নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল, যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আলো
মানুষ মাত্রেই ভুল করে। আর সেই ভুলের সুযোগ নেয় নিন্দুক। মানুষের ছোট বড় দোষ ত্রুটি নিয়ে কুৎসা রটনা করে বেড়ানোই নিন্দুকের কাজ। ফলে আমরা নিন্দুকের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। প্রকৃত পক্ষে নিন্দুক আমাদের ক্ষতির চেয়ে উপকারই বেশি করে। আমাদের দোষ-ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে নিন্দুক আমাদেরকে খাঁটি মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে।
নিন্দুকেরা মানুষের ভুল গুলো নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠে। এর দ্বারা মূলত ভুলকারী ব্যক্তিকে সে সচেতন করে তোলে। যা প্রকৃত অর্থেই ইতিবাচক। যে ব্যক্তি বন্ধুর ভুল ধরিয়ে না দিয়ে কেবল প্রশংসা করে চলে, সে কখনই প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না। কারণ ঐ বন্ধুর এক তরফা প্রশংসা তার জীবনকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে।
কিন্তু নিন্দুক সারাক্ষণই ওঁৎ পেতে থাকে, মানুষ কখন কি ভুল করে, সেই ভুলের সূত্র ধরে সে নানা কথা বলে বেড়ায়। সকলের কাছে নিন্দা করে বেড়ায়। ফলে নিন্দুকের ভয়ে মানুষ সাবধান থাকে। সকল প্রকার দোষ ত্রুটি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে। কোনো কাজ করার আগে নিন্দুকের ভয়ে মানুষ অনেক বার চিন্তা করে। নিন্দুক যদি না থাকত, তাহলে মানুষ কোনো ভুল করার আগে চিন্তা করার প্রয়োজনবোধ করতো না। তাই মানুষকে ভুল থেকে দূরে রাখতে এবং অকল্যাণ কর্মতৎপরতা থেকে মুক্তি দিতে নিন্দুকের তুল্য কেউ নেই।
শিক্ষা: নিন্দুক আমাদের ভুল ধরিয়ে দিয়ে সংশোধিত হবার সুযোগ করে দেয়। ফলে আমাদের ব্যক্তি জীবন ও সমাজজীবনে ত্রুটি বিচ্যুতির পরিমাণ অনেকাংশেই কমে যায়।