হযরত শাহজালাল (রহ)-এর মাজার পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আছো ২০২৩ সালের তাদের জন্য নিয়ে এলাম হযরত শাহজালাল (রহমাতুল্লাহি আলাইহির) মাজার পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনার উপর আজকের প্রবন্ধ । তো আশাকরব তোমাদের অনেক ভাল লাগবে ।
হযরত শাহজালাল (রহ)-এর মাজার পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর
হযরত শাহজালাল (রহ.) ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত দরবেশ ও পীর। তিনিই প্রথম সিলেট অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ইসলাম প্রচার ও প্রসার করেন। আজও তার আধ্যাত্মিক সাধনা এবং শক্তি, তার নিঃস্বার্থ প্রকৃতি এবং মানুষের প্রতি তার অপরিসীম ভালবাসার কারণে জীবনের সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা ও ভক্তি দেখায়। এমন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব ও মহান শিরোমণির মাজার জিয়ারত করা আমার কর্তব্য মনে করে সিলেট পৌছালাম। এক বন্ধুর বাসায় গেলাম। আমি তাদের স্বাগত ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ। পরদিন সকালে মাজার জিয়ারত করার সময় তারা ছিল আমাদের সঙ্গী ও পথপ্রদর্শক। তারা বলেন, হজরত শাহজালাল (রহ.) অত্যাচারী রাজা গৌড় গোবিন্দকে পরাজিত করে ৩৬০ জন সঙ্গী নিয়ে সিলেটে আসেন। আর সিলেটের মাটি আরবের মাটির মতো হওয়ায় তিনি এখানে বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন।
হযরত শাহজালাল (রহ)-এর মাজার পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর
তিনি দরগাহ মহল্লার একটি ছোট পাহাড়ে তাঁর আস্তানা বা হুজরা প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানে ইবাদত করেন। গেট দিয়ে আমরা মাজার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলাম। ডানদিকে ছোট্ট একটা পাহাড়। এখানেই তার মাজার। সিঁড়ি বেয়ে মাজারে গিয়ে নামাজ পড়লাম। মাজারের দক্ষিণ পাশে গ্রিল দিয়ে ঘেরা ছোট তারা খচিত বাড়িটি তাঁর মাজার। জায়গাটা মাত্র দুই ফুট চওড়া। এখানে তিনি ২৩ বছর ধরে ইবাদত করেছিলেন। দরগাহ চত্বরে একটা সুন্দর মসজিদ দেখলাম। সুরমা রঙের অনেক কবুতর উড়তে দেখেছি, এগুলো জালালী কবুতর। তাদের কেউ ধরে না বা খায় না। কবুতরের পাল দেখে ভালো লাগলো। মাজার চত্বরের উত্তর পাশে একটি পুকুর রয়েছে। এখানে অনেক গজার মাছ আছে। ছোট মাছ কিনে ২-৩টি গজার মাছকে খাওয়ালাম।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর
অভিজ্ঞতা বর্ণনা লেখার নিয়ম HSC
মাজারের পূর্ব দিকে একটি একতলা বাড়ির ভেতরে তিনটি বড় আকারের ডেকচি রয়েছে। শুনেছি এগুলো কখনো রান্না হয় না। কিন্তু সাত মণ চাল ও সাত মণ গরুর মাংস একবারে রান্না করা যায়। এখানে কিছু টাকা দিলাম। একদিকে জমজম কূপ আর ঝর্ণা। দিনরাত স্রোত বয়ে যায়। মাজার এলাকার পাশের দুটি বাড়িতে হযরত শাহজালালের রহমাতুল্লাহি আলাইহি ব্যবহৃত তলোয়ার, খাম, প্লেট, বাটি ইত্যাদি রয়েছে । প্রতিটি আকার বেশ বড় এবং ভারী অনুভূত হল, এখানেই জানতে পারলাম হযরত শাহজালাল (রহ.) তাঁর পীরের নির্দেশে সুদূর ইয়েমেন থেকে ভারতে এসেছেন। তিনি ১৩৪০ খ্রিস্টাব্দে ৬৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। চিরকুমারের পর থেকে তিনি তাঁর জীবনকে শুধুমাত্র ইসলামের সেবা, ইবাদত ও মানবজাতির কল্যাণে উৎসর্গ করেছেন। মনের মধ্যে আধ্যাত্মিক বাতাস নিয়ে মাজার প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে এলাম।