সাহিত্যজগতে যাঁদের খেলা করবার প্রবৃত্তি আছে
সাহিত্যজগতে যাঁদের খেলা করবার প্রবৃত্তি আছে, সাহস আছে, ক্ষমতা আছে, মানুষের নয়ন-মন আকর্ষণ করবার সুযোগ বিশেষ করে তাদের কপালেই ঘটে। মানুষ যে খেলা দেখতে ভালোবাসে তার পরিচয় তো আমরা এই জড় সমাজেও নিত্য পাই। টাউনহলে বক্তৃতা শুনতেই বা কজন যায় আর গড়ের মাঠে ফুটবল খেলা দেখতেই বা কজন যায়। অথচ এ কথাও সত্য যে, টাউনহলে বক্তৃতার উদ্দেশ্য অতি মহৎ, আর গড়ের মাঠের খেলোয়াড়দের ছোটাছুটি, দৌড়াদৌড়ি আগাগোড়া অর্থশূন্য এবং উদ্দেশ্যবিহীন। আসল কথা এই যে, মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ, কেননা তা উদ্দেশ্যহীন। মানুষ যখন খেলা করে, তখন সে এক আনন্দ ব্যতীত অন্য কোনো ফলের আকাক্সক্ষা রাখে না। যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরি পাওয়ার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা এবং যেহেতু খেলার আনন্দ নিরর্থক অর্থাৎ অর্থগত নয়, সে কারণ তা কারও নিজস্ব হতে পারে না। এ আনন্দে সকলেরই অধিকার সমান।
সারাংশ: মানুষ সাহিত্যের কাছ থেকে ব্যক্তিগত ফল প্রাপ্তির চেয়ে অনির্বচনীয় আনন্দ উপভোগ করতে চায়। যার দক্ষতা আছে এ খেলায় সেই দর্শক মনোরঞ্জনের সফলতা লাভ করে। সাহিত্য ও খেলায় মধ্যে ব্যক্তিগত লাভলাভের প্রশ্ন জড়িত নেই বলেই আনন্দে সবারই অধিকার আছে।