মেয়েদের পায়ে নূপুর পরার বিধান
ইসলামে নারীদের সাজসজ্জা এবং অলংকার পরার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে ইসলাম নির্ধারিত শর্তাবলী মেনে তা করতে হবে।
যেমন, পর পুরুষের সামনে সাজসজ্জা, অলংকারাদি, শরীর বা পোশাকের সৌন্দর্য প্রকাশ করা যাবে না এবং এতে শরিয়া বিরোধী বা হারাম এর মিশ্রণ থাকা চলবে না।
সুতরাং একজন মুসলিম নারী পায়ের নূপুর পরিধান করতে পারে। তবে শর্ত হল, তাতে বাজনা থাকা যাবে না এবং তা পর পুরুষদের সামনে প্রকাশ করা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
ولا يَضْرِبْنَ بأرجُلِهِنّ لِيُعْلَمَ ما يُخْفِين من زِينَتِهِنّ
“আর তাদের পা দিয়ে যেন তারা আঘাত না করে যাতে তাদের অলংকারের যা লুকিয়ে আছে তা জানানো যায়।” (সূরা নূর এর ৩১ নং আয়াত)
তবে স্বামী, মাহরাম পুরুষ অথবা মহিলা অঙ্গনে; পরলে তাতে কোন সমস্যা নেই।
◍ বাজনাদার নূপুর পড়া বৈধ নয়:
🔰একদিন মা আয়েশা রা. এর নিকট কোনও এক বালিকা বাজনাদার নূপুর পরে আসলে তিনি তাকে বললেন: খবরদার! তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবে না। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “যে ঘরে ঘণ্টি থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।’
(সুনানে আবু দাউদ হাদিস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ
হাদিস : ৫২৩৭)
🔰সহীহ মুসলিমে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “ঘণ্টি, বাজা,
ঘুঙুর হল, শয়*তানের বাদ্যযন্ত্র।” (সহীহ মুসলিম
হাদিস : ২১১৪)
*আল্লাহু আলাম*
_আপনিও ইসলামের প্রচারক হন পোস্ট গুলো নিয়মিত শেয়ার করুন_
*নবী (সাঃ) বলেছেন,*
_"প্রচার করো আমার পক্ষ থেকে যদি তা একটি মাত্র আয়াতও হয়_ *(সহীহ বুখারীঃ৩৪৬১)
▬▬▬▬ ◈◈◈▬▬▬▬