মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব ৩

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব ৩

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব ৩



মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব - ০২  এর পর থেকে 

পর্ব ৩

হুযুর (আলাইহিস সালামএর শাদীয়ে মুবারক

মক্কা শরীফে খদিজা নাম্নী এক সম্মানিতা ও নেককার মহিলা ছিলেন।  পঞ্চম পুরুষে গিয়ে তাঁর বংশের সিলসিসা হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর বংশের সাথে মিলে যায়।  হযরত খদিজা (রাদ্বি আল্লাহ তাআলা আনহা) এমন সতী সাধবী ও উন্নত স্বভাব চরিত্রের অধিকারিনী ছিলেন যে মক্কার লোকেরা তাঁকে 'তাহেরা’ নামে ডাকতেন।  মক্কা শরীফে হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর আমানতদারীর কথা ছড়িয়ে পড়েছিল। হযরত খদিজা (রাদ্বি আল্লাহ তাআলা আনহা) তাঁর ব্যবসার সামগ্রী অন্যান্য দেশ সমূহে নিয়ে যাবার জন্য হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা অালাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কাছে প্রস্তাব পাঠান।  হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) চাচার সাথে পরামর্শ করার পর সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন।  


এরপর কয়েক বছর যাবত হযরত খদিজার ব্যবসার সামগ্রী নিয়ে সিরিয়া, ইয়ামন, পারস্য, বাহরাইন ইত্যাদি দেশে ব্যবসার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে অতূতপূর্ব মুনাফা অর্জন করেন।  হযরত খদিজা তাঁর (সাল্লাল্লাহু তাঅালা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) চাত্রিরিক গুণাবলী, সততা ও ব্যবসায়িক যোগ্যতা দেখে মূহিত হয়ে বিবাহের প্রস্তাব দেন। তখন আমাদের প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর বয়স হয়েছিল পঁচিশ বছর আর হযরত খদিজা (রাদ্বি আল্লাহু তাআলা আনহা) এর বয়স হয়েছিল চল্লিশ বছর।  তিনি (সাল্লাল্লাহু তাআলা অালাইহে ওয়া সাল্লাম) এ প্রস্তাবের কথা চাচা আবু তালেবকে জানান।  চাচা সেই প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করেন এবং তিনি নিজেই বিবাহের আকদ পড়ান।  পাঁচশ দিরহাম মােহর নির্ধারণ করে শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়।  


হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাঅালা অালাইহে ওয়া সাল্লাম) হযরত খদিজা (রাদ্বি আল্লাহু তাআলা আনহা) কে খুবই ভালবাসতেন৷ তাঁর জীবিতাব়স্থায় তিনি (সাল্লাল্লাহু তাআলা অালাইহে ওয়া সাল্লাম) দ্বিতীয় বিবাহ করেননি ৷ হযরত খদিজা (রাদ্বি আল্লাহু তাআলা আনহা) এর ঘরে অাল্লাহ তাআলা  তাঁকে তিন ছেলে ও চার মেয়ে দান করেন৷ ছেলেদের নাম ছিল আবদুল্লাহ, কাসেম ও ইব্রাহীম, যারা শৈশবাস্থায় মারা যান।  মেয়েদের নাম রাখা হয়েছিল ফাতেমা, যায়নব, রোকেয়া ও উম্মে কুলসুম (রাদ্বি আল্লাহু তাআলা আনহুমা)।

ফজিলত পূর্ণ দরুদ , "দুরুদে তাজ" পড়তে এখানে ক্লিক করুন। 

নবুয়ত প্রকাশের আগে

হজ্বের সময় প্রতি বছর দূর-দূরান্ত থেকে লোকেরা মক্কা শরীফে হজ্ব করতে আসতেন। জনাব আবু তালেব তাঁর নীতি অনুসারে হাজীদের সাধ্যমত খেদমত করতেন। আমাদের প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহ তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাথে হাজীদের মেহমানদারীতে রাতদিন নিয়োজিত থাকতেন। হাজীদের তাবুতে তাবুতে গিয়ে বলতেন, আপনাদের কারো কোন অসুবিধা বা কষ্ট হলে আমাকে বলুন। হাজীরা যখন  হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর মহৎ আচরণ দেখতেন, তখন বলতেন, আবু তালেবের ভাতিজা তো বড় ভাল মেহমান আপ্যায়নকারী! ইতোপূর্বে উল্লেখিত হয়েছে যে নবুয়াতের ঘোষণা দেয়ার আগেও হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সমস্ত আরব জাহানে সত্যবাদী ও আমানতদার হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। 


স্বীয় উন্নত স্বভাব চরিত্রের কারণে স্বীয় গৌত্রের কাছে বড় সম্মানের পাত্র ছিলেন। প্রায় লোকেরা হযুর (আলাইহিস সালাম) এর কাছে জিনিষ পত্র, টাকা পয়সা আমানত রাখতেন। এক সাহাবী বর্ণনা করেন, হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) নবী হওয়ার আগে আমি তাঁর কাছে কিছু টাকা পয়সা দেনা ছিলাম। একদিন হুযুরের সাথে রাস্তায় আমার দেখা হলে আমি বললাম, আমি আসতেছি। আপনি এখানে অপেক্ষা করুন”, হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সম্মতি জ্ঞাপন করলেন। 

১৫০ টি সেরা ইসলামিক উক্তি বা ইসলামী বানী [Top 150 Islamic Quotes in Bangla]

ঘরে এসে আমি ওয়াদার কথা ভুলে গেলাম, তিন দিন পর্যন্ত আমার স্বরণ হয়নি। তৃতীয় দিন যখন আমার স্মরণ হলো, তখন ওখানে গিয়ে দেখি। তিনি (সাল্লাল্লাহ তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সেই জায়গায় বসে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। আমাকে দেখে একটুও রাগান্বিত না হয়ে শুধু এতটুকু বললেন-তুমি ওয়াদার কথা ভুলে গেছ। আমি তিন দিন যাবত এ জায়গায় তোমার অপেক্ষায় আছি। একদিন হুযুর (সাল্লাল্লাহ তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বাজারে যাবার সময় দেখলেন যে এক অন্ধ মহিলা হুছুট খেয়ে পড়ে গেল এবং বাজারের লোকেরা হাসতে লাগলো। এ অবস্থা দেখে হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর চোখে পানি এসে গেল। তিনি সেই মহিলাকে উঠালেন এবং ওর হাত ধরে ওর ঘরে পৌছিয়ে দিলেন। 

এরপর প্রতিদিন ওর ঘরে রান্নাকরা খাবার নিয়ে যেতে লাগলেন। আর একবার হযুর (সাল্লাল্লাহ তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) দেখলেন যে এক শ্রমজীবী মহিলা মাথার উপর লাকড়ীর বোঝা নিয়ে বাজারে যাচ্ছিল এবং বাজারের লোকেরা ওকে টিটকারী মারছিল। হুযুর (সাল্লাল্লাহ তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) লোকদেরকে তিরস্কার করলেন এবং ফরমালেন তোমাদের লজ্জা থাকা দরকার। ওকে কোন সাহায্য করছ না বরং ওকে টিটকারী মারতেছ। 

একবার এক ব্যক্তি বাজারে নিজের স্ত্রীকে মারতেছিল এবং অনেক লোক দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিল। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ডাক দিয়ে বললেন, মহিলাকে মারো না এবং বাজারে ওকে হেয় প্রতিপন্ন করো না। মেয়েলোককে মারা কোন বাহাদুরীর কাজ নয়। একবার হুযুর (আলাইহিস সালাম) দেখলেন যে, এক গোলাম চাকিতে আটা পিষতেছে এবং কাঁদতেছে। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কাছে গিয়ে জানতে পারলেন যে, সে খুবই অসুস্থ কিন্তু মনিবের জুলুমের ভয়ে আটা পিষতেছে। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ওর পাশে বসে গেলেন এবং ওকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই আটা পিষে দিলেন এবং ফরমালেন "যখন তোমার প্রয়োজন হয়, তোমার আটা পিষার জন্য আমাকে ডাকিও।" 

আবু সুফিয়ানের এক গোলাম অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। হুযুর (সাল্লাল্লাহ তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) জানতে পারলেন যে সেই রোগাক্রান্ত গোলামটি কয়েকদিন যাবত একাকী পড়ে রয়েছে এবং কোন ব্যক্তি ওর খোঁজ খবর নিচ্ছেনা। হযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ওর সঙ্গে গেলেন এবং সারারাত ওর পাশে বসে কাটিয়ে দিলেন । সে যখন কষ্টে উহ উহ করতো তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) অভয় দিয়ে বলতেন, "ভয় কর না মুহাম্মদ তোমার পাশেই আছে!” 

একবার এক আমীর স্বীয় বাঁদীকে মারতে ছিল এবং বাদীটি 'বাঁচাও , বাঁচাও‘ বলে চিৎকার করছিল ) হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ওখানে তশরীফ নিয়ে গেলেন এবং আমীরকে মারধর থেকে বারণ করলেন কিন্তু সে বেআদবী করলো এবং বললো আমার বাঁদীর ব্যাপারে নাক গলানোকারী তুমি কে ?’ 

হুযুর ফরমালেন; আমি নিশ্চয় এক মজলূম মহিলার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবাে৷ এরপর হুযুর ফিরে আসলেন কিন্তু সারা রাত ঘুমাতে পারলেন না শুধু চটপট করছিলেন এবং বারবার বলতে ছিলেন, ওই জাতির কি পরিণতি হবে, যারা দূর্বল মহিলার উপর জুলুম করে ? আহ! আমি যদি সেই বাদীটাকে সাহায্য করতে পারতাম। হযরত খদিজা হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর এ মনােকষ্ট আঁচ করতে পেরে আরয করলেন আপনি আরামে ঘুমান; আমি সকালে সেই বাদীটা ক্রয় করে আযাদ করে দিব।  এটা শুনে হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সীমাহীন সম্ভষ্ট হলেন। পরদিন সকালে হযরত খদিজা (রাঃ) অধিক মুল্য দিয়ে বাদীটি ক্রয় করলেন এবং আযাদ করে দিলেন।  

একবার হুযুর (সাল্লাল্লাহু তআেলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) দেখলেন, এক বৃদ্ধ গোলাম বাগানে পানি দিচ্ছিল কিন্তু বয়সের কারণে ওর এমন হয়েছিল যে, কূপ থেকে পানি তোলার সময় হাত কাঁপছিল। আমাদের প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ওনার কাছে গেলেন এবং বালতিটা ওনার থেকে নিয়ে নিজে কূপ থেকে পানি উঠায়ে বাগান সিক্ত করে দিলেন।  এরপর আরও বললেন, আগামীতে যখন বাগানে পানি দিতে হয়, তখন আমাকে ডেকে নিবেন আমিও দিব ৷ 

আর একবার হুযুর (আলাইহিস সালাম) একটি ছেলেকে ঠান্ডায় কম্পমান অবস্থায় রাস্তা দিয়ে যেতে দেখলেন ছেলেটির শরীরে কোন গরম কাপড় ছিলনা।  হুযুর ওর কাছে গেলেন এবং ওর অবস্থা জিজ্ঞাসা করলেন।  ছেলেটি বললো, “আমি এক এয়াতিম গোলাম এবং আমার মুনিব আমার উপর খুব জুলুম করে।  একথা শুনে হুযুরের চোখে পানি এসে গেল, তিনি (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ছেলেটাকে কাপড় জড়ায়ে দিলেন এবং শান্তনা দিলেন। 

 দ্বিতীয় দিন দেখলেন যে সেই ছেলে খুর ভারী বোঝা মাথায় নিয়ে যাচ্ছিল এবং অতি বোঝার কারণে গরদান নূয়ে পড়েছিল। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাঅালা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) তাড়াতাড়ি গিয়ে ছেলের বোঝাটা নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন এবং যেখানে নিয়ে যাবার ছিল, ওখানে পৌছিয়ে দিলেন। তারপর আরও বললেন, হে বালক! তোমার কষ্টের সময় মুহাম্মদকে স্বরণ করিও।

একবার হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) খবর পেলেন যে, এক ইহুদীর গোলামের মারাত্মক অসুখ হয়েছে। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ওকে দেখার জন্য ওর ঘরে গেলেন। তখন খুবই অন্ধকার ছিল। গোলামটি কাপড় মুড়ে দিয়ে শুইয়েছিল। সে হুযুরের আওয়াজ শুনে বলে উঠলো-আমার মুনিব কি আমার খেদমত করার জন্য কোন গোলাম পাঠালেন? হযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন, হ্যাঁ, আমি তোমার খেদমতের জন্য এসেছি। অতপর হুযুর সারারাত সেই গোলামটির পাশে সারারাত রয়ে সেবা করলেন। 

হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) শৈশব ও যৌবনকালেও শিরক (মূর্তি পূজা) থেকে বিরত ছিলেন। কেউ করতে দেখলে নিষেধ করতেন। একবার কুরাইশেরা মুৰ্তিদের নামে পূজার খাবার হুযুরকে খেতে দিলেন। হুযুর সুস্পষ্টভাবে খেতে অস্বীকার করলেন। আমাদের প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর শৈশব থেকেই মূর্তিদের প্রতি ঘৃণাবোধ ছিল। হুযুর (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কখনও মূর্তিঘরে যাননি এবং কোন মূর্তি পূজার মেলাতেও কখনো অংশ গ্রহণ করেননি। নবী হওয়ার আগেও তাঁর বন্ধু বান্ধবগণ সবাই ছিলেন সৎ চরিত্রবান। ওনাদের মধ্যে সবার শীর্ষে ছিলেন, হযরত আবু বকর (রাদি আল্লাহ তাআলা আনহু)।


আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রিয় নবীজি হযরত মুহাম্মদ দঃ এর জীবনাদর্শ আমাদের জীবনে অনুসরণ করার তৌফিক দান করুন আমিন। 


পূর্ববর্তী পর্ব সমূহ পড়ূন-

১।  মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব - 


২।  মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব - 


৩।  মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব - 


৪।  মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব - ৪


৫।  মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনী- পর্ব - 


নতুন নতুন ইসলামিক কন্টেন্ট  পড়তে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad