আত্মবিশ্বাসই বীরত্বের মূলমন্ত্র
আত্মবিশ্বাস সফলতার চাবিকাঠি। আত্মবিশ্বাস ছাড়া সফল হওয়া যায় না, বড় হওয়া যায় না। আত্মবিশ্বাসই মানুষকে পথ দেখিয়ে ভবিষ্যতের কাক্সিক্ষত সাফল্য এনে দেয়। জীবনে জয় পরাজয়, হাসি-কান্না থাকবে। সবকিছু অতিক্রম করতে হবে আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করে। দেখতে কালো, সুন্দর খাটো না লম্বা এ বিষয়গুলো ভেবে সময় নষ্ট করা উচিত নয়।
মানুষ নামে বড় হয় না, কাজে বড় হয়। আত্মবিশ্বাস নিয়ে সামনের দিকে এগুতে হবে। তাহলে পথ প্রশস্ত হবে। নিজের মাঝে এই বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে, আমার দ্বারাই সম্ভব। আমিই পারব বিশ্ব জয় করতে, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে। আজকের পৃথিবী যারা শাসন করছে তাদের সবাই কিন্তু সুন্দর, লম্বা কিংবা সাদা চামড়ার মানুষ নয়। তাদের সবাই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেনি।
অনেকে দরিদ্র ঘরে জন্মগ্রহণ করেও এ পৃথিবী শাসন করেছে, এখনও করছে, ভবিষ্যতেও করবে। জর্জ ওয়াশিংটন একজন সাধারণ ব্যক্তি হয়েও আমেরিকার মতো রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তার আত্মবিশ্বাসই তাকে এত বড় পদে আসীন করেছিল। আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করলেই কেবল স্বপ্ন পূরণ সম্ভব। তাই স্বপ্ন পূরণের ভিত্তি হলো আত্মবিশ্বাস। এটাই মানুষের চলার পথকে সুগম করে, সহজ করে।
এর ওপর ভর করেই মানুষ এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেছে, উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু আবিষ্কার করেছে। মহাকাশ, চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ, সমুদ্র ও দুর্গম মরু প্রান্তর জয় করেছে। আত্মবিশ্বাসই আমাদেরকে মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি দিয়েছে, স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার দিয়েছে। আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান যারা তারা অবিরাম কাজ করে চলে। স্বপ্নকে সামনে রেখে এগিয়ে চলে।
শিক্ষা: আত্মবিশ্বাস আর কাজের সমন্বয়েই পৃথিবীর সকল অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। তাই আমাদের আত্মবিশ্বাসের বলে বলীয়ান হওয়া প্রয়োজন।