অনুচ্ছেদ রচনা : ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ (সকল শ্রণি)
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাংলাদেশ সরকারের একটি বহুল আলোচিত স্লোগান। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে প্রযুক্তি নির্ভর সমৃদ্ধ দেশ যেখানে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার হবে। দেশের সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ বা নিয়ন্ত্রিত হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা অনেক। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুর্নীতি অনেকাংশে কমবে। এটি মানুষকে বিশ্বব্যাপী চিন্তা করতে এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, একাডেমিক এবং এমনকি সাংস্কৃতিকভাবে সমগ্র বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করবে। এতে ব্যাংকিং ও আর্থিক কার্যক্রমের উন্নতি হবে। বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার মাধ্যমে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য সব খাত ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সরকারকে কিছু উদ্যোগ নিতে হবে। প্রথমত, একটি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। আমাদের দক্ষতা অর্জনের জন্য লোকেদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং সমাজের সকল স্তরের জন্য ডিজিটাল গভর্নেন্স পরিষেবাগুলিতে ন্যায়সঙ্গত অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে হবে। পরিশেষে, আমাদের শিক্ষা কম্পিউটার ভিত্তিক হওয়া উচিত এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার সহজলভ্য হওয়া উচিত। আমরা যদি বলি যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন আগামী এক দশকে বিশ্বে একটি উন্নত দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে, তা ভুল হবে না।
অনুচ্ছেদ রচনা : ডিজিটাল বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ (এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য)
ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি সুখী, সমৃদ্ধ, দারিদ্র- এবং ক্ষুধামুক্ত অ-বৈষম্যহীন জনগণের রাষ্ট্র যা সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের রাষ্ট্র, যার মূল চালিকা শক্তি হিসেবে ডিজিটাল প্রযুক্তি। "ডিজিটাল বাংলাদেশ" বর্তমানে রাজনীতি, মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী এবং সুশীল সমাজে একটি গুঞ্জন। ২০২১ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী চিহ্নিত করে। তাই এই সময়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। একটি দেশকে ডিজিটাইজ করার অর্থ হল একটি ই-রাষ্ট্রে পরিণত করা। অর্থাৎ দেশের শাসন, শিক্ষা, বাণিজ্য, চিকিৎসা, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং সেই উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, ই-লার্নিং, ই-গভর্নেন্স ইত্যাদির সমন্বিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নিশ্চিত করা নিশ্চিত করা উচিত। ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যতম অবদান হল ইন্টারনেট। দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলাকে তথ্যপ্রযুক্তির পরিধির সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হচ্ছে ধাপে ধাপে অনুন্নত জীবনধারা পরিবর্তন করে বাংলাদেশের সমাজকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করা। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে দ্রুত ও কার্যকর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সু-শাসিত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। সে লক্ষ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কাঠামো উন্নয়ন ও ইন্টারনেট ব্যবহার প্রশিক্ষণ, ইংরেজি শিক্ষার মান উন্নয়ন, সমুদ্রের নিচে সাবমেরিন ক্যাবল উন্নয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে উন্নয়নের বৈজ্ঞানিক নকশা প্রণয়ন করতে হবে। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবার আগে ই-রিডিনেস পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। সর্বোপরি সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনয়ন বাংলাদেশকে ডিজিটাল পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। নানা বাধা-বিপত্তি ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বাধীনতার এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগকে জয় করে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে ডিজিটালাইজড দেশে পরিণত হবে।