মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব - ৪

 

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব - ৪ 

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব - ৪


পর্ব - ৪ 

রাসূলে পাক (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নবুয়তের সূচনাকাল

 মক্কা শরীফ থেকে তিন মাইল অদূরে হেরা নামক একটি গুহা ছিল। আমাদের প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) খানাপিনার জিনিস পত্র নিয়ে মাসের পর মাস সেই গুহায় অবস্থান করতেন। খাবার জিনিস পত্র  শেষ হলে ঘরে আসতেন এবং পুনরায় খাবার সামগ্রী ইত্যাদি নিয়ে গুহায় ফিরে যেতেন। সেই গুহায় হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর ধ্যানে দিনরাত নিয়োজিত থাকতেন। 


নবুয়াত লাভের কিছু আগে হুযুর (সাল্লাল্লাহ তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ভাল ভাল স্বপ্ন দেখতে লাগলেন। স্বপ্নে যা কিছু দেখতেন, পরে তা হুবহু বাস্তবে ঘটতো। একদিন হেরা গুহায় ইবাদতে নিয়োজিত ছিলেন। তখন এক ফিরিশতা আবির্ভাব হলো। ইনি ছিলেন হযরত জিব্রাইল (আলাইহিস সালাম)। তিনি তাঁকে বললেন, “সেই আল্লাহর নামে পডু়ন, যিনি সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষকে মাংস পিন্ড থেকে তৈরী করেছেন। পড়ুন আপনার আল্লাহর নামে (আজ্জা ওয়াজাল্লা) যিনি সবচেয়ে অধিক মর্যাদাবান। সেই আল্লাহ যিনি মানুষকে কলমের মাধ্যমে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন। এবং যিনি মানুষকে ওসব কথাসমূহ শিখায়েছেন, যা ওদের জানা ছিলনা।” এটাই ছিল সর্ব প্রথম ওহী। 


এ ঘটনার পর হুজুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ঘরে তশরীফ আনলেন এবং হযরত খদিজাকে সমস্ত ঘটনা শুনালেন। এবং ফরমালেন, “আমার কাছে নিজের প্রাণের ভয় হচ্ছে”। হযরত খদিজা (রাদি আল্লাহ তাআলা আনহা) বললেন, তা নয়, কখনো নয়, আপনার জানের কোন ভয় নেই। আপনি আত্মীয়-স্বজনের হক আদায় করেন, লোকদের বোঝা নিজেই বহণ করেন, গরীব মিচকীনদের সাহায্য করেন, লোকদের বিপদের সময় ওদের কাজে লাগেন। এত কিছু বলার পরও হযরত খাদিজা হুযুরকে তাঁর এক আত্মীয় ওরকা ইবনু নওফলের কাছে নিয়ে গেলেন, যিনি তাওরাত ও ইনজিলের অভিজ্ঞ আলেম ছিলেন। 


হযরত খদিজা থেকে সমস্ত ঘটনা শুনার পর তিনি হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে লক্ষ্য করে, সেই গুপ্ত বললেন “ইনি ভেদসমূহ সম্পর্কে জ্ঞাত ফিরিশতা, যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসতেন। আহ! আমি যদি ওই সময় বেঁচে থাকতাম, যখন আপনার স্বগোত্র আপনাকে মক্কা থেকে বের করে দিবে।” 


হুযুর আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, আমার গোত্র আমাকে কি করে বের দিবে? ওরকা বললেন, হ্যা আপনি যা কিছু নিয়ে এসেছেন,লোকেরা এ নিয়ে যে নবীই এসেছেন ওনার সাথে এরকম আচরণই করেছে। আমি যদি ওই সময় পর্যন্ত জীবিত থাকি, তাহলে জান প্রাণ দিয়ে আপনার সাহায্য করবো” ঘটনার কিছু দিন পর ওরকা মারা যান।  এরপর হুযূর (আলাইহিস সালাম) নিয়মিত হেরা গুহায় যেতে রইলেন কিন্তু জিব্রাইলের আগমণ বন্ধ রইলো। 


প্রায় ছয় মাস পর প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর শান্তনার জন্য হযরত জিব্রাইল মাঝে মধ্যে আগমণ করতে লাগলেন এবং হুযুরকে এ বলে আশ্বস্থ করতেন, ‘নিঃসন্দেহে, আপনি রসূল হিসেবে মনোনিত হয়েছেন। আপনি অপেক্ষা করুন, এর কিছুদিন পর হযরত জিব্রাইল নিয়মিত আসতে লাগলেন। যখন হযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) নবুয়াতের ঘোষণা দিলেন, তখন তাঁর বয়স হয়েছিল চল্লিশ। তাঁর ঘোষণার সাথে সাথে হযরত খদিজা, হযরত আবু বকর, হযরত আলী ও হযরত যায়েদ ঈমান আনেন। 


ওনাদের পর আরও কয়েক জন সাহাবা। যথা হযরত উসমান, হযরত যোবাইব, হযরত আবদুর রহমান বিন আউফ, হযরত সাদ বিন আবি ওকাস ও হযরত তালহা ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর চুপে চুপে এ সত্যধর্মের প্রচার লোকদের মধ্যে হতে লাগলো এবং মুসলমানের সংখ্যা ক্ৰমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে লাগলো। তিন বছর পর্যন্ত হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) চুপে চুপে গোপনভাবে ইসলামের দাওয়াত দিতে রইলেন। কিন্তু এর পর আল্লাহ (আযযা ওয়া জাল্লাা) এর হুকুম হলো, হে আমার হাবীর! যা কিছু তোমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করুন। 


আরও বললেন, “তোমার কোরাইশ বংশীয় লোকদেরকে ভয় দেখাও", এ নির্দেশ পাওয়া মাত্রই হুযুর (সাল্লাল্লাহ তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সাফা পাহাড়ের উপর উঠলেন এবং ডাক দিলেন, হে কোরাইশগণ! হে কোরাইশগণ!! ডাক শুনে চারিদিক থেকে লোক এসে যখন সমবেত হলো, তখন হুযুর ফরমালেন, “আমি যদি বলি এ পাহাড়ের পিছন থেকে একটি বাহিনী আসতেছে, তোমরা কি তা বিশ্বাস করবে? সবাই এক বাক্যে বললো, নিশ্চয় আমরা বিশ্বাস করবো। কারণ আমরা জানি যে আপনি সব সময় সত্য কথা বলেন। তখন হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ওদেরকে আল্লাহর পয়গাম পৌছালেন এবং বললেন, মূর্তি পূজা ছেড়ে দাও, এক আল্লাহকে বিশ্বাস কর এবং নেকীর দিকে এসো ”। এরপর বললেন,


হে কোরাইশগণ৷ যদি তোমরা ঈমান না আন, তোমাদের উপর অল্লাহর কঠিন আজাব নাযিল হবে। এটা শুনে লোকেরা বিগড়ে গেল এবং রাগান্বিত হয়ে নিজ নিজ ঘরে চলে গেল। কিছুদিন পর হুযুর (আলাইহিস সালাম) নিজ ঘরে বংশের সমস্ত লোকদের দাওয়াত দিলেন। খাওয়া-দাওয়ার পর হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে বললেন, আমি সেই জিনিস নিয়ে এসেছি, যা দ্বীন দুনিয়া উভয়ের জন্য যথেষ্ট। 


বল, এ কঠিন কাজে কে আমার সাহায্য করবে: সবাই চুপ রইলেন। হযরত আলী যার বয়স তখন নয় কি বার বছর ছিল, দাঁড়ালেন এবং দীপ্তকষ্ঠে বললেন, যদিওবা আমার চক্ষুদ্বয় ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন, পাদ্বয় দুর্বল এবং আমি সবার থেকে ছোট, কিন্তু হে আল্লাহর রসূল, আমি আপনার সহযোগিতা করবো। একথা শুনে উপস্থিত সকলে হেসে দিলেন এবং উঠে নিজ নিজ ঘরে চলে গেল।

 

বিরোধীতা শুরু

হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কা শরীফের কাফিরদেরকে ওদের কুসংস্কার থেকে বাধা দিলেন এবং মূর্তি পূজা, চুরি, মিথ্যা, ইত্যাদি পাপাচার বর্জন করার জন্য বললেন, তখন তারা সবাই তাঁর মানের দুশমন হয়ে গেল। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর চাচা জনাব আবু তালেব মক্কার  মধ্যে প্রভাবশালী ছিলেন। এ কারণে কেউ হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর গায়ে হাত রাখার সাহস পায়নি। কিন্তু কয়েক জন পাপিষ্ট ব্যক্তি সুযোগের অপেক্ষায় থাকতো এবং সুযোগ পেলেই হুযুরকে কষ্ট দিতো। এক দিন কাফিরদের বড় বড় সর্দারেরা মিলে জনাব আবু তালেবের কাছে আসলো এবং-বললো, যে সব মূৰ্তিসমূহকে আমাদের বাপদাদারা পূজা করে  আসছে, আপনার ভাতিজা ওগুলোর ব্যাপারে জঘন্য ভাষা ব্যবহার করতেছে, তা কিছুতেই বরদাস্ত করা যায় না। একমাত্র আপনার খাতিরে আমরা বিরত রয়েছি। আপনি আপনার ভাতিজাকে বুঝান অন্যথায় এর পরে আর কোন খাতির করা হবেনা। জনাব আবু তালিব হুযুর ( সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে ডেকে খুবই আদর করে বুঝালেন, বাবা আমার পক্ষে সমস্ত গোত্র সমূহের মুকাবেলা সম্ভব নয়। আমার উপর চাপ সৃষ্টি করো না। আমি তোমার সহায়তা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি।’


আপন প্রিয় চাচার মুখে এ শব্দগুলো শুনে হুযুরের চোখে পানি এসে গেল। তিনি (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) চাচাকে বললেন, "এরা যদি আমার ডান হাতে সূর্য এবং বাম হাতে চাঁদ এনে দেয়, তবুও আমি আল্লাহর হুকুম থেকে বিরত থাকতে পারিনা। এর কিছুদিন পর একদিন হযুর (সাল্লাল্লাহ তায়ালা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কাবা শরীফে নামায পড়তে ছিলেন। এ সুযোগে পাপি উকবা ইবনু আবি মুয়িত স্থীয় গামছাকে হুযুরের গলায় পেচিয়ে এমন জোরে টান দিল যে হুযুর (সাঃ) এর শ্বাস প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল এবং এ অবস্থায় মসজিদে পড়ে রয়েছিলেন। সুভাগ্যক্রমে হযরত আবু বকর এসে গিয়েছিলেন। তিনি উকবাকে ধমক ও বকা দিলেন এবং হুযুরের গলা থেকে গামছা খুলে ফেললেন এবং কাফিরদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, আফসোস! তোমরা এমন লোককে হত্যা করতে চাচ্ছ, যিনি বলেন-আমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। এ কথা শুনে কাফিরেরা হযরত আবু বকরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো এবং তাকে রক্তরঞ্জিত করে দিল। আর একদিন হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কাবা শরীফে নামায পড়তে ছিলেন। আবু জেহেল কোত্থেকে সেখানে এসে পৌছলো। সাথে ছিল উকবা ও মক্কার কয়েক জন কাফির। আবু জেহেল উকবাকে বললো  অমুক জায়গায় উটের একটি ভূড়ি পড়ে আছে। তুমি ওটা নিয়ে এসে মুহাম্মদের উপর চাপিয়ে দাও। সেই পাপিষ্ঠ গিয়ে ভুড়িটা এনে হুযুরের গলার উপর রাখলো ভূড়িটা এত ভারী ছিল যে হুযুর সিজদা থেকে মাথা উঠাতে পারছিলেন না। এ দৃশ্য দেখে সকল কাফিরেরা দারুন খুশী হলো এবং হা হা করে হাসতে লাগলো। হযরত ফাতিমা (রাঃ) খবর পেয়ে দৌড়ে আসলেন এবং ভূড়িটা গলা থেকে সরায়ে ফেললেন। একবার কাবা শরীফের আঙ্গিনায় মক্কার কাফিরেরা হুযুরকে চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেললো এবং নানা ভাবে বেআদবী করতে লাগলো। কোন একজন হযরত হারেছ বিন আবি হানাকে খবর দিল। সে খবর পেয়ে দৌঁড়ে আসলেন এবং লোকদেরকে বাঁধা দিলেন। লোকেরা চটে গিয়ে হুযুরকে ছেড়ে দিয়ে ওনাকে আক্রমণ করে শহীদ করে দিল। নবুয়াত প্রাপ্তির সপ্তম বছরে কাফিরেরা হুযুর এবং তাঁর গোত্রকে পাহাড়ের একটি গলিতে আটক করে রেখে ছিল। সেই গলির নাম ছিল "আবি তালেবের গলি”। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর মুসলিম ও অমুসলিম আত্মীয় স্বজনকে বাজারে গিয়ে খাদ্য সামগ্ৰী আনতে এবং কেউ দয়া পরবশ হয়ে খাদ্য সামগ্ৰী আনতে চাইলে বাঁধা দেয়া হতো। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এবং বংশের ছোট ছোট শিশুরা যখন ক্ষুধার কারণে কান্নাকাটি করতো তখন কাফিরেয়া গলির সামনে দাঁড়িয়ে অট্টহাসি দিতো। মোট কথা তিন বছর খুবই কষ্টের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছিল, গাছের পাতা খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করেছিল। একবার ওনাদের মধ্যে কোন একজন শুকনা চামড়ার একটি টুকরা ধুইয়ে রান্না করেছিল এবং কষ্ট লাঘব করার জন্য সেটা গিলে ফেলেছিল। কাফিরেরা পরস্পরের মধ্যে লিখিত চুক্তি করেছিল যে সবাই মিলে হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর গোত্রের সবাইকে বয়কট করে ওনাদেরকে কাবু রাখবে। সেই চুক্তি নামাটি কাবা শরীফে করে লিখিত টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছিল। খোদায়ী কুদরত! তিন বছরের মধ্যে উই পোকা সেই চুক্তি নামাটা খেয়ে ফেলেছিল, যার ফলে, চুক্তি ভঙ্গ হয়ে গেল এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) রেহাই পেয়ে গেলেন। আর একবার তায়েফের অধিবাসীদেরকে ইসলামের দাওয়াত পৌছানোর জন্য গিয়ে ছিলেন। ওদেরকে অনেক বুঝালেন কিন্ত ওরা তাঁর সাথে ভাল ব্যবহার করলো না, শহরের সমস্ত ছেলেদেরকে ও গুন্ডা পান্ডাদেরকে তাঁর পিছনে লেলিয়ে দিল। হুযুর (সাল্লাল্লাহ তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) যে দিকে যেতেন, ওসব ছেলে ও বদমাশ লোকেরা তাঁকে গালিগালাজ করে ও পাথর নিক্ষেপ করে তার পিছে পিছে যেত। হযরত যায়েদ বিন্ হারেছা তাঁর সাথে ছিলেন। তিনি যতটুকু সম্ভব হযুরকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাথর ও চিলের আঘাতে উভয়ে আহত হয়ে গিয়েছিলেন। রাস্তায় মধ্যে যে কেউ এ দৃশ্য দেখতো, সেও ওসব বদমাশদের সমর্থক হয়ে যেতো এবং ওদের সাথে পাথর নিক্ষেপে শরীক হয়ে যেত। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) তায়েফ থেকে বের হয়ে আসার পরও ওসব লোকেরা তাঁর পিচু ছাড়েনি। শহরের বাইরে তিন মাইল পর্যন্ত হুযুরের পিছু নিয়েছিল। হযুরের পবিত্র শরীর অনবরত পাথরের আঘাতে রক্ত রঞ্জিত হয়ে গিয়েছিল। পায়ের গোড়ালী থেকে এত বেশী রক্ত বের হয়েছিল যে পাদুকাদ্বয় রক্তে সিক্ত হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) একটি আঙ্গুরের বাগানে আশ্রয় নিলে বদমাশ লোকেরা গালাগালি করে ফিরে গিয়েছিল।


আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রিয় নবীজি হযরত মুহাম্মদ দঃ এর জীবনাদর্শ আমাদের জীবনে অনুসরণ করার তৌফিক দান করুন আমিন। 


পূর্ববর্তী পর্ব সমূহ পড়ূন-






নতুন নতুন ইসলামিক কন্টেন্ট  পড়তে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad