মুস্তফা কামাল পাশার শেষ পরিনতি | ইসলামী ইতিহাস | ১০ মিনিট মাদ্রাসা
মোস্তফা কামাল আর্তাতুক একজন তুর্কি ধর্মনিরপেক্ষতার নাম। ইউরোপ, আমেরিকার পা চাটা গোলামের নাম। তার শেষ মুহূর্ত সম্পর্কে জানার আগে আমাদের তার সম্পর্কে জানতে হবে।
মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক ছিলেন একজন তুর্কি ফিল্ড মার্শাল, বিপ্লবী রাষ্ট্রনায়ক, লেখক এবং ১৯২১ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, ১৯২৩ থেকে ১৯৩৮ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত এর প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তুরস্ককে একটি ধর্মনিরপেক্ষে আধুনিকীকরণ করে ব্যাপক প্রগতিশীল সংস্কার গ্রহণ করেছিলেন। , শিল্পোন্নত রাষ্ট্র। আদর্শগতভাবে একজন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী এবং জাতীয়তাবাদী, তার নীতি এবং সামাজিক-রাজনৈতিক তত্ত্ব কামালবাদ নামে পরিচিত। তার সামরিক এবং রাজনৈতিক সাফল্যের কারণে, আতাতুর্ককে ২০ শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। (ব্রিটিশ অনুদান-দাসত্বের কারণে এই উপাধি দেওয়া হয়েছিল)। উসমানীয় বা অটোমান সম্রাজ্য পতনের অন্যতম কারিগর হলো কামাল আর্তাতুক। যে কিনা মুসলিম এবং ইসলামী সম্রাজ্যকে ঘৃণা করত। (সুত্র-উইকিপিডিয়া)
মোস্তফা কামাল আতাতুর্ককে তুরস্কের বার্ক হোটেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশ্চাত্যের এই পা চাটা দাস মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে। জীবন চলে যাবে এমন অবস্থা। কোনো চিকিৎসায় কাজ হচ্ছে না।
চিকিৎসকরাও অপারগ হয়ে পড়েছেন। অক্ষম হওয়া ছাড়া উপায় আছে কি?এটা কি রোগ তাও শনাক্ত করা যাচ্ছে না! এ এক আজব রোগ! ডাক্তারদের অবস্থা এমন যে, এই প্রাণীটির প্রাণ কোনোভাবে দেহ থেকে বের হলেই তারা বেঁচে যাবে! তার প্রতিটি মুহূর্ত কেটে যাচ্ছে হেঁচকি নিয়ে! এক নিঃশ্বাস নেওয়ার পর আর একটা শ্বাস নেওয়ার আশা নেই।
এরকম একটি নাজুক, ভয়ানক ও ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে হোটেলের নিকটস্থ কোনো একটি ছোট্ট মসজিদের মিনার হতে ভেসে এল মুয়াজ্জিনের আজান। মরা লাশের মতো পড়ে থাকা এই অভিশপ্তটা একটু সচকিত হয়ে উঠল! কান খাড়া করে শুনতে চাইল- এটা কিসের আওয়াজ! যখন বুঝতে পারল- এটা মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসা আজানের ধ্বনি, তখন আশেপাশের লোকদের উদ্দেশ্য করে বলল, ‘দেখো! এই লোকটি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কীভাবে তাঁর নাম ও প্রসিদ্ধিকে চির অমর করে রেখে গেছে! প্রতিটা মুহূর্তে পৃথিবীর প্রতিটি স্থানে তাঁর নাম বারবার উচ্চারিত হচ্ছে !’
এরপর সে মিনারটা গুঁড়িয়ে দেয়ার আদেশ জারি করে!
মৃত্যুর দোড়গোড়ায় পৌঁছেও যে অভিশপ্ত এরকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলত, সে ছিল খুবই ভীতু! মৃত্যুকে বড় ভয় করত! নিজ পরিণতি নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত থাকত! তার চারপাশে সার্বক্ষণিক বড় বড় অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের জটলা বাঁধিয়ে রাখত। এত আয়োজনের পরও সে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পারেনি।
আল্লাহ তায়ালা অদ্ভুত এক রোগ দিয়ে অভিশপ্তটাকে দুনিয়াতেই লাঞ্চিত করেছেন। লিভারে আক্রান্ত রোগের কারণে তার পেট থেকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সব পানি বের করতে হয়েছিল। অতিরিক্ত নারীমিলনের কারণে খবিসটা সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল!
শুধু কি তাই?! মৃত্যুর আগের দিনগুলোতে সারা শরীরজুড়ে একপ্রকার অদৃশ্য পোকার আক্রমণে অস্থির হয়ে পড়েছিল। চুলকানিতে তার গোটা শরীরের রং বদলে গিয়েছিল।
কাপড় খুলে সে প্রায় উলঙ্গ হয়ে থাকত! নাক থেকে গলগল করে রক্ত বেরোত! দেহের চামড়া একেবারে ব্যাঙের খোলসের মত হয়ে গিয়েছিল! রক্ত, পুঁজ ও পানি বেরোত সবসময়। নাক চেপে ধরেও দুর্গন্ধ সহ্য করা যেত না!
চিকিৎসা করার সময় ডাক্তারদের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসার উপক্রম হত! তবুও তাদের চিকিৎসা করতেই হত। আধুনিক কুফরি তুরষ্কের জনকের চিকিৎসা বলে কথা! যন্ত্রণার তীব্রতায় বুভুক্ষু কুকুরের ন্যায় ঘেউঘেউ করত!
শেষ পর্যন্ত এ রোগ তার চেহারায়ও ছড়িয়ে পড়ে। পরে দেখা যায়, একধরণের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র লাল পিঁপড়ে তাকে কামড়ে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। যে পিঁপড়েগুলোর আসল আবাস সুদূর চীনের বন-জঙ্গলে।
প্রায় দু’বছর অসহনীয় যন্ত্রণায় ভুগে জলাতঙ্ক রোগীর ন্যায় ঘেউঘেউ করে ১৩৫৮ হিজরির ১৬ই শাবান মুতাবিক ১৯৩৮ সালের ১০ নভেম্বর অভিশপ্তটা দুনিয়ায় তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়।
মৃত্যুর পর তার জানাযার নামাজ নিয়ে বিভক্তি দেখা দেয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জানাযার বিপক্ষে এবং সেনাপ্রধান জানাযার পক্ষে অবস্থান নেন।
অবশেষে শরফুদ্দিন আফেন্দি নামের এমন এক সরকারি ভাড়াটে মোল্লা তার জানাযার নামাজ পড়ায়, যে নিজেও ছিল নিন্দিত এবং ঘৃণিত! অবাক বিস্ময়ের ব্যাপার হল, মৃত্যুর পর তুরস্কের শাসনকার্য পরিচালনার জন্য মুস্তফা কামাল পাশা যাকে মনোনীত করে রেখেছিল, সে হল তৎকালে তুরস্কে নিযুক্ত ইংল্যান্ডের দূত। এভাবেই দুনিয়াবাসীকে প্রমাণ করিয়ে দিয়ে যায় যে, জীবনভর সে ছিল পশ্চিমাদের এক পোষা কুকুর।
সুবহানাল্লাহ! তুরষ্কের মাটি থেকে আল্লাহর নাম মিটিয়ে ফেলা এই আল্লাহদ্রোহীকে আল্লাহ তায়ালা সুদূর চীনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লালপিঁপড়ে দিয়ে শায়েস্তা করলেন! তিনি কতইনা ক্ষমতাবান! আল্লাহ তায়ালা বলেন, আপনার পালনকর্তার বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত-৩১)
[সূত্র: ড. রাগিব সিরজানি পরিচালিত জনপ্রিয় সাইট “কিসসসাতুল ইসলাম” কর্তৃক ০৫/১১/২০১৩ তারিখে ‘মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক’ শিরোনামে প্রকাশিত আর্টিকেল অবলম্বনে।]