আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে শিশুকাল থেকেই কোমর বেঁধে আমরা খর্ব করি।
আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে শিশুকাল থেকেই কোমর বেঁধে আমরা খর্ব করি। অর্থাৎ সেটাকে কাজে খাটাবার আগেই তাকে খাটো করে দিই। অনেক সময় বুড়ো বয়সে সংসারের ঝড়-ঝাপটার মধ্যে পড়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষার পাখা জীর্ণ হয়ে যায়, তখন আমাদের বিষয়-বুদ্ধি অর্থাৎ ছোট বুদ্দিটাই বড়ো হয়ে ওঠে; কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে, শিশুকাল থেকেই আমরা বড়ো রাস্তায় চলবার পাথেয় হালকা করে দিই। প্রথম কয় বৎসর এক রকম বেশ চলে। ছেলেরা যেই থার্ড ক্লাসে গিয়ে পৌঁছায় অমনি বিদ্যা অর্জন সম্বন্ধে তাদের বিষয়-বুদ্ধি জেগে ওঠে। অমনি তা হিসেব করে শিখতে বসে। তখন তারা বলতে আরম্ভ করে, আমরা শিখবো না, আমরা পাশ করবো। অর্থাৎ যেপথে যথাসম্ভব কম জেনে যতদূর সম্ভব বেশি মার্ক পাওয়া যায়, আমরা সেই পথে চলব। এইত দেখছি শিশুকাল থেকেই ফাঁকি দেবার বুদ্ধি অপবলম্বন।
সারাংশ: মাত্রাতিরিক্ত প্রতিযোগিতা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। পরীক্ষায় ভাল ফলাফলকে শিশুকাল থেকে লক্ষ হিসেবে নেওয়ায় শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য জ্ঞানার্জন ব্যহত হচ্ছে, যা আমাদেরকে মেরুদন্ডহীন জাতিতে পরিণত করবে।