অতি দীন ও অশক্ত লোকেরাই দৈবের দোহাই দিয়া থাকে
প্রত্যেক সমাজেই বিভিন্ন ধরণের লোক বসবাস করে। সমাজের মধ্যে যারা হীন, নীচ, অভাবগ্রস্থ এবং অক্ষম, অপারগ, তারা নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। তাদের মনের মধ্যে সাহসের জায়গাটুকুও থাকে না। নিজের ওপর বিশ্বাস থাকে না বলে এরা কোনো কাজকর্ম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারে না। তারা সব সময় হতাশার মধ্যে দিন অতিবাহিত করে।
নিজেদের এই অক্ষমতার জন্য অলৌকিক বা স্বর্গীয় শক্তিকে দায়ী করে থাকে। তারা মনে করে ভাগ্য দেব কর্তৃক নির্ধারিত বলে তারা কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে না। তেমনি যারা দরিদ্র তারাও ভাবে, যে, দারিদ্র্যতা দৈব-কর্তৃক নির্ধারিত বলে তারা চিরকালই অভাবগ্রস্থ থাকবে। কিন্তু এ ধারণা একেবারে ভুল। কারণ দেবতা থেকে আগত দৈবশক্তি সব মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান।
তারা সমাজের মধ্যে মনের দিক দিয়ে দরিদ্র ও দুর্বল। জীবনকে অর্থহীন ভেবে একরাশ দুঃখ-কষ্টের গ্লানি নিয়ে বয়ে বেড়ায়। উদ্দেশ্যহীনভাবে তাদের জীবন চলতে থাকে। পৃথিবীতে এসব লোকের কোনো মূল্য নেই। জীবনে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যের দিকে যেতে হলে অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করতে হয়। একেবারে দৈবের ওপর ভরসা করে নিঃচেষ্ট হয়ে বসে থাকলে কখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের ছোঁয়া পাওয়া যায় না। আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে দীন ও অশক্ত লোকেরাও জীবনকে সাফল্যমন্ডিত করতে পারে।
শিক্ষা: সত্যিকারের পরিশ্রমী আত্মবিশ্বাসী মানুষ কখনোই দৈব বা ভাগ্যকে দিব্যি দেয় না। বরং তারা আত্মপ্রত্যয় ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের জীবনকে সার্থক করে তোলে।