শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না সারাংশ

শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না সারাংশ


 শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না


শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না। সুশিক্ষত লোকমাত্রই স্বশিক্ষিত। আজকের বাজারে বিদ্যাদাতার অভাব নেই, এমনকি এক্ষেত্রে দাতাকর্ণেরও অভাব নেই এবং আমরা আমাদের ছেলেদের তাদের দ্বারস্থ করেই নিশ্চিন্ত থাকি। এ বিশ্বাসে যে, সেখান থেকে তারা এতটা বিদ্যার ধন লাভ করে ফিরে আসবে যার সুবাদে তারা বাকি জীবন আরামে কাটিয়ে দিতে পারে, কিন্তু এ বিশ্বাস নিতান্ত অমূলক। মনোরাজ্যের দান গ্রহণসাপেক্ষ, অথচ আমরা দাতার মুখ চেয়ে গ্রহীতার কথাটা একেবারে ভূলে যাই। এ সত্য ভূলে না গেলে আমরা বুঝতাম যে, শিক্ষক ছাত্রকে শিক্ষার পথ দেখিয়ে দিতে পারেন, তার কৌতুহল উদ্রেক করতে পারেন, তার বুদ্ধি-বৃত্তিকে জাগ্রত করতে পারেন, মনোরাজ্যেও ঐশ্বর্যের সন্ধান দিতে পারেন, তার জ্ঞান পিপাসাকে জ্বলন্ত করতে পারেন, এর বেশি আর কিছু পারেন না।


সারাংশ: জ্ঞানার্জনের প্রতি সুতীব্র ইচ্ছা থেকে মানুষ জ্ঞানী হয়ে উঠে। প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষক কখনোই কারো জ্ঞান পিপাসা জাগ্রত করতে পারে মাত্র। জ্ঞান অর্জনের আকাক্সক্ষা শুধু ব্যক্তির অন্তর দ্বারা উপলব্ধি হতে হয়, অন্যথায় শিক্ষা হয়ে পড়ে নাম সর্বস্ব।



বাংলা ২য় পত্রের সারাংশ এবং সারমর্ম :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad