হজ্ব ও উমরার গুরুত্ব ও ফযীলত: পর্ব -০১

হজ্ব ও উমরার গুরুত্ব ও ফযীলত: পর্ব -০১


 হজ্ব ও উমরার গুরুত্ব ও ফযীলত: পর্ব -০১


ইসলামের মূল স্তম্ভসমূহের পঞ্চমহলো হজ্বে বায়তুল্লাহ্। ঈমান, নামায,যাকাত ও রোযার পরই হজ্বের অবস্থান।হজ্ব মূলত কায়িক ও আর্থিক উভয়ের সমন্বিত একটি ইবাদত।তাই উভয় দিক থেকে সামর্থ্যবান মুসলিমের উপর হজ্ব পালন করা ফরয।

অর্থাৎ হজ্ব আদায়ে সক্ষম এমনশারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় খরচাপাতি ও আসবাবপত্রের অতিরিক্ত হজ্বে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্ব আদায়কালীন সাংসারিক ব্যয় নির্বিহে সক্ষম এমন সামর্থ্যবান ব্যক্তিরউপর হজ্ব আদায় করা ফরয।হজ্ব প্রত্যেক মুসলমানের উপর সারা জীবনে একবারই ফরয হয়।একবার ফরয হজ্ব আদায়ের পর পরবর্তী হজ্বগুলো নফল হিসেবে গণ্য হবে।

এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা:) বর্ণনা করেন,একদা রাছুলুল্লাহ্  (ছল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াছল্লাম) আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন----

يا أيها الناس! إن الله كتب عليكم الحج، فحجوا، فقال رجل : أكل عام يا رسول الله؟ فكست حتى قالها ثلاثا، ثم قال : لو قلت نعم لوجبت ولما استطعتم.

হে মানবসকল! আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের উপর হজ্ব ফরয করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ্ব করো।এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাছুল্লাল্লাহপ্রতি বছর কি হজ্ব করতে হবে? তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল।অতপর রাছুলুল্লাহ্ (ছল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াছল্লাম) বললেন, আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে তা (প্রতি বছর হজ্ব করা) ফরয হয়ে যেতো, কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩৩৭ (৪১২); মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১০৬০৭; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৩৭০৪; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস : ২৫০৮; সুনানে নাসায়ী ৫/১১০; শরহে মুশকিলুল আছার, হাদীস : ১৪৭২; সুনানে দারাকুতনী ২/২৮১)

 ইবনে আববাস (রা:) হতে বর্ণিত অনুরূপ হাদীসে আরো বলা হয়েছে, হজ্ব (ফরয) হল একবার, এরপরে যে অতিরিক্ত আদায় করবে তা নফল হিসেবে গণ্য। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৩০৪; সুনানে দারিমী, হাদীস : ১৭৮৮; সুনানে নাসায়ী ৫/১১; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ১৭২১; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ২৮৮৬; মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস : ৩২০৯)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad