পানি পান করার সুন্নত কয়টি
ইসলাম আমাদের জন্য অনেক অনেক নিয়ামত দিয়েছে । ইসলামের বিধান আমাদের জন্য শুধু ধর্মীয় রীতি নয় এটা একটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের অংশই বটে । আমরা কি কখনো ইসলামকে এভাবে ভেবেছি । আমাদের প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে তার সুন্নাহর মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার উপায় শিক্ষা দিয়ে গেছেন । আমরা যদি নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেওয়া সুন্নাহকে মেনে চলি তাহলে আমরা অবশ্যই সুস্থ থাকব এবং আমাদের ইবাদতে সমস্যা হবে না ।
১. পানির পেয়ালা ডান হাত দিয়ে ধরা।(মুসলিম, হাদীস নং- ২০২০)
২. বসে পান করা, বসতে অসুবিধা না হলে দাঁড়িয়ে পান না করা। (মুসলিম, হাদীস নং- ২০২৪)
৩. বিসমিল্লাহ বলে পান করা এবং পান করে আলহামদুলিল্লাহ বলা।(তাবরানী আওসাতা, হাদীস নং- ৬৪৫২)
৪. কমপক্ষে তিন শ্বাসে পান করা এবং শ্বাস ছাড়ার সময় পানির পাত্র মুখ হতে সরিয়ে নেয়া।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬৩১)
৫. পাত্রের ভাঙ্গা দিক দিয়ে পান না করা।(আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭২২)
৬. পাত্র যদি এমন হয়, যার ভিতর নজরে আসে না, সেটার মুখে মুখ লাগিয়ে পান না করা। কারণ, তাতে কোন বিষাক্ত প্রাণী ক্ষতি সাধন করতে পারে। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬২৬)
৭. পানি পান করার পর এই দু‘আ পড়াঃ
اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ سَقَانَا مَاءً عَذْبًا فُرَا تًا بِرَحْمَتِه وَلَمْ يَجْعَلْهٗ مِلْحًا اُجَاجًا بِذُنُوْبِنَا.
৮. পানীয় দ্রব্য পান করে কাউকে দিতে হলে ডান দিকের ব্যক্তিকে আগে দেয়া এবং এই ধারাবাহিকতা অনুযায়ীই শেষ করা।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬১৯)
৯. উযু করার পর যে পাত্রে হাত দিয়ে পানি নেয়া হয়, সে পাত্রের অবশিষ্ট পানি কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পান করা। এতে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি হতে আরোগ্য লাভ হয়।(শামী, ১ : ১২৯/ বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬১৬)
১০. দুধ পান করার পূর্বে এই দু‘আ পড়াঃ
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ.
(আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭৩০)
দুধ ব্যতীত অন্য কোন পানীয় দ্রব্য হলে وَزِدْنَا এর পরে خَيْرًا বৃদ্ধি করা। (আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, ১২৭)
১১. যে ব্যক্তি পান করাবে তার সর্বশেষে পান করা। (মুসলিম, হাদীস নং- ৬৮১)
১২. যমযমের পানি কিবলামুখী হয়ে এ দু‘আ পড়ে পান করাঃ
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَّرِزْقًا وَّاسِعًا وَّشِفَاءً مِّنْ كُلِّ دَاءٍ.
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং- ৯১১২/ সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং- ২৭১২)