এশার নামাজ ১৭ রাকাত কি কি
নামাজ পড়ার মাধ্যমে মনের প্রশান্তি হয়। ইসলামের পাঁচটি খুঁটি রয়েছে। এরমধ্যে নামাজের স্থান অন্যতম তথা ইমান আনার পরেই একজন মুসলিমকে নামাজের তালিম নিতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হয়েছে। তারমধ্যে ফজরের এবং এশার নামাজের ফজিলত অনেক বেশি। প্রতিটা ফরজ আহকাম বা আরকানের জন্য আমাদের জ্ঞান অর্জন করা জরুরি । আজকাল আমরা এমন জ্ঞানের পিছনে ছুটছি যা শুধু আমাদের পার্থিব জীবনেই ফায়দা দিবে । কিন্তু আমাদের জন্য যে জ্ঞান অর্জন ফরজ করেছে সেই বিষয়ে আমাদের কোন চিন্তাই নেই।
এ সম্পর্কে রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে অধিক ভারী কোনো নামাজ নেই। এ দুই নামাজের ফজিলত যদি তারা জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হতো।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫৭)
আমাদের আজকের পোস্টে এশার নামাজের নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তবে আশা করি এশার নামাজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
মুসলমানদেরকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। যেমন- ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব এবং এশা। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক ইবাদত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
এরমধ্যে এশার নামাজের ফজিলত অনেক বেশি। এশার নামাজ মোট 17 রাকাত। এরমধ্যে চার রাকাত সুন্নত, চার রাকাত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নত, দুই রাকাত নফল, দুই রাকাত হালকি নফল এবং তিন রাকাত বিতর।অনেকে এশার নামাজ 17 রাকাত জানে কিন্তু কি কি তা জানে না। আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে তারা এশার নামাজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছে। নামাজ সম্পর্কে এমন আরও অনেক তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন।
এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকে জানেনা। তাই আজকের পোস্টে এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।নামাজের শুরুতেই প্রথমে অজু করতে হয়। এরপর জায়নামাজের দোয়া পাঠ করতে হয়। অতঃপর এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত পাঠ করতে হয়। এরপর আল্লাহু আকবার বলে বুকে হাত দিয়ে সানা পাঠ করতে হয়।
সানা পড়া শেষ হলে সূরা ফাতিহা এবং সেইসাথে যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয়। এরপর সুবহানা রব্বিয়াল আজিম বেজোড় সংখ্যার পাঠ করে সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ বলে সিজদা দিতে হয়।
সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বেজোড় সংখ্যার বলতে হয়। এরপর আল্লাহু আকবার বলে আবার একইভাবে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বলতে হয় দ্বিতীয় রাকাতে সিজদা দেওয়ার পর আত্তাহিয়াতু বলে তৃতীয় রাকাত শুরু করতে হয়।
এভাবে চতুর্থ রাতের বেলায় আত্তাহিয়াতু, দরুদে ইব্রাহিম এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে মোনাজাত ধরতে হয়।এভাবেই এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়।
বেতর নামাজ পড়ার নিয়ম নিয়ে আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। সর্বপ্রথম দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়তে হয়। এরপর বেতর নামাজের নিয়ত করে আল্লাহু আকবার বলে বুকে হাত দিতে হয়।
অতঃপর সূরা ফাতিহা সেই সাথে অন্য যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয়। এরপর সুবহানা রব্বিয়াল আযীম বিজোড় সংখ্যক বার পড়তে হয়। এরপর সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ বলে সিজদা দিতে হয়।
সেজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হয়। এভাবে দুইবার সিজদা দিতে হয়। একইভাবে দ্বিতীয় রাকাত আদায় করতে হয়। তবে দ্বিতীয় রাকাতে সিজদার পর তাশাহুদ পাঠ করতে হয়।
তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর আল্লাহু আকবার বলে আবার বুকে হাত দিয়ে দোয়া কুনুত পাঠ করতে হয়। এভাবে পরবর্তী ধাপগুলো গুলো শেষ করার মাধ্যমে মোনাজাত দিয়ে নামাজ শেষ করতে হয়।