হাস্যমুখে অদৃষ্টেরে করব মোরা পরিহাস
চলার পথ বাধাহীন, সাবলীল নয়। তাই বলে নিজেকে দুঃখী-হতভাগা ভাবার কোনো কারণ নেই। বরং সব বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আনন্দকে জয় করে চারপাশে ছড়িয়ে দিতে হবে। অদৃষ্টকে পাশ কাটিয়ে না গিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ভয়কে জয় করার মানসিক শক্তি অর্জন করতে হবে।
নিজেকে বিশ্বাস করাতে হবে যে, আমিও পারব, থাকতে হবে আনন্দ সৃষ্টির নিরন্তর প্রয়াস। আপন কর্মের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে হবে অদৃষ্টকে। সে যাত্রায় হয়তো মুখ থুবড়ে পড়তে হবে বারবার। হয়তো ভাগ্যের হাতে বড় নির্মমভাবে নিপীড়িত, নিগৃহীতও হতে হবে।
তবুও উঠে দাঁড়াতে হবে আশায় বুক বেঁধে তা অর্জন করার সাহস নিয়ে। আর যেখানে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন- ‘আল্লাহ, কোনো জাতির ভাগ্য ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে।’ তাই কোনো কাজে সফলতা অর্জন করতে হলে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন চেষ্টা করাই একমাত্র উপায়।
যিনি জানেন, জীবন হলো সুখ-দুঃখময় এক অনিবার্য পরিবর্তনশীল ক্ষেত্র, তিনি দুঃখের দিনে হতাশায় ভেঙে পড়েন না। দুঃখ-বিপাককে জীবনের অমোঘ পাথেয় হিসেবে মেনে নিয়ে দিনবদলের সংগ্রামে নামেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছেন- ‘সাহস মানে ভয়ের অনুপস্থিতি নয় বরং ভয়কে জয় করা। সে সাহসী নয়, যে ভীতি অনুভব করে না বরং সে-ই সাহসী যে ভীতিকে জয় করে।’ যদিও এই ভয় বা আতংকই কিছু মানুষের জীবনের সব সুখ শান্তি কেড়ে নেয়। কিন্তু ভয়ের মুখোমুখি হয়ে জয় করার মাধ্যমে অর্জিত হয় আত্মতুষ্টি ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রশান্তি যা জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।
শিক্ষা: মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। মানুষের অসাধ্য কিছুই নেই, ইচ্ছাই তার প্রধান চালিকা শক্তি। যার মাধ্যমে সে তার কাক্সিক্ষত স্বপ্নচূড়ায় আরোহণ করতে পারে।