আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি তোমরা অনেক ভাল আছো । তোমাদের সবার জন্য নিয়ে এলাম আজকের বাংলা ২য় পত্রের রচনা । তোমরা জানো তোমাদের বাংলা ২য় পত্র রচনায় ভাল একটা মার্ক রয়েছে । তো আজকে তোমাদের জন্য আমরা "আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ" এর উপর একটি রচনা নিয়ে এলাম । তোমরা অনেকে আমাদের মেইল করেছো , কারণ আমাদের থেকে তোমরা ভাল ফিডব্যাক পেয়েছো তাই বার বার আমাদের কাছে মেইল আসছে যে আমরা বাংলা ২য় পত্রের রচনা দিচ্ছি না কেন ? আমাদের সাইট থেকে তোমরা সহজেই যেকোন কিছু তোমরা পিডিএফ বা ছবি ডাউনলোড করে নিতে পারছো । যা অন্য কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না । তো আমরা চেষ্টা করবো তোমাদেরকে এই সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য । তোমরা আমাদের প্রচারের অংশ হিসেবে কাজ করছ । আর কথা না বাড়িয়ে আমরা আজকের পোস্টে চলে যাচ্ছি । তোমাদের কোন পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবে ।
বাংলা রচনা - আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ
ভূমিকা:
“Information is power” অর্থাৎ তথ্যই শক্তি। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে অগ্রসর হওয়ার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। সাবমেরিন ক্যাবল তথা তথ্য প্রযুক্তি মহাসড়কের মাধ্যমে বাংলাদেশ আধুনিক বিশ্বের সব উন্নত প্রযুক্তির সাথে যুক্ত। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির অবিস্মরণীয় বিপ্লব বিশ্ব মানচিত্রকে এক করেছে। উচ্চ গতির ইন্টারনেটের পায়ে ভৌগলিক সীমানা অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এই উন্নত যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলস্বরূপ, সমগ্র বিশ্বের তথ্যের সম্পদ একটি উৎসে একত্রিত হয়েছে। আর তাই উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
তথ্য প্রযুক্তি কি:
তথ্য প্রযুক্তি বলতে তথ্য সংগ্রহ এবং এর ব্যবহারকেই বোঝানো হয়। একে Information Technology বা IT নামেও অভিহিত করা হয়। তথ্য প্রযুক্তি মূলত একটি সমন্বিত প্রযুক্তির নাম। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি হল টেলিযোগাযোগ, ভিডিও, অডিও, কম্পিউটিং, সম্প্রচার সহ বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি একটি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এক কথায় কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবেশনের উন্নত ও দ্রততম মাইক্রো-ইলেট্রনিক ব্যবস্থার নাম আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি।
তথ্য প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ:
একবিংশ শতাব্দীর এই বিশ্বায়নের যুুগে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র বিরাজমান। বাংলাদেশেও এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে, প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া আমাদের পৃথিবী যেন দিকভ্রান্ত হয়ে পড়বে। আর তাই আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রযুক্তির উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরগুলো। পাশাপাশি এদেশের জনগোষ্ঠীকে তথ্য ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে তথ্য প্রযুক্তির হাইওয়ে খ্যাত সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের সাথে। সারা দেশের উপজেলা গুলোতে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক তথ্য সেবা কেন্দ্র। রাজধানীসহ দেশের জেলা শহরগুলোতে দেয়া হয়েছে উন্নত প্রযুক্তির সব উপকরণ ও দ্রুতগতির ইন্টানেট সেবা দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে চালু করা হয়েছে চার্জ ফ্রি ইন্টারনেট সেবা, যা “ওয়াই ফাই” নামে পরিচিত। দেশের অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযুক্ত হয়েছে কম্পিউটার ও মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লাস নেয়ার সুবিধা। ফলে প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি উন্নত জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ছে দেশব্যাপী। প্রযুক্তিবিদ্যার সীমাহীন কল্যাণে আমাদের জীবন যাত্রায় নিয়ে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। ইন্টারনেট সুবিধার কারণে এখন ঘরে বসেই সম্পন্ন হচ্ছে বহু জটিল কাজ। অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। আর এর সবই সম্ভব হয়েছে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে।
ফাইবার অপটিক ক্যাবলে বাংলাদেশ:
ফাইবার অপটিক ক্যাবলের উদ্ভব তথ্য আদান প্রদানের সম্ভাবনাকে আরো গতিশীল করে তুলেছে। ফলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনায় এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। এই প্রযুক্তিতে আলোকরশ্মি পরিবাহী সুক্ষ ফিলামেন্টের তৈরি স্বচ্ছ তারের ভেতর দিয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীন প্রতিসরণের মাধ্যমে একই সাথে বয়ে নেয়া যায় অসংখ্য টেলিফোন কল, টেলিভিশন সংকেত ও বিপুল তথ্য সম্ভার। তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যম হিসেবে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে আন্তঃমহাদেশীয় ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে তথ্য মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।
ই-পার্লামেন্ট ও আধুনিক বাংলাদেশ:
ই-পার্লামেন্ট বা ইলেকট্রনিক সুবিধা সংবলিত সংসদ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করতে পারে। ই-পার্লামেন্ট জনগণকে উন্নতমানের সেবা দিতে পারে। তথ্য প্রযুক্তিই হতে পারে এদেশের সংসদের জন্য অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের হাতিয়ার। আর সংসদ হতে পারে মত বিনিময় ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সম্প্রতি একটি বিদেশি সংস্থা পৃথিবীর ৯০টি দেশের উপর জরিপ চালিয়ে দেখেছে যে, ৭৭টি দেশ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে অধিকতর সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে অনেক বড় পার্থক্য বিদ্যমান, যাকে বলা যায় ডিজিটাল ডিভাইস। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সংসদ বাংলাদেশের জন্য খুলে দিতে পারে অপার সম্ভাবনার দ্বার গণতন্ত্রের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এক উজ্জ্বল সম্ভাবনার হাতছানি হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশও ই-পার্লামেন্টকে প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াবে।
Digital Bangladesh Paragraph For SSC, HSC Exam 2022
বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি:
বর্তমান পৃথিবীর অগ্রসরমানতার সাথে তথ্য প্রযুক্তির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ও বিকাশের উপর গুরুত্ব উপলব্ধি করে বাংলাদেশ সরকার হাতে নিয়েছে “রূপকল্প ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ”। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে-
ইউনিকোড ভিত্তিক নতুন ফন্ট:
২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমিত বাংলা ফন্ট “আমার বাংলা” এর প্রথম ফন্ট “শাপলা” উদ্বোধন করেন।
ইনোভেশন ফান্ড:
রাষ্ট্রীয় সেবার মান উন্নয়নে গঠন করা হয়েছে “ইনোভেশন ফান্ড”। সেবামূলক এই কর্মকান্ডের আওতায় রয়েছে গ্রামীণ উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, তথ্যে প্রবেশাধিকার, বাংলা ভাষা সহায়ক সফটওয়্যার ইত্যাদি।
বাংলা সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকা:
২০১৪ সালের বাংলা নববর্ষের (১৪২০) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো পৃথিবীর প্রথম এবং পূর্ণাঙ্গ বাংলা সার্চ ইঞ্জিন “পিপীলিকা” এটি পূর্ণাঙ্গ সার্চ ইঞ্জিন ২০ কোটির বেশি মানুষকে বাংলা তথ্য খোঁজায় সহায়তা করবে।
তৃতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বা থ্রিজি:
থ্রিজি হলো থার্ড জেনারেশন বা তৃতীয় প্রজন্ম। ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বহুল প্রত্যাশিত থ্রিজি সেবা চালু করার লক্ষ্যে দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরকে থ্রিজি লাইসেন্স দিয়েছে সরকার, থ্রিজি প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় দিক হল এই প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধাসহ ভয়েস কলের পাশাপাশি ভিডিও কলও করা যায়।
জাতীয় জীবনে তথ্য প্রযুক্তি:
উন্নত বিশ্বের প্রতিটি দেশ তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে নিবিড় সেতুবন্ধনের মাধ্যমে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়ায় আমাদের জাতীয় জীবনেও দেখা দিয়েছে তথ্য প্রযুক্তির অনিবার্য প্রয়োজন। আমাদের জাতীয় জীবনের অংশ হিসেবে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তিগত বহুদিক যুক্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। কৃষি, শিক্ষা, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির পরিমন্ডলে প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জীবনকে করে দিয়েছে সহজ ও সাবলীল। চিকিৎসাক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষকে প্রতিদিন নতুন করে জীবনদান করছে, রক্ষা করছে মরণব্যাধীর হাত থেকে। শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচনার মধ্য দিয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার। ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহারের ফলে শিক্ষার সব দরজা এখন আমাদের সামনে খোলা। তথ্য গ্রহণের অবাধ সুযোগ সারা পৃথিবীকে এক করে দিয়েছে। বৈশ্বিক পরিমন্ডলে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আন্তঃমহাদেশীয় সম্পর্ক তৈরি করে দিয়েছে। জাতীয় জীবনে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার তাই এখন সময়ের দাবি।
তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা:
“বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস” (BASIS) এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- এবারই প্রথম আইসিটি খ্যাতে রপ্তানি আয় ১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ২০১২ সালে সফটওয়্যার ও আইসিটি খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ৫০ ভাগ। এ প্রবৃদ্ধি, রপ্তানিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ১০টি খাতের মধ্যে অন্যতম। ২০১২-১২ অর্থ বছরে এখাতে রপ্তানি বেড়ে দাড়িয়েছে ১০১.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের আইসিটি খাতে এটি যুগান্তকারী অর্জন। প্রবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে আর এই খাতে আরো বিনিয়োগ করলে ২০২১ সাল নাগাদ এখাতে ১০০ কোটি ডলার বার্ষিক আয় সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যা বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত হতে পারে।
দারিদ্র্য বিমোচন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তথ্য প্রযুক্তি:
বর্তমান বিশ্বায়নে সারা পৃথিবী জুড়ে চলছে আইসিটির আউটসোর্সিংয়ের জোয়ার। আইসিটির নতুন ধারাকে অব্যাহত রাখতে সৃষ্টি হয়েছে নতুনতর এক অর্থনীতি যার নাম "Knowledge Economy"। নতুন ধারার এই অর্থনীতি বিকাশের সাথে সাথে উন্নত দেশগুলোতে প্রয়োজন হচ্ছে বিপুল পরিমান তথ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজ। উন্নয়নশীল দেশ সমূহ এই সুযোগকে কাজে লগিয়ে অর্জন করছে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা। এর ফলে দেশের দরিদ্র ও বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ ইউরোপ বা আমেরিকার বিপরীত টাইম জোনে অবস্থান করছে। ফলশ্রুতিতে আউটসোর্সিংয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে আদর্শ দেশ। “ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরশেন সোসাইটির” জেনেভা ঘোষণাপত্রে আইসিটিকে দারিদ্র্য বিমোচনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ভাল-মন্দ:
বিজ্ঞানের জয়ের ভালো এবং মন্দ উভয় দিকই আছে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জীবনে যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কারণে বৈদেশিক বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাণিজ্য ও জীবনযাত্রার সুযোগের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বিজ্ঞানের এই নতুন ধারা আমাদের দূরত্বকে করে দিয়েছে সহজ অতিক্রম্য। মুহুর্তে তথ্য চলে যাচ্ছে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। আর এর সবই সম্ভব হচ্ছে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে। প্রযুক্তির এই সকল ভালো দিকের পাশাপাশি রয়েছে বেশকিছু মন্দ দিকও। অবাধ তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ থাকাতে চুরি হয়ে যাচ্ছে অনেক গুরত্বপূর্ণ গোপন তথ্য। অনলাইনের অবাধ-ব্যবহারের কারণে ভুল সংবাদ মুহুর্তে বিভ্রান্ত করতে পারে অসংখ্য মানুষকে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা না থাকাতে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরাও শিকার হচ্ছে অনলাইন ভায়োলেশনের। হ্যাকিং বা অনলাইন চুরির কারণে সর্বশান্ত হচ্ছে বহু মানুষ। তাছাড়াও ব্ল্যাকমেইল করে অনলাইনে হুমকি দিয়েও এক ধরণের নব্য সন্ত্রাসসৃষ্টি হয়েছে। অনেক খারাপ দিক থাকা সত্ত্বেও আমাদের উচিত হবে ভালো দিকগুলো গ্রহণ করা। আর কেবল তখনই আমাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা লাভ করা সম্ভব হবে ।
উপসংহার:
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ সম্ভাবনার উজ্জ্বল দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি দেশ। এদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর দেশ গড়ার বিকল্প নেই। আর তাই আমাদের আরও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর হতে হবে এবং এ খাতকে সমৃদ্ধ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
👉👉About the Author: Muhammad Jabed Hossain is pursuing her master's graduate degree in Accounting from the Government Commerce College, Chattogram. He loves writing content and reading books. 👈👈