আমরা সকলেই ভ্রমণকারী, সকলেই পথ চলিতেছি
আমরা সকলেই ভ্রমণকারী। সকলেই পথ চলিতেছি। কেবল শিক্ষাভেদে, সংসর্গভেদে, লক্ষ্যভেদে কেহ সুপথে, কেহ বিপথে চলিতেছি। বিপথে চলিলে যে শেষে হিংস্র জন্তু সমাকুলে গহীন বনে প্রবেশ করিয়া অকালে প্রাণ হারাইতে হইবে, পাপ পশু আমাদিগকে গ্রাস করিবে, ইহা নিশ্চিত। আবার সুপথে চলিলে যে অপ্রমেয় পুরুস্কার লাভ হইবে সত্য সুন্দর শান্তিদাতার প্রেমের নন্দনকাননে প্রবেশের সৌভাগ্য ঘটিবে, ইহাও সত্য কথা। কিন্তু ভ্রমণে সব সময়ে যদি পথের কিনারা হয়, যেই হিরন্ময় চিরঅজ্ঞাত দেশের যতটুকু ভৌগোলিক সন্ধান মিলিয়াছে, তাহা উপযুক্ত ভ্রমণকারীর মুখে বা লিখিত বিবরণ হইতে অবগত হইতে পারি, তবে বোধ হয় দুর্বল মন অনেক বল পাইবে, পথের দুর্গমতা আতঙ্কের কারণ হইবে না, দীর্ঘদিন ঘুরিয়া হয়তো-বা বিপথে পড়িয়া ব্যর্থকাম ভগ্নহৃদয়ে অনুশোচনার তীব্র দংশন জ্বালা সহিতে হইবে না।
সারাংশ: প্রতিটি মানুষই জীবনের পথে চলমান- কেউ পাপের পথে, কেউ পূণ্যের পথে। তাই পাপের পথে চললে যেমন মানুষকে শাস্তি ভোগ করতে হয় তেমনি পূণ্যের পথে চললে সে স্বর্গের সন্ধান পায়। আর পূণ্যের পথে চলার জন্য পূণ্যবান ব্যক্তির অথবা ধর্মগ্রন্থের উপদেশ গ্রহণ করাই উত্তম।