প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এর বানী | ইসলামিক উক্তি ও বাণী ছবি সহ
সেরা ইসলামিক উক্তি ও বাণী – আসসালামু আলাইকুম, আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের সামনে সেরা ইসলামিক উক্তি ও বাণী উপস্থাপন করছি যা আপনাদের অনেকের অনুরোধে করা হচ্ছে । আমাদের টিম চাই আপনার এই বাণী গুলো নিজের জন্য আমল করুন এবং সওয়াবের নিয়তে শেয়ার করুন । অনেক মানুষ আছেন যারা বিভিন্ন নবীদের আলাইহিমুস সালামের বাণী এমনকি সেরা ইসলামিক উক্তিও ইন্টারনেটে সার্চ করেন। এই উদ্ধৃতিগুলি একজন ব্যক্তির জীবনে কতটা কার্যকর হয় শুধুমাত্র যদি আপনি কখনও মহান চিন্তাবিদদের উদ্ধৃতি পড়ে থাকেন।
প্রতিটি মানুষ তার জীবনে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়। এমনকি সমস্যার কারণে মানুষ প্রাণ হারানোর চেষ্টা করে। উদ্ধৃতি তাদের জন্য খুব দরকারী. তাই আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি মহান ইসলামী চিন্তাবিদদের সেরা ইসলামী উক্তি ও বাণী। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেরা ইসলামিক উক্তি ও বাণী-
- "নিশ্চয়ই সকল আমাল (এর প্রতিদান) নির্ভর করে নিয়াতের উপর, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়াত করে। (১:১ বুখারিঃ তাওহীদ পাবলিকেশন)"
- "নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা তোমাদের আকৃতি ও ধন-সম্পদের দিকে তাকাবেন না; বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে দৃষ্টি দিবেন। (মুসলিম ২৫৬৪, মুসলিম ৭:৬৩১১ - ইসলামিক ফাউন্ডেশন)"
- "হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহ তা'আলার নিকট তওবা কর, নিশ্চয়ই আমি দিনে আল্লাহর নিকট একশত বার করে তওবা করি। (মুসলিম ২৭০২, বুখারি ৭:৬৬১৩)"
- " নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা মৃত্যুর গড়গড়া না আসা পর্যন্ত বান্দার তওবা কবুল করেন। (তিরমিজি ৬:৩৫৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)"
- "যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকাল দিবসের উপর ঈমান রাখে , সে যেন উত্তম কথা বলে; নতুবা চুপ থাকে। (বুখারি ৫:৬১৩৮ তাপা, মুসলিম ১:৮০ ইফাবা)"
- "বিপদের প্রথম অবস্থার সবরই প্রকৃত সবর। (বুখারি ২:১২৮৩, তাপা)"
- "মু'মিনের অবস্থা ভারী অদ্ভুত। সকল কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মু'মিন ছাড়া অন্য কেউ এই কল্যাণ লাভ করতে পারেনা। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শুকরিয়া আদায় করে, যা তার জন্য কল্যাণকর। আবার যদি তার সাথে খারাপ কিছু ঘটে, সে ধৈর্যধারণ করে,সেটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়। (মুসলিম ৭:৭২২৯ ইফা)"
- "লড়াইয়ে ধরাশায়ী করাই বাহাদুরি নয়, মূলতঃ বাহাদুর সে, যে রাগের অবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।(বুখারি ৬১১৪ - তাপা)"
- " এক ব্যক্তি নবী(স) কে বললেন, আমাকে উপদেশ দিন। তিনি তাকে বললেন, রাগ করোনা। এভাবে তিনি কয়েকবার উপদেশ চাইলেন। আর নবী (স) বললেন, রাগ করোনা। (বুখারি ৬১১৬ তাপা)"
- "তোমার সন্দেহের বিষয়টিকে নিশ্চিত বিষয়ের উপর ছেড়ে দাও। আর নিশ্চয়ই সত্য হল প্রশান্তি এবং মিথ্যাই অশান্তি। (তিরমিজি ৪:২৫২০ ইফা)",
- "যেখানেই থাকবে আল্লাহকে ভয় করবে ; মন্দ কাজের অনুবর্তীতে কোন নেককাজ করে ফেলবে তাতে মন্দ অপসৃত হয়ে যাবে; মানুষের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করবে। (তিরমিজি ১৯৯৩ ইফা)"
- "এক সাহাবী আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন্ সদাকাহর সওয়াব বেশি পাওয়া যায়? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সুস্থ ও কৃপণ অবস্থায় তোমার সদাকাহ করা যখন তুমি দারিদ্রে্যর আশঙ্কা করবে ও ধনী হওয়ার আশা রাখবে। সদাকাহ করতে এ পর্যন্ত দেরী করবে না যখন প্রাণবায়ু কণ্ঠাগত হবে, আর তুমি বলতে থাকবে, অমুকের জন্য এতটুকু, অমুকের জন্য এতটুকু, অথচ তা অমুকের জন্য হয়ে গেছে। (বুখারি ১৪১৯, তাপা)"
- "ইসলামী গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম হলো অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা। (তিরমিজি ২৩২১, ইফা)"
- "এমন দু'টি নিয়ামত, যে বিষয়ে অধিকাংশ লোক ধোঁকায় পতিত হয়। তাহলো সুস্থতা ও অবসর সময়। (তিরমিযী ২৩০৭, ইফা)"
- "যখন বান্দা অসুস্থ কিংবা সফরে থাকে, তখন তার জন্যে তা-ই লিখা হয়, যা সে বাড়িতে সুস্থ অবস্থায় আমাল করত। (বুখারি ২৯৯৬, তাপা)"
- "কোন মুসলমান যদি গাছ লাগায় কিংবা ফসল উৎপন্ন করে আর তা থেকে পাখী কিংবা মানুষ অথবা চতুষ্পদ জন্তু কিছু খায় তরে তা তার পক্ষ থেকে দান স্বরূপ হবে। (মুসলিম ৩৮২৯, ইফা)"
- "প্রত্যেক সৎ আমল সদকা। (বুখারি ৬০২১ তাপা, মুসলিম ২১৯৭ ইফা)"
- "সৎ আমলের কোন কিছুকেই তুচ্ছ মনে করোনা , যদি তা তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাতের দ্বারাও হয়। (মুসলিম ৬৪৫১, ইফাবা)"
- "জাহান্নামকে ভয় কর (অর্থাৎ জাহান্নাম থেকে বেচে থাকার চেষ্টা কর), যদিও একটি খেজুর বিশেষ (দান) দ্বারা হয়। (বুখারি ১৪১৭, তাপা)"
- "আমি কিয়ামতের দিন আদম সন্তানের নেতা, আমি সে ব্যক্তি যার কবর (পুনরুত্থানের জন্য) প্রথম ফেটে যাবে, আমিই প্রথম সুপারিশকারী এবং আমিই প্রথম ব্যক্তি যার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। (মুসলিম ২২৭৮)"
- "তোমাদের আমি আল্লাহকে ভয় করার অসিয়্যাত করছি। যদি হাবশী গোলমও আমীর নিযুক্ত হয় তবুও তার প্রতি অনুগত থাকবে, তার নির্দেশ শুনবে। তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে তারা বহু বিরোধ প্রত্যক্ষ করবে। তোমরা সাবধঅন থাকবে নতুন নতুন বিষয়ে লিপ্ত হওয়া থেকে। কারণ তা হল গুমরাহী। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ঐ যুগ পাবে তার কর্তব্য হল আমার সুন্নাত এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাতের উপর অবিচল থাকা। এগুলো তোমরা চোয়অলের দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরে রাখবে। (তিরমিজি ২৬৭৬, ইফা)"
- " মু'মিনের দৃষ্টান্ত হচ্ছে পরস্পর মুহাব্বাত, দয়া ও সহানুভূতিতে তারা একটি দেহের মত। তার মধ্যে যখন একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন সমস্ত শরির অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়। (মুসলিম ৬৩৫০, ইফা)"
- "যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না, তার প্রতি আল্লাহ্ তা'আলাও দয়া করেন না। (তিরমিজি ১৯১৭, ইফা)"
- "তোমরা পরস্পরে হিংসা পোষণ করো না, পরস্পর ধোঁকাবাজী করো না, পরস্পর বিদেষ পোষন করো না। একে অপরের (ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে) পশ্চাতে শক্রতা করো না এবং একের বেচাকেনার উপর অন্যে বেচা-কেনার চেষ্টা করবে না। তোমরা আল্লাহর বান্দা রূপে ভাই ভাই হয়ে থাক।এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। সে তার উপর যুলুম করবে না, তাকে অপদস্থ করবে না এবং হেয় করবে না। তাকওয়া এইখানে, এই কথা বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সীনার প্রতি ইশারা করলেন তিনবার। একজন মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে তার ভাইকে হেয় করে। কোন মুসলমানের উপর (প্রত্যেক) মুসলমানের সবকিছু জান-মাল ও ইজ্জত-আবরু হারাম।(মুসলিম ৬৩০৯, ইফা)"
- "যে ব্যক্তি তার জীবিকার প্রশস্ততা চায় এবং সে দীর্ঘায়ু কামনা করে, সে যেন তার আত্নীয়তার সম্বন্ধ সংযুক্ত রেখে চলে। (মুসলিম ৬২৯৩, ইফা)"
- "যে ব্যক্তি তার জীবিকার প্রশস্ততা চায় এবং সে দীর্ঘায়ু কামনা করে, সে যেন তার আত্নীয়তার সম্বন্ধ সংযুক্ত রেখে চলে। (মুসলিম ৬২৯৩, ইফা)"
- "তোমার ভাইকে সাহায্য কর। সে জালিম হোক অথবা মজলুম হোক। এক লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! মজলুম হলে তাকে সাহায্য করব তা তো বুঝলাম। কিন্তু জালিম হলে তাকে কিভাবে সাহায্য করব? তিনি বললেনঃ তাকে অত্যাচার থেকে বিরত রাখবে। আর এটাই হল তার সাহায্য। (বুখারি ৬৯৫২, তাপা)"
- "এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক্ পাঁচটিঃ ১. সালামের জওয়াব দেয়া, ২. অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেয়া, ৩ . জানাযার পশ্চাদানুসরণ করা, ৪. দা’ওয়াত কবূল করা এবং ৫. হাঁচিদাতাকে খুশী করা (আল-হামদু লিল্লাহর জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা)। (বুখারি ১২৪০, তাপা)"
- "মুয়ায বিন জাবাল (রা) হতে বর্ণিত, নবি(স) তাঁর হাত ধরে বললেন, হে মুয়ায আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি তোমাকে ভালবাসি। তারপর বললেন , হে মুয়ায তোমাকে আমি ওয়াসিয়াত করি তুমি প্রত্যেক সালাতের শেষে কখনই \"আল্লাহুম্মা আইন্নী আলা যিক্রিকা ওয়া শুক্রিকা ওয়া হুস্নি ইবাদাতিক\" বলা ত্যাগ করবেনা। (আবু দাউদ ৪:১৫২২, ইফা)"
- "কোন বান্দা যদি অপর কারোর দোষ-ক্রটি দুনিয়াতে গোপন রাখে আল্লাহ তাআলা তার দোষ-ক্রটি কিয়ামত দিবসে গোপন রাখবেন।(মুসলিম ৬৩৫৯, ইফা)"
- "যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার আত্নীয়তার সম্বন্ধ সংযুক্ত রেখে চলে। (বুখারি ৬১৩৮, তাপা)"
- "যে ব্যক্তি দুটি মেয়ের প্রাপ্ত বয়স হওয়া পর্যন্ত সঠিক প্রতিপালন করল, কিয়ামতের দিন সে ও আমি এমন হব। অতঃপর তিনি তাঁর আঙ্গুল গুলো মিলিত করলেন। (মুসলিম ৬৪৫৬, ইফা) "
- "প্রতিদিন সকাল বেলা দুজন ফেরেশতা অবতরণ করেন। অতঃপর দুজনের একজন বলেনঃ হে আল্লাহ আপনি দানকারীকে অনুরূপ প্রতিদান দিন। অন্য জন বলেনঃ হে আল্লাহ , আপনি কৃপনের মাল ধ্বংস করুন। (বুখারি ১৪৪২, তাপা)"
- "যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান আনে, সে যেন তাঁর মেহমানের সম্মান করে। (বুখারি ৬১৩৮, তাপা)"
- " আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়; আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়। বলা হলঃ হে আল্লাহর রাসুল(স), কে? তিনি (স) বলেন, যার অনিষ্ট হতে তাঁর প্রতিবেশী নিরাপদ নয়। (বুখারি ৬০১৬, তাপা)"
- "ব্যক্তি তাঁর বন্ধুর দ্বীনের অনুসারী হয়ে থাকে, অতএব তোমাদের প্রত্যেকের দেখা উচিত, সে কার সাথে বন্ধুত্ব করেছে। (তিরমিজি ২৩৮১, ইফা)"
- "এক বেদুইন রাসুলুল্লাহ(স) কে বললেন, কিয়ামত কখন হবে? রাসুল (স) বললেনঃ তাঁর জন্য তুমি কি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছ? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের মুহাব্বাত। তিনি (স) বললেন, তুমি যাকে ভালবাস তারই সাথী হবে। (মুসলিম ৬৪৭০, ইফা)"
- " ব্যক্তি তারই সাথে থাকবে যাকে সে ভালবাসে। (বুখারি ৬১৬৮, তাপা)"