দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর
আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বিজ্ঞানের। আজ বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতির ফলে পৃথিবীর সাথে সাথে মানুষের মনও বদলে গেছে। বিজ্ঞান মানুষকে যন্ত্রে পরিণত করছে। শহরের চার দেয়ালে বন্দি হয়ে মানুষ হারিয়ে ফেলছে গ্রামীণ জীবনের নিসর্গ রূপ। যান্ত্রিক সভ্যতা মানুষকে আরাম আয়েশ ও প্রাচুর্য দিয়েছে।
এছাড়াও ভোগ-বিলাস ও লালসার অবারিত দ্বার উম্মোচন করে দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সুখ এসবের মাঝে নেই। আজ সভ্যতার নামে মানুষ বন উজাড় করে গড়ে তুলছে শহর। নষ্ট করছে পরিবেশের ভারসাম্য। সভ্যতার সর্বনাশা স্রোত আমাদেরকে আমাদের সংস্কৃতি থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। মানব সভ্যতা আজ এক ভয়ানক সংকটের মুখোমুখি।
শহরের কৃত্রিম জীবন মানুষের শান্তি কেড়ে নিয়েছে, মানুষকে বন্দি করেছে কৃত্রিমতার শৃঙ্খলে। এ পরাধীনতা থেকে মানুষ এখন মুক্তি চায়। বর্তমান শহুরে জীবনে মানুষ আজ ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। অতি আধুনিকতার মোড়কে আবৃত জনজীবনের প্রতি মানুষ আজ বিমুখ। তারা ফিরে পেতে চায় প্রকৃতি প্রদত্ত নির্মল আলো বাতাস।
মানুষ পেতে চায় অতীতের সেই জীবন যেখানে কোনো ব্যস্ততা আর কোলাহল নেই, আছে প্রকৃতির দানে পরিপূর্ণ খোলা মাঠ, মুক্ত বাতাস আর পাখির কলকাকলি।
শিক্ষা: প্রাকৃতিক পরিবেশকে বিপন্ন করে যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ কখনোই কাম্য নয়। সুতরাং আমরা ফিরে পেতে চাই সেই জীবন, যেখানে কৃত্রিম হৃদয়হীনতা নয়, প্রাকৃতিক আরণ্যক প্রশান্তি বিরাজমান।