প্রতিদিন ৩ কোটি ২৪ লাখ নেকী অর্জন করুন
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ তাআলার রহমতের উপর কুরবান! তিনি আমাদের জন্য নেকী অর্জন করা, মর্যাদা বৃদ্ধি করা এবং গুনাহ ক্ষমা করানোকে কতই সহজ করে দিয়েছেন। কিন্তু আফসোস! এত সহজ করে দেয়া সত্ত্বেও আমরা অলসতার মধ্যে রয়েছি। বর্ণিত হাদীস শরীফে আযানের উত্তর প্রদানের যে ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে তার বিস্তারিত বর্ণনা লক্ষ্য করুন।اَللهُ اَكْبَرُ اَللهُ اَكْبَرُ এখানে দু’টি শব্দ এভাবে পূর্ণ আযানের ভিতর ১৫টি শব্দ রয়েছে। যদি কোন ইসলামী বোন এক ওয়াক্ত নামাযের আযানের উত্তর দেয় অর্থাৎ মুয়াজ্জিন যা বলে তার পুনরাবৃত্তি করে তখন তার ১৫ লাখ নেকী অর্জন হবে। ১৫ হাজার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং ১৫ হাজার গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে। আর ইসলামী ভাইদের জন্য এসব কিছুর দ্বিগুণ ফযীলত অর্জন হবে। ফজরের আযানে দু’বার اَلصَّلٰوۃُ خَیْرٌ مِّنَالنَّوْم রয়েছে। আর এভাবে ফযরের আযানে ১৭টি শব্দ হলো, তাহলে ফযরের আযানের উত্তর প্রদানে ১৭ লাখ নেকী, ১৭ হাজার মর্যাদা বৃদ্ধি এবং ১৭ হাজার গুনাহের ক্ষমাপ্রাপ্তি অর্জিত হলো। আর ইসলামী ভাইদের জন্য এর দ্বিগুণ। ইকামাতের মধ্যেও দুইবার قَدْ قَامَتِ الصّلٰوۃ রয়েছে। ইকামাতের মধ্যেও ১৭টি শব্দ হলো সুতরাং ইকামাতের উত্তর প্রদানের সাওয়াবও ফজরের আযানের উত্তর প্রদানের সমপরিমাণ।
[মোটকথা;যদি কোন ইসলামী বোন গুরুত্ব সহকারে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আযান ও ইকামাতের উত্তর দিতে সফলকাম হয়ে যায় তবে তার প্রতিদিন এক কোটি বাষট্টি লাখ নেকী, এক লাখ বাষট্টি হাজার মর্যাদা বৃদ্ধি এবং এক লাখ বাষট্টি হাজার গুনাহ্ ক্ষমা হয়ে যাবে এবং ইসলামী ভাইদের এর দ্বিগুণ অর্থাৎ ৩ কোটি ২৪ লাখ নেকী অর্জন হবে। ৩ লাখ ২৪ হাজার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং ৩ লাখ ২৪ হাজার গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে।]
আযানের উত্তর প্রদানকারী জান্নাতী হয়ে গেলো
হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা ر رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ বলেন যে, এক ব্যক্তির প্রকাশ্যভাবে কোন অধিক পরিমাণ নেক আমল ছিলো না, ঐ ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সাহাবায়ে কিরামদের عَلَیۡہِمُ الرِّضۡوَان উপস্থিতিতেই অদৃশ্যের সংবাদ দিতে গিয়ে ইরশাদ করেন: “তোমরা কি জানো! আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন।” এতে লোকেরা অবাক হয়ে গেলো, কেননা বাহ্যিকভাবে তার কোন বড় আমল ছিলো না। সুতরাং এক সাহাবী رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُ তাঁর ঘরে গেলেন এবং তাঁর বিধবা স্ত্রী رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہَا কে জিজ্ঞাসা করলেন: “তার কোন বিশেষ আমল আমাকে বলুন”। তখন সে উত্তর দিল: “তার এমন কোন বিশেষ বড় আমল আমার জানা নেই, শুধু এতটুকু জানি যে, দিন হোক বা রাত যখনই তিনি আযান শুনতেন তখন অবশ্যই উত্তর দিতেন।” (তারিখে দামেশক লিইবনে আসাকির, ৪০তম খন্ড, ৪১২, ৪১৩ পৃষ্ঠা) আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক আর তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা হোক।