এশার নামাজের নিয়ত এবং এশার নামাজ কয় রাকাত
আজকের পোস্ট থেকে আমরা জানব এশার নামাজের নিয়ত এবং এশার নামাজ কত রাকাত । তো চলুন আজকের পোস্ট শুরু করা যাক ।
এশার নামাজ ১৭ রাকাত
১. চার-রাকাত সুন্নত।
২. চার-রাকাত ফরজ।
৩. দুই-রাকাত সুন্নত।
৪. দুই-রাকাত নফল।
৫. তিন-রাকাত বেতর।
৬. দুই-রাকাত নফল।
এশার চার-রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَالَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعِشَاءِسُنَّةُ رَسُوْلِ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশাই সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।
বাংলা অর্থ
এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার চার-রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعِشَءِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশাই ফারদুল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর
বিঃদ্রঃ-ঈমামের পিছনে পড়লে ফারদীল্লা-হি তাআ'লা বলার পরে ইকতাদাইতু বিহা-যাল ইমাম বলবে।
বাংলা অর্থ
এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার দুই-রাকাত সুন্নাত নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْعِشَاءِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকায়াতি ছালাতিল এশাই সুন্নাতু রাসুলল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতি শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার দুই-রাকাত নফল নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِالْنَفْلِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতি ছালাতিল নফলে মোহাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
এশার দুই-রাকাত নফল নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার তিন-রাকাত বেতর নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْوِتْرِوَاجِبُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা সালাছা রাকায়াতি ছালাতিল বিতরে ওয়াজিবুল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার দুই-রাকাত নফল নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِالْنَفْلِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতি ছালাতিল নফলে মোহাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
এশার দুই-রাকাত নফল নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার তিন-রাকাত বেতর নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْوِتْرِوَاجِبُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা সালাছা রাকায়াতি ছালাতিল বিতরে ওয়াজিবুল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার দুই-রাকাত নফল নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِالْنَفْلِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতি ছালাতিল নফলে মোহাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
এশার দুই-রাকাত নফল নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার তিন-রাকাত বেতর নামাজের নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْوِتْرِوَاجِبُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা সালাছা রাকায়াতি ছালাতিল বিতরে ওয়াজিবুল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
এশার দুই-রাকাত নফল নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
এশার নামাজের তাসবিহ
উচ্চারণঃ হুয়াল্ লাতিফুল খাবীর।
অর্থঃ তিনি পাক ও অতিশয় সর্তকশীল।
বিঃদ্রঃ-এশার নামাজের শেষে ১০০ বার পাঠ করার তাসাবীহ্।
এশার নামাজের সময়-সূচী
এশারঃ-গোধুলী পেরিয়ে রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসার পর হতে এই নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং রাতের এক তৃতীয়াংশ সময় থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যে কোন সময়ে নামাজ আদায় করে নেয়া যেতে পারে।
বিঃদ্রঃফজর,যোহর,আছর ও মাগরিবের নামাজ বেশি দেরি না করে ওয়াক্ত হয়ে যাবার কিছু সময়ের মধ্যেই আদায় করে নেয়া উত্তম। কোন কারনে সময় সম্পর্কে যদি খেয়াল না থাকে বা ঘুমিয়ে থাকলে বা কোন বিশেষ কারনে কোন নির্দিষ্ট নামাজের ওয়াক্তের সময় পেরিয়ে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা আদায় করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই নামাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে অর্থাৎ যে ওয়াক্তের নামাজ মিস হয়েছে তা আগে আদায় কোরে নিতে হবে।
যেমন সূর্যাস্তের আগে আছরের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে সূর্যাস্তের পর আগে আছরের নামাজ এবং তারপর মাগরিবের নামাজ আদায় করতে হবে। তবে এর জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। সফরে থাকলে মাগরিব একটু দেরিতে পড়ে তার পরপরই ইশার নামাজ আদায় করে নেয়ার অবকাশ রয়েছে। আবার সূর্য ঢলে পড়ার আগে সফরে বের হলে যোহর একটু দেরিতে পড়ে একসাথে আছরের নামাজ আদায় করে নেয়া যায়।