ধৈর্য ধর, ধৈর্য ধর, বাধ বাধ বুক সংসারে সহস্র দুঃখ আসিবে আসুক
জগত সংসারে সুখ-দুঃখ মিলিয়েই মানবজীবন। জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই আছে বিপদ-আপদ, বাধা-বিঘ্নে, দুঃখ কষ্ট। এসব প্রতিকূলতাকে জয় করে টিকে থাকতে হলে মানুষকে ধৈর্য ও সহ্যশক্তি প্রদর্শন করতে হয়। দুঃখ আর ব্যর্থতাকে জয় করতে পারলেই জীবনে সুখ ও সাফল্য লাভ সম্ভব।
দুঃখ দারিদ্র্য, অন্যায়-অত্যাচার, বিপদ আপদ কখনো কখনো মানব জীবনকে থামিয়ে দেয়। মানুষকে এসব প্রতিরোধ করে ধৈর্য নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হয়। সাফল্য আর ব্যর্থতায় ভরা কর্মক্ষেত্রে মানুষ যদি ব্যর্থতাকে গ্রহণ করে পরবর্তীকালে সাফল্য অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়, তাহলে সে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়।
সহনশীল ও ধৈর্যশীল লোক জীবন সংগ্রামে পরাজয়ের মধ্যেও শক্তি সঞ্চয় করে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়। পরাজয়, ব্যর্থতার কাছে সে নতি স্বীকার করে না। তাই ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে প্রতিকূল অবস্থার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে নিজের অধিকার আদায়সহ যেকোনো কঠিন কাজ করা সম্ভব। এ জগত সংসারে দুর্বল আর অসহায়কে সবলের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে জীবনে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
কেননা যার সহ্য ক্ষমতা নেই তার জীবন ব্যর্থতা আর হতাশায় পর্যবসিত হয়। কোনো কাজেই সে সাফল্য লাভ করতে পারে না। ধৈর্যের অভাবে তার জীবন নিয়ন্ত্রণহীন ও দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। তার পারিবারিক জীবনে দুঃখ-কষ্ট, লাঞ্ছনা-গঞ্জনার মতো তিক্ততা নেমে আসে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ), ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, কাজী নজরুল ইসলাম, রবার্ট ব্রুস প্রমুখ মহান ব্যক্তিত্ব জীবনে কখনো পরাজয়ের কাছে নতি স্বীকার করেননি।
ধৈর্য সহকারে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই সামনে এগিয়ে গেছেন এবং শেষ পর্যন্ত বিজয়মাল্য পরেছেন। তাঁরা যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে বেঁচে আছেন ও বেঁচে থাকবেন। কাজেই ধৈর্যসহকারে স্থির মস্তিষ্কে জীবনের সকল কঠিন কাজের সমাধান করতে হবে। মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এসেও সুন্দর জীবনের স্বপ্নে বুক বাঁধতে হবে। তবেই মানুষ সকল কঠিন কাজে সফল হবে। জগতসংসারে সম্মান ও খ্যাতি নিয়ে বেঁচে থাকবে।
শিক্ষা: মানবজীবনে টিকে থাকতে ও সাফল্য লাভ করতে কঠিন বাস্তবতা ও বাধাবিপত্তির সাথে লড়াই করে সামনে অগ্রসর হতে হবে। ধৈর্য ও সহনশীলতার অনুশীলনই সাফল্যের চাবিকাঠি।