জায়েজ হবেনা। (রদ্দুল মুহতার)

মাসয়ালা    (১০)     -     অগ্নী    পূজক    অগ্নীকুন্ডের     জন্য, অনুরূপ  কাফির  মুশরিক  তাদের  উপাস্যের  জন্য  যদি  কোনো মুসলমানের দ্বারা  জবেহ  করায় এবং মুসলমান যদি   আল্লাহর   নামে   জবেহ   করে   থাকে   তাহলে   পশু  হালাল  হবে।   কিন্ত এইক্ষেত্রে  মুসলমানের জবেহ করে দেয়া মাকরূহ (আলমগীরি)।

মাসয়ালা  (১১)  -  মুসলমানের  জবেহ  করার  পর  যদি  কাফের   মুশরেক  উক্ত  পশুর  উপর  অস্ত্রচালায়   তাহলে পশু হারাম হবেনা। কিন্ত কাফের মুশরেকের জবেহ পর যদি   মুসলমান     অস্ত্রচালায়     তাহলে   পশু   হারাম    হবে (আলমগিরী)
মাসয়ালা  (১২)   -   ইচ্ছাকৃত  বিসমিল্লাহ্  পাঠ   না   করে জবেহ করলে পশু   হারাম  হবে।  ভূলবশতঃ বিসমিল্লাহ্ পাঠকরা না হলে হালাল হবে (হেদায়া)।

 

গাইরুল্লাহর নামে জবাহ

মাসয়ালা (১) – আল্লাহ তাআলার নাম উচ্চারণ না করে কেবল   কোনো   দেবতার    নাম   অথবা   কোন   নবী     ও  অলীর   নাম  উচ্চারণ  করে     জবেহ  করলে  পশু  হারাম   হবে। (তাফসীরাতে আহমাদীয়া)

মাসয়ালা  (২)  -  আল্লাহ  তাআলার  সাথে  অন্যের  নাম  যুক্ত করে জবেহ করলে পশু হারাম হবে।
যথাঃ “বিসমিল্লাহি ওয়া মুহাম্মাদির রাসুলিল্লাহ” বলে জবেহ   করলে  পশু  হারাম হবে।  আর  সংযুক্ত না  করে “বিসমিল্লাহি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” বলে   জবেহ করলে পশু   হারাম     হবেনা।     কিন্ত    এই    প্রকার    জবেহ   করা মাকরূহ    হবে।    (বাহারে     শয়ীয়াত        ও    তাফসীরাতে আহমাদীয়া)

মাসয়ালা (৩) -  আল্লাহর  নামের   সাথে  কোনো  প্রকার যুক্ত না করে পশু  শোয়ানোর পূর্বে অথবা জবেহ করার পর   কারো  নাম  উচ্চারণ   করায়  কোনো    দোষ   নেই।  যেমন    কুরবানী     ও    আক্বীকার    সময়ে      দাতার     নাম  উচ্চারণ  করা হয়ে থাকে (হিদায়া ও বাহারে শরীয়ত)।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিঃ

পশুর মালিক মুসলমান হোক বা মুশরিক। জবেহ কারী যদি   মুসলমান  হয়  তাহলে পশু  হালাল হবে এবং যদি  জবেহ   কারী   মুশরিক   হয়   তাহলে   পশু   হারাম   হবে।  অনুরূপ পশু  পীরের  নামে রাখা  হোক অথবা  প্রতিমার  নামে রাখা হোক যদি জবেহ করার সময় আল্লাহর নামে জবেহ  করা  হয়  তাহলে  হালাল    হবে  এবং    যদি   পীর অথবা  প্রতিমার  নামে জবেহ    করা  হয়, তাহলে হারাম হবে।

যেসমস্ত    পশু      কোনো    পীরের    নামে    ইসালে সওয়াব  করার  উদ্দেশ্য    রাখা  হয়,    যদি  জবেহ  করার সময়   আল্লাহরর  নাম  উচ্চারণ   করে   জবেহ  না      করে কোনো পীর অথবা কোনো প্রতিমার নাম উচ্চারণ করে জবেহ  করা  হয়  তাহলে   তা  নিঃসন্দেহে   হারাম   হবে। অনুরূপ  যেসমস্ত  পশু    কোনো  পীরের  ইসালে  সওয়াব এর উদ্দেশ্যে রাখা হয়ে থাকে  যদি ঐ পশুগুলো   জবেহ    করার    সময়   আল্লাহর  নাম  উচ্চারণ করে   জবেহ  করা    হয়  তাহলে  তা    নিঃসন্দেহ    হালাল হবে।

গাউছে  পাক  হজরত  আব্দুল  ক্বাদের  জীলানী ও খাজা  মঈনুদ্দিন  চিশতী  আজমিরী  রহমাতুল্লাহ  আলাই  রাহমার নামে অথবা  অন্য কোনো অলীর নামে ইসালে সওয়াব  করার  উদ্দেশ্য যেসমস্ত   পশু  রাখা  হয়ে থাকে  এবং যথাসময়ে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে জবেহ করা হয়ে থাকে, ঐ   গুলো নিঃন্দেহে  হালাল (তাফসীরাতে – আহমাদিয়ে)।

ওহাবী-দেওবন্দী মৌলবিগণ  আউলিয়া কিরামের নামে ইসালে সওয়াব ও এর উদ্দেশ্য পশু রাখা এবং তা যথা সময়ে আল্লাহ   তাআলার নামে জবেহ করে  ভক্ষণ করা হারাম  বলে   থাকেন।  কয়েক   বৎসর  পূর্বে  মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত ভান্ডারা নামক গ্রামে জালসায় উপস্থিত হয়ে     ছিলাম।     উক্ত    জালসায়    মাওলানা    নূর    আলম বর্ধমানী ছিলেন। নূর আলম সাহেব বক্তৃতায়  বললেনঃ

”যারা    শিব    ডাঙ্গার   মসজিদে   প্রদান   করা     খাসি   ও  মোরগের মাংস দিয়ে ভাত খায় তারা কুকুরের পায়খানা দিয়ে ভাত খায়।”

জালসায় পর আমি তাকে প্রশ্ন করলাম যদি কোনো পশু আল্লাহর জন্য রাখা হয় ও জবেহ করার সময় দূর্গা বলে জবেহ করা হয়,   তাহলে  ভক্ষণ  করা হালাল হবে  কি?  তিনি শয়ন অবস্থায় সহজে উত্তর দিলেন – হারাম হবে। আমি   পুনরায়   প্রশ্ন   করলাম   যদি   কোনো   পশু   দুর্গার  নামে  রাখা হয় এবং জবেহ করার সময়ে আল্লাহর নাম নিয়ে  জবেহ  করা     হয়   তাহলে    তা  হালাল  হবে   কি?  বেচারা   বসে  নিজেকে  খানিকটা   সামলিয়ে    খুব  আস্তে উত্তর দিলেন – হালাল হবে।

এবার   আমি   বললাম   শিবডাঙ্গায়   যে   সমস্ত   খাসী   ও  মোরগ জবেহ করা হয় সেগুলো কোনো পীর সাহেবের  নাম উচ্চারণ করে  জবেহ করা হয়, নাকি আল্লাহর নাম উচ্চারণ  করে জবেহ  করা হয়?  নিশ্চয়   কোনো পীরের নাম উচ্চারণ করে জবেহ করা হয়না। আপনি বলুন, ঐ হালাল  মাংসকে  কুকুরের    পায়খানা   বললেন   কেনো? আপনার সাথে  আমার “বিলকান্দী” নামক স্থানে অমুক  দিনে    জালসা   রয়েছে।   যদি    বলেন    সেখানে   কিতাব দেখিয়ে দিবো। আপনার  মাসয়ালাটি বলা অত্যন্ত ভূল    হয়েছে।  তখন   তিনি  বললেন  আপনি যা  বলছেন তাই ঠিক। কারণ আপনারা সবসময় কিতাব পড়াচ্ছেন।

অল্প   কিছু  দিন   হতে   নূর  আলম  সাহেব   পীর    সেজে মুরীদ   করতে  আরম্ভ  করেছেন।  ইনি   ফুরফুরার    বড় হুজুর   আব্দুল  হাই  সিদ্দীকী  সাহেবের   মুরীদ।   সম্ভবত তিনি    আব্দুল    হাই     সিদ্দিকী    সাহেবের    নিকট      হতে   কামালিয়াত   হাসেল    করতে    পারেন   নি।   তাই   তিনি  প্রকাশ্য   ওহাবী দেওবন্দী জমিয়াতে উলামায়ে  হিন্দের সর্ব      ভারতীয়     রাজনৈতিক   নেতা,   মাওলানা   আসাদ মাদানীর     নিকট       মুরীদ     হয়েছেন।     নকলী       মাদানী সাহাবের নিকট হতে নূর  আলম সাহেব নাকি আজগুবি ভাবে    খিলাফত    প্রাপ্ত    হয়েছেন।     ঘোড়া     ও    গাধার মিলনে   যে বাচ্চাটি জন্ম নেয়  তা কে   খচ্চর   বলা  হয়।

ফুরফুরা   পন্থীগণ   চোখে    কোণা  দিয়েও  দেওবন্দীদের দেখতে  পারেন  না।   অনুরূপ  অবস্থা  দেওবন্দীদেরও।  এরা     ফুরফুরা      পন্থীদের     আদৌ      সমর্থন     করেননা। সমালোচনা ও পর্যালোচনা দ্বারা বোঝা যায় যে ফুরফুরা পন্থী        প্রকৃত        পক্ষে        দেওবন্দী        ওহাবী।        ওহাবী  দেওবন্দীদের    সাথে এদের  মৌলিক মসালাতে মূলতঃ মতভেদ নেই।

কিন্ত এরা প্রত্যেকেই কিছু  মাসয়ালাতে  প্রত্যক্ষ    ও    পরোক্ষ    ভাবে     একে    অপরকে      কাফের মোশরেক   প্রমাণ    করেছেন।   নূর   আলম    সাহেব   দুই পন্থির পরম নেতা দ্বয়ের নিকট   হতে  দীক্ষা গ্রহণ  করে  বর্তমান    পীর   সেজে   মুরীদ    আরম্ভ    করেছেন।   এখন বিবেচনার বিষয় যে নূরআলম সাহেব দেওবন্দী পির না ফুরফুরা পন্থী পীর?

নিশ্চয়   দেওবন্দীগণ   তাকে   ফুরফুরা   পন্থী   পীর     বলে গ্রহণ   করবেন  না।    অনুরূপ  ফুরফুরা  পন্থীগণও  তাকে দেওবন্দী   পীর   বলে   গ্রহণ  করবেন  না।    অথচ   দেখা যাচ্ছে  যে,  উভয়  পন্থীর  মানুষ   কম   বেশি   তার   হাতে  মুরিদ হচ্ছেন। তাহলে কি নূরআলম সাহেব খচ্চর  পীর হয়েছেন?   যার   কারণে    উভয়     পন্থীর   কোনো   প্রকার আপত্তি       নেই।

নূরআলম   সাহেব   খচ্চর   পীর   সেজে ফুরফুরা  পন্থীদেরকে গোমরাহ করুন অথবা  জাহান্নামে  নিয়ে যান তা   দেখার   প্রয়োজন আমার  ছিলোনা। কিন্ত যেহেতু   আমি    একজন  ফুরফুরা  পন্থী  ছিলাম,   সেহেতু তাদের   গোমরাহি    সম্পর্কে  সাধারণ  মানুষকে  অবগত করে   দেয়া আমার  ইসলামী দায়িত্ব বলে মনে    করছি।

কারণ    ফুরফুরা    পন্থী   হাজার   হাজার    সাধারণ     মানুষ প্রকৃত   পক্ষে   সুন্নী   মুসলমান,   এরা   ওহাবী   দেওবন্দী  তাবলীগি     ও     জামায়েতে     ইসলামী     আদৌ      সমর্থন  করেননা।     কিন্ত      একদল     দালাল     এদের      ঈমানকে সুকৌশলে     সর্বনাশ  করে   ওহাবী   দেওবন্দী  তাবলীগী বানাচ্ছে। সাধারণ  মানুষ  গভীর চিন্তা করার অবসর না  পাওয়ায়    এবং      দালালদের     ধোঁকায়    পড়ে    ওহাবী   দেওবন্দীদের শিকার হচ্ছেন।

দালালদের ছদ্মবেশি চরিত্র নিম্নরূপ

এই দালালদের মধ্যে কেহ বড় হুজুরের  খলিফা, কেহ মেজ   হুজুরের   খলিফা,   অনুরূপ   কেহ   নশান   হুজুরের  খলিফা,  কেহ  ছোটো   হুজুরের  খলিফা।   এবার  এদের  মধ্যে       কেহ       তাবলীগ      জামাতের      মারকাজ        খুলে দিয়েছেন, কেহ দেওবন্দী  মাদ্রাসায়  নিজের সন্তানদের  পড়াচ্ছেন।

কেহ    দেওবন্দীদের    সাথে     মিলে    মিশে একই      জালসাতে      নসীয়ত      করছেন     এবং      তাদের মাদ্রাসার  উন্নতি     কল্পে   বাৎসরিক  জালসায়   উপস্থিত হয়ে    চাঁদা   আদায়   করছেন।  কেহ   পীর  সেজে  মুরীদ  করছেন। সাধারণ মানুষ তাদের দেখে সহজে  উপলব্ধি করছেন     যে    ওহাবী       দেওবন্দী     তাবলীগদের    সাথে মৌলিক বিষয়ে মূলত কোনো মতভেদ নেই।

এই    প্রকারে    তারা    দ্বীন-ইসলাম    হতে    সরে    বাতিল  ফিরকার  শিকার  হয়ে  যাচ্ছেন।   তবে  আল্লাহ  তায়ালা   যাদের    বাঁচাচ্ছেন     তারা     ভন্ডদের    সাথে      সর্বপ্রকার সম্পর্ক  ত্যাগ   করে  উলামায়ে    আহলে  সুন্নাতের  সাথে সম্পর্ক          কায়েম          করছেন।

ওহাবী            দেওবন্দী তাবলীগিদের    হাতে    মুরীদ       হওয়া    হারাম।     আসাদ মাদানীর    নিকট   সরাসরি    মুরীদ    হওয়া    অথবা   তার  খলীফার   নিকট   মুরীদ   হারাম।   যদি   কেহ   ভুল   করে  মুরীদ   হয়ে    থাকে    তাহলে   তাদের    সাথে      সর্বপ্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করে তওবা করা ওয়াজিব।

 

 

YouTube এ সকল অ্যাসাইনমেন্টের সমধান পেতে আমাদের অফিসিয়াল YouTube চ্যানেলটিতে এখনি সাবস্ক্রাইব করো।
আমাদের চ্যানেলঃ 10 Minute Madrasah

প্রশ্ন প্রকাশ হলে সবগুলো বিষয়ের উত্তর দেওয়া হবে। তাই তোমরা পেজটি সেভ বা বুকমার্ক  করে রাখো।

আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজে যুক্ত থাকো

আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।

Join Our Facebook GroupUntitled-1

কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল পর্ব - ৫ 2
Admin

Hi, I am Jabed Hossain from 10 Minute Madrasah. I am an online graver, working as freelancer. This site is only for gathering knowledge process.

Content Protection by DMCA.com

Related

Tags: কুরবানির আলোচনাকুরবানীকুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্তকুরবানী কার উপর ফরজকুরবানী কুরবানী কার উপর ফরজকুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল পর্ব - ১
Previous Post

কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল পর্ব – ৪

Next Post

কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল পর্ব – ৬

Next Post
কুরবানীর-ফযীলত-ও-জরুরী-মাসাইল-পর্ব---৬

কুরবানীর ফযীলত ও জরুরী মাসাইল পর্ব - ৬

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

10 Minute Madrasah

Muhammad Jabed Hossain

Founder & CEO

We provide quality educational content so that anyone can learn anything, at any time, from anywhere, completely free of cost.

Follow Us

  • Disclaimer
  • Privacy
  • Contact Us
  • TOS
  • Advertise
  • About Us
  • Bijoy To Unicode

© 2020 JYM Production - Get Your Website From Us Subscribe Us.

No Result
View All Result
  • Home
  • কোরআন ও হাদীস
  • সকল শ্রেণি
    • মুসলিম বিশ্ব
    • শিক্ষা সংবাদ
  • Paragraph
  • বাংলা ২য়
    • ব্যাকরণ
    • ভাব সম্প্রসারণ
    • অনুচ্ছেদ
    • রচনা
    • প্রবাদ-প্রবচন
    • বাগধারা
  • Assignment
    • Dakhil Or SSC
    • 6th Week Assignment
    • HSC/Alim
    • ICT

© 2020 JYM Production - Get Your Website From Us Subscribe Us.

কিডনির পাথর