ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা কি? সন্তান-সন্তুতিকে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানে উপকারিতা
👉 ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা কি?
ইসলামী শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল একজন মুসলমানের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে জীবনের সকল স্তরে আল্লাহর বিধান মেনে চলা এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা। একজন মুসলিমের প্রধানতম কাজ হল মানুষকে ভালোর দিকে আহ্বান এবং খারাপ থেকে দূরে রাখা । মানুষের প্রতি মানুষের সহানূভুতি এবং ভালবাসা জাগ্রত করা । আল্লাহতাআলার বন্ধুগন বা অলিরা মানুষকে আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার আগে ভালবাসা বা মুহাব্বতের শিক্ষা দিয়েছেন । এজন্যই হাদীসে এরশাদ হয়েছে - আলা লা ইমানা লিমান লা মুহাব্বাতালাহু । অর্থাৎ যার কাছে নবীজীর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুহাব্বত নাই,তার ইমান নাই । আল্লাহ আমাদের আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।
👉 ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এর ইংরেজি কি?
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এর ইংরেজি হল Islam and Moral Education
👉 দরসে হাদিসঃ সন্তান-সন্তুতিকে নৈতিক শিক্ষাদান
عَنْ عَلىَّ رَضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قالَ ادّبوا اولادكم على ثلاث خصالٍ حُبّ نبيكم وحب الى بيته وتلاوة القران فان حملة القران فى ظل عرش الله يوم لاظِلَّ اِلا ظلّه مع اصفيابه [رواه الطبرانى]
অনুবাদ : হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমাদের সন্তানদের তিনটি আদর্শ শিক্ষা দাও, তোমাদের নবীর প্রতি ভালোবাসা পোষণ, তাঁর পরিবার ও বংশধরদের প্রতি ভালোবাসা পোষন এবং কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা দাও। কেননা কুরআনের জ্ঞান বহনকারী আল্লাহর আরশের ছায়ায় অবস্থান করবে, যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না। সেদিন নবী ও ওলীগণের সাথে আরশের ছায়ায় অবস্থান করবে। [তাবরানী শরীফ]
প্রাসঙ্গিক আলোচনাঃ
বর্ণিত হাদীস শরীফে সন্তান-সন্তুতিদের নৈতিক শিক্ষাদান ও আদর্শ চরিত্র গঠনের নির্দেশনা উপস্থাপিত হয়েছে। পিতা-মাতার জন্য সন্তান-সন্তুতি আল্লাহর এক মহান নিয়ামত, নিজ সন্তান-সন্তুতিকে নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে পারলে তারাই হবে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। সন্তান আদর্শবান চরিত্রবান ও নৈতিকতায় নিজেকে সমুন্নত করতে পারলে তারা পিতা-মাতার সুনাম ও সুখ্যাতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক ভূমিকা পালনে সমর্থ হন। সন্তান যদি আদর্শহীন ও চরিত্রহীন পরিবেশে গড়ে উঠে তা গোটা পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কলংকের কারণ হয়ে যায়। সন্তানদের নৈতিক শিক্ষাদানে আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তুলতে পিতা-মাতার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
👉 ১. সন্তানের অন্তরে নবীপ্রেম সৃষ্টি করা
নবীজির প্রতি অকৃত্রিম প্রেম ভালোবাসাই খোদা প্রাপ্তির পূর্বশর্ত। ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের সন্তুষ্টি অর্জনের বিকল্প নেই।
ছোটকাল থেকেই শিশুদের অন্তরে নবীপ্রেম সৃষ্টি করার জন্য মাতাপিতাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। নবীজীর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন। অন্তরাত্মার গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন। নবীজির মহানত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে সন্তানকে জ্ঞান দান করতে হবে। ইসলাম প্রচারে নবীজির ত্যাগ ও কুরবানীর ইতিহাস ও চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে সন্তানদের অন্তরে নবীপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। অন্তরে নবী প্রেম সৃষ্টির সহায়ক বিভিন্ন কর্মসূচির সাথে নিজ সন্তানদের সম্পর্ক ও সংযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এ পর্যায়ে নাত-ই রসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম শিক্ষা দান, ঈদে মিলাদুন্নবীর মাহফিল ও জশনে জুলুসের বৃহত্তম সমাবেশে নিজ সন্তানদের উপস্থিতকরণ, ধর্মীয় দ্বীনি সুন্নী আক্বিদাভিত্তিক মাহফিলে অংশগ্রহণ ও যোগ্য অভিজ্ঞ আলেমে দ্বীনদের মাহফিলে কুরআন সুন্নাহর সঠিক বর্ণনা শ্রবণ ও তদানুযায়ী আমলের প্রশিক্ষণ সন্তানদের ব্যবহারিক জীবনে বাস্তবায়ন ইত্যাদি পন্থায় সন্তানদের অন্তরে রাসূলপ্রেমের চেতনা সৃষ্টি করা, দরূদ শরীফের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে সন্তানদের জ্ঞান দান, দরূদ সালামের প্রতি মহব্বত ও ভালোবাসা সৃষ্টি করান। অন্যথায় নিজের অনুসৃত আদর্শের বিপরীতে সন্তান গড়ে উঠলে এর ভয়াবহ করুণ পরিণতি পরিবারের অভিভাবক, মাতাপিতাকেই বহন করতে হবে।
নিজ সন্তানদের প্রতি অবহেলার কারণে অনেক সুন্নী পরিবারের সন্তান-সন্তুতি, সুন্নী আক্বিদা বিরোধী ভাবধারা ও চিন্তা চেতনায় প্রভাবিত হয়ে পড়ছে। ফলে আদর্শিক বিরোধের কারণে পারিবারিক অশান্তি ও পিতা মাতার প্রতিও অশ্রদ্ধার কারণে দুর্ভাগ্যজনক পরিণতির শিকার হচ্ছে।
👉 ২. সন্তানদের অন্তরে আহলে বায়তের ভালোবাসা সৃষ্টি করা
আহলে বায়ত তথা নবীজির পরিবার-পরিজন ও বংশধরদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন ঈমানের অপরিহার্য বিষয়। তাঁদের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন নাজাতের অন্যতম ওসীলা। পক্ষান্তরে তাঁদের প্রতি অবজ্ঞা, অসম্মান, অশ্রদ্ধা ও বিদ্বেষপোষণ সকল প্রকার খোদায়ী শাস্তি ও অশান্তির মূল কারণ। নবীজির পরিবার তথা বংশধরগণ এমন পূতপবিত্র সত্তা যাঁদের স্মরণ ও সম্মান প্রদর্শনকে নামাযের অভ্যন্তরে বিধানভুক্ত করা হয়েছে। যাদের প্রতি শ্রদ্ধাভরে দরূদ পাঠ না করলে সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত নামাযও পরিপূর্ণ হবে না। আল্লাহর দরবারে কবুলও হবে না। তাঁদের ত্যাগ ও কুরবানির বদৌলতে বিশ্বব্যাপী আজ ইসলাম প্রসারিত। তাঁদের ব্যবহারিক জীবনের আদর্শ ও অনুপম গুণাবলীর সংস্পর্শে আশ্রিত হয়ে পৃথিবীর দিগ দিগন্তে অগনিত সত্যান্বেষী মুক্তিকামী মানুষ সিরাতুল মুস্তাকিমের সন্ধান লাভে ধন্য হয়েছে।
তাঁদের আদর্শ শিক্ষা কর্ম ও অবদান, সন্তানদের মাঝে তুলে ধরা ও তাঁদের জীবনাদর্শের প্রতি অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করা তাঁদের আদর্শ অনুসরণের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বর্ণনা করে সন্তানদেরকে নৈতিকভাবে বলিষ্ট চরিত্রের অধিকারী করা পিতা-মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
👉 ৩. কুরআন মজীদের তিলাওয়াত শিক্ষা দেয়া
কুরআন তিলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত। নৈতিক শিক্ষার মূল উৎস হচ্ছে কুরআনের শিক্ষা। পবিত্র কুরআনুল করীম এমন এক ঐশীগ্রন্থ যেটা অর্থ না বুঝলেও প্রতিটি অক্ষর তিলাওয়াতে দশটি নেকী অর্জনের সুসংবাদ রয়েছে।
আল কুরআন আল্লাহ্ প্রদত্ত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আল কুরআনকে যারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, তাদের প্রধান কর্তব্য হলো আল কুরআনের আবেদন বুঝা, অনুধাবন করা ও অনুশীলন করা, কুরআনের শিক্ষা নিজে গ্রহণ করা ও অন্যদের মাঝে তা প্রচার করা। আল কুরআন সম্পর্কে স্বয়ং রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-
خيركم من تعلم القران وعلمه [البخارى]
তোমাদের মাজে সর্বোত্তম বক্তি। সে যে কুরআন শিখে এবং শিখায়। [বুখারী] ৪. এ মহাগ্রন্থ আল কুরআন এমন এক ঐশীগ্রন্থ, যার সত্যতার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। এর প্রতিটি কথা, প্রতিটি বাণী, প্রতিটি বক্তব্য, প্রতিটি তথ্য, প্রতিটি সংবাদ যা এতে বর্ণিত হয়েছে সেগুলো নিরেট নির্ভুল নিখুঁত, শাশ্বত চিরন্তন। বিগত দেড় হাজার বছরের ইতিহাসে পৃথিবীর কোন জ্ঞানী মহাজ্ঞানী, দার্শনিক আল কুরআনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি। এতে রয়েছে মানুষের ভালমন্দের নির্দেশনা, হারাম-হালালের বর্ণনা, কল্যাণ-অকল্যানের পথ। কোনটি মানবতার মুক্তি ও শান্তির পথ কোনটি ধ্বংস ও শাস্তির পথ, কোনটি জান্নাতের পথ, কোনটি জাহান্নামের পথ, কোন পথে আল্লাহ্ ও তার রসূলের সন্তুষ্টি; কোন পথে আল্লাহ্ ও তার রসূলের অসন্তুষ্টি। এ সব বিষয়ে আলোচিত হয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআনে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও বাস্তব আজকের মুসলিম সমাজ কুরআন চর্চা ও কুরআন শিক্ষা সম্পর্কে ক্রমাগত বিছিন্ন হয়ে পড়েছে, এ মহান কিতাবের আবেদন ও মর্মবাণী সম্পর্কে আজকের ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ অবহিত নন।
মা-বাবার উদাসীনতা অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে আজকে অনেক মুসলিম পরিবারের সন্তানেরা কুরআন পড়তে জানে না। কেউ কেউ পড়তে পারলেও এর মর্ম বুঝতে আগ্রহ নেই।
অনেক মুসলিম পরিবারের কর্তা ব্যক্তিরা সন্তান-সন্তুতিকে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ, বিজ্ঞান, ভুগোল, অর্থনীতি, পৌরনীতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান দানে সচেষ্ট অথচ বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম মহাগ্রন্থ ও সর্বাধিক পঠিত আল কুরআনের ব্যাপারে উদাসীন।
ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কুরআনকে উপেক্ষা করে যাচ্ছে। আপনি যে কোনো দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করুন না কেন একবার কুরআন পড়–ন, কুরআনকে ভালবাসুন, কুরআনের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করুন। কুরআনের মর্মবাণীটা অনুধাবন করুন। কুরআনের নির্দেশিত পথে চলুন, নিজের সন্তানকে পরিচালিত করুন। পরিবারের সস্য ও সহকর্মীদের মাঝে কুরআনের নীতি আদর্শ প্রচার করুন। সর্বত্র কুরআনের আলো ও হেদায়ত ছড়িয়ে দিন। কুরআনের দাবী অনুযায়ী কুরআনকে আঁকড়িয়ে ধরুন। জানার জন্য বুঝার জন্য, মানার জন্য কুরআন পড়–ন, নিজের সন্তানের মাঝে এ প্রেরণা সৃষ্টি করুন। কুরআন বুঝার মাধ্যমে ছাহেবে কুরআন তথা কুরআনের ব্যাখ্যাকার। কুরআনের বাস্তব মডেল নবী মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহর জীবনাদর্শকে গ্রহণ করুন। নবীজিকে প্রাণাধিক ভালোবাসুন, নবীজির মর্যাদা নবীজির অনন্যতা অনুধাবন করুন, কুরআনের নির্যাস কুরআনের নির্ভুল সর্বাধিক গ্রহনযোগ্য নির্ভরযোগ্য অনুবাদ ও তাফসীরগ্রন্থসমূহ অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। আ’লা হযরত অনূদিত কানযুল ঈমান সংগ্রহ করা, নিয়মিত পড়া এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করা দরকার। বাংলা, উর্দু, ইংরেজি, হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত কানযুল ঈমান মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা সুরক্ষায় রক্ষা কবচ। নিজের পরিবার-বাড়িতে দোকানে প্রতিষ্ঠানে কর্মস্থলে যেখানেই থাকুন আপনার কর্মসূচিতে কুরআন তিলাওয়াতকে অপরিহার্য করে নিন। কুরআন তিলাওয়াত ও এর অর্থ বুঝে প্রিয় নবীর সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তবে তাবেয়ীন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, বুজুর্গানে দ্বীন, আউলিয়ায়ে কামেলীন, গাউস, কুতুব, আবদাল, আল্লাহর পুণ্যাত্মা প্রিয় বান্দাদের মর্যাদা কুরআনের আলোকে বুঝার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনি সফল হবেন। মহান আল্লাহ্ হিদায়ত নসীব করুন।
👉 ৪. সন্তান-সন্তুতিকে ইবাদতে অভ্যস্ত করা:
শিশুকাল থেকে সন্তান-সন্তুতির অন্তরে ইবাদত বন্দেগী ও নামাযের প্রতি অনুপ্রাণিত করা, নামাযের মহবত তাদের অন্তরে সৃষ্টি করা, পিতা-মাতার দায়িত্ব। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন
مروا اولادكم بالصلواة وهم ابناء سبع سنين واخرجواهم وهم انبياء عشر وفرقوا بينهم فى المضاجع [ رواه ابوداود]
অর্থ: তোমাদের সন্তানদের নামায পড়ার নির্দেশ দাও যখন তারা সাত বছর বয়সে উপনীত হয় এবং এজন্য তাদেরকে জোর তাকিদ দাও যখন তারা দশ বছর বয়সে পৌঁছিতে। আর তখন তাদের জন্য পৃথক শয্যার ব্যবস্থা করো। [আবু দাউদ]
👉 ৫. সন্তানদের মাঝে সমতা রক্ষা
ছেলে হোক, মেয়ে হোক উভয়ের প্রতি সমতা রক্ষা করা, ভরণ পোষণ, অন্ন, বস্ত্র, খাদ্য চিকিৎসা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা, আদর, মায়া-মমতা, সর্বক্ষেত্রে সন্তানদের মাঝে সততা রক্ষা ইসলামের এক মহান শিক্ষা। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে।
اعدلوا بين ابنائكم اعدلوا بين ابنائكم [رواه النسائى]
অর্থ: তোমরা নিজেদের সন্তানদের মাঝে ন্যায় বিচার করো, তোমাদের সন্তানদের মাঝে ইনসাফ করো। [ইমাম নাসাঈ]
আল্লাহ্ আমাদের সন্তানদের নৈতিক শিক্ষাদানের তাওফিক দান করুন। আমিন।