ফজর নামাজের নিয়ত এবং ফজর নামাজ কত রাকাত
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা আপনাদের জন্য আজকে থেকে ধারাবাহিক পোস্ট নিয়ে এলাম । ফজরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত, এবং কত রাকাত এবং কখন পড়বেন । তো আজকের পোস্টে আপনারা অনেক তথ্য পেতে যাচ্ছেন ।
ফজর নামাজ চার রাকাত
১.দুই-রাক'আত সুন্নত।
২.দুই-রাক'আত ফরজ।
ফরজরের দুই-রাক'আত সুন্নত নামাজের
নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْفَجْرِ سُنَّةُ رَسُوْلُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতু আন উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকা’আতাই সালাতিল ফাজরে সুন্নাতু রাছুলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
ফজরের দুই-রাক'আত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
ফরজরের দুই-রাক'আত ফরজ নামাজের
নিয়ত সমূহঃ
আরবি-উচ্চারন
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْفَجْرِ فَرْضُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতু আন উসালিয়া-লিল্লাহি তা’আলা রাকা’আতাই সালাতিল ফাজরে ফারযুল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বিঃদ্রঃ-ঈমামের পিছনে পড়লে ফারদীল্লা-হি তাআ'লা বলার পরে ইকতাদাইতু বিহা-যাল ইমাম বলবে।
বাংলা অর্থ
ফজরের দুই-রাক'আত ফরয নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
ফজর নামাজের তাসবিহ
উচ্চারণঃ হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম।
অর্থঃ তিনি চির জীবত ও চিরস্থায়ী।
বিঃদ্রঃ- ফজর নামাজের শেষে ১০০ বার পাঠ করার তাসাবীহ্।
ফজরে নামাজের সময়-সূচী
ফজরঃ-পাখি ডাকা ভোরে কিছুটা আঁধার থাকতেই অর্থাৎ সকালের আভা ছড়িয়ে পড়ার আগেই এই নামাজ আদায় করে নেয়া ভাল। তবে এই ক্ষেত্রে বিশেষে প্রয়োজনে সূর্যের উদীয়মান প্রথম অংশ পূর্ব দিগন্ত রেখা অতিক্রম করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নামাজ আদায় করে নেয়া যেতে পারে। সূর্যোদয়ের সময় নামাজ পড়া নিষেধ।
নামাজ নিয়ে কোরআনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উক্তি ছবিসহ
- আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয় ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৩
- ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে । অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন । কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৫
- তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাতাক দাও । তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎ কর্ম প্রেরন করবে, তা আল্লাহ্র কাছে পাবে । তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা প্রত্যক্ষ করেন ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১১০
- হে মুমিন গন ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর । নিশ্চিতই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথেই রয়েছেন ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১৫৩
- সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে । আর আল্লাহ্র সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ২৩৮
- হে বনী আদম ! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না । তিনি অপব্যয়ীদের কে পছন্দ করেন না ।
— সূরা আল আরাফ, আয়াতঃ ৩১
- আর যেসব লোক সুদৃঢ় ভাবে কিতাবকে আঁকড়ে থাকে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে নিশ্চয় আমি বিনষ্ট করবো না সৎ কর্মীদের সওয়াব ।
— সূরা আল আরাফ, আয়াতঃ ১৭০নামাজ নিয়ে উক্তি
- আমিই আল্লাহ্ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই । অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর ।
— সূরা তোয়া-হা, আয়াতঃ ১৪
- ৯ঃ নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলদের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও ।
— সূরা আন নূর, আয়াতঃ ৫৬
১০ঃ সবাই তার অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না ।
— সূরা আর রুম, আয়াতঃ ৩১
১১ঃ হে বৎস, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদ আপদে সবর কর । নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ ।
— সূরা লোকমান, আয়াতঃ ১৭
১২ঃ যারা আল্লাহ্র কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না ।
— সূরা ফাতির, আয়াতঃ ২৯
১৩ঃ মুমিন গণ, জুমআর দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহ্র স্মরণের পানে তরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর । এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ ।
— সূরা আল জুমুআ, আয়াতঃ ৯