সাহিত্যের উদ্দেশ্য সকলকে আনন্দ দেওয়া
সাহিত্যের উদ্দেশ্য সকলকে আনন্দ দেওয়া, কারও মনোরঞ্জন করা নয়। এ দুয়ের ভিতর যে আকাশ-পাতাল প্রভেদ আছে, সেইটি ভুলে গেলেই লেখকেরা নিজে খেলা না করে পরের জন্যে খেলনা তৈরি করতে বসেন। সমাজের মনোরঞ্জন করতে গেলে সাহিত্য যে স্বধর্মচ্যুত হয়ে পড়ে, তার প্রমাণ বাংলাদেশে আজ দুর্লভ নয়। কাব্যের ঝুমঝুমি, বিজ্ঞানের ছুষিকাঠি, দর্শনের বেলুন, রাজনীতির রাঙালাঠি, ইতিহাসের ন্যাকড়ার পুতুল, নীতির টিনের ভেঁপু এবং ধর্মের জয়ঢাক-এইসব জিনিসে সাহিত্যের বাজার ছেয়ে গেছে। সাহিত্যরাজ্যে খেলনা পেয়ে পাঠকের মনতুষ্টি হতে পারে, কিন্তু তা গড়ে লেখকের মনতুষ্টি হতে পারে না।
সারাংশ: মনতুষ্টি ও মনোরঞ্জন এক নয়। বিপরীতমুখী মেরুতে এ দুটির অবস্থান। সাহিত্যিকদের কাজ পাঠকের মনতুষ্টি দায়ক সাহিত্য রচনা করা, সাময়িক মনোরঞ্জন নয়। নিম্নমানের সাহিত্য রচনার মাধ্যমে হয়ত ভানুমতির খেলার মত ক্ষণিকের আকর্ষণ পাওয়া যায়, সাহিত্যাকাশের মহৎ শিল্পী হওয়া যায় না।