ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল
আপাত দৃষ্টিতে একটি ক্ষুদ্র বালুকণা কিংবা এক বিন্দু জলকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয় না। কারণ এর উপযোগিতা সামান্যই। কিন্তু এমন অজস্র বিন্দু বিন্দু জলই মহাসাগর সৃষ্টি করে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণাই গড়ে তোলে বিশ্বসভ্যতা। মৌমাছির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ফল বৃহৎ মৌচাক। তেমনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মহৎ উদ্যোগই এনে দেয় জীবনের চুরান্ত সার্থকতা।
তাই ক্ষুদ্র বলে কোনো বিষয়কেই অবহেলা করা উচিত নয়। সকল ছোট কাজই বড় কাজের প্রেরণা। সেটি ভালো কাজই হোক কিংবা মন্দ কাজ। একটি শিশুর মিথ্যা বলার অভ্যাস তার ভবিষ্যৎ জীবনকে অন্ধকারে পরিণত করতে পারে। ভবিষ্যতে মিথ্যার রূপটি আরো বৃহৎ হয়ে তার নিজের ও সমাজের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। শিশুটি যদি ছোটবেলা থেকেই সত্য বলার অভ্যাস গড়ে তোলে তাহলে তার জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে। তাই ছোট ছোট মন্দ কাজকে অবজ্ঞা না করে তা যথা সময়ে শোধরাতে হবে।
আর ভালো কাজ যতই ক্ষুদ্র হোক তাকে অনুপ্রেরণা দিতে হবে। ছাত্রজীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সফলতা একসময় মানুষকে বড় হতে সহায়তা করে। সেসময়ের ক্ষুদ্র একটি পরিকল্পনাই বদলে দিতে পারে বিশ্ব সমাজের গোটা চেহারাকে। পৃথিবীতে যারা স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে আছেন তাদের জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তাদেরও সফলতার মূলে রয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াস। তাই পৃথিবীর কোনো ক্ষুদ্র বিষয়ই আসলে ক্ষুদ্র নয়। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ এর সৃষ্টি।
শিক্ষা: ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে মনোযোগী হলে জীবন বৃহত্তর ব্যঞ্জনায় সার্থকতা লাভ করে। তাই ক্ষুদ্রকে তুচ্ছ জ্ঞান না করে বরং সেটি পরিচর্যার মাধ্যমে জীবনের সাফল্যকে ছিনিয়ে আনতে হবে।