আপনারে কভু ভেবোনা ক্ষুদ্র, ভাবিওনা দীন তুমি তুমি নিতে পার জয় করিয়া এ বিপুল বিশ্বভূমি
পৃথিবীতে সব মানুষেরই মর্যাদা সমান। সামাজিক স্তর বিন্যাসের দিক থেকে ধনী-গরীব, উঁচু-নিচু, ব্রাহ্মণ, শুদ্র ইত্যাদি ভাগ রয়েছে। তবে প্রতটি মানুষের মর্যাদা তার অবস্থানে শ্রেষ্ঠ। আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি সকল মানুষের মর্যাদা সমান। মানুষকে ক্ষুদ্র ও দীন-ভাবার কোনো সুযোগ নেই। সমাজ পরিচালনায় সকল মানুষের প্রয়োজন পড়ে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবন পরিচালনার জন্য কামার, কুমার, তাঁতী, জেলে, মেথর, মুচি, দিনমজুর সবারই প্রয়োজন আছে। কাউকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। আজ যদি মেথর সম্প্রদায় তাদের কাজ করা বন্ধ করে দেয় তাহলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে। সামাজিক স্তর বিন্যাসে যারা নিম্ন, তাদের নিজেদের ছোট ভাবার কোনো কারণ নেই।
সবার মাঝেই সুপ্ত প্রতিভা আছে। সে সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করতে হবে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন অতি সাধারণ লোক ছিলেন। তিনি প্রমাণ করে গেছেন যে, একজন সাধারণ লোক হয়েও এ বিশ্বজগতকে জয় করা যায়। নিজেকে ক্ষুদ্র না ভেবে, সৃষ্টিশীল কাজে মগ্ন থাকতে হবে। নিজ অবস্থান থেকে যতটা সম্ভব আর্ত-মানবতার জন্য কাজ করতে হবে।
পৃথিবীতে সবাই সমান মেধা নিয়ে জন্মায় না। মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। পৃথিবীকে জয় করতে হলে কাজের বিকল্প নেই। এ পৃথিবীতে অনেক দরিদ্র ঘরেও অনেক শ্রেষ্ঠ মানুষের জন্ম হয়েছে। তাই যেকোনো সমাজেই মানুষ জন্মগ্রহণ করুক না কেন, তার নিজেকে ছোট ভাবা উচিত নয়। বরং আত্মশক্তিতে বলিয়ান হয়ে সৃষ্টিশীল কাজ করতে হবে।
যে সৃষ্টিশীল কাজ করতে পারবে, সে তত তাড়াতাড়ি পৃথিবীতে তার একটা অবস্থান তৈরি করতে পারবে। এ পৃথিবী উঁচু-নিচু সমাজের স্তরভেদ চেনে না। চেনে মানুষের কর্মকে। তাই যেকোনো ব্যক্তিরই এ বিপুল বিশ্বভূমি জয় করার অধিকার আছে।
শিক্ষা: শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্ব গুণ দুটি নির্দিষ্ট কোনো সমাজের নয়। কর্মের মাধ্যমে এ গুণ অর্জন করতে হয়। আর তা সবার জন্য উন্মুক্ত।