ফজিলতপূর্ণ কয়েকটি দোয়া ও আমল
দোয়া শব্দের অর্থ আল্লাহকে ডাকা, কিছু চাওয়া, প্রার্থনা করা অর্থাৎ বিনয়ের সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনা করাই হলো দোয়া।
আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব, যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং লাঞ্ছিত হবে।’ (সূরা মু’মিন, আয়াত-৬০)
‘হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মুসলমান যখন অন্য কোনো মুসলমানের জন্য দোয়া করে, যার মধ্যে কোনোরূপ গোনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা থাকে না; আল্লাহ তায়ালা এ দোয়ার বিনিময়ে তাকে ৩টির যেকোনো একটি দান করে থাকেন-
> তার দোয়া দ্রুত কবুল করে থাকেন;
> তার প্রতিদান আখেরাতে দেয়ার জন্য রেখে দেন; কিংবা
> তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূর করে দেন।
ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া
بِسْمِ اللّٰهِ تَوَكّلْتُ عَلَی اللّٰهِ لَاحَوْلَ وَلَاقُوَّةَ اِلَّا بِاللّٰهِ-
📖 উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু 'আলাল্ল-হি লা-হাওলা ওয়ালা-ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি।
📖অর্থঃ আল্লাহর নামে আরম্ভ, আল্লাহর উপরই ভরসা করলাম, আল্লাহ তা'আলার অনুগ্রহ ব্যতীত নেই কোন শক্তি (সৎকর্ম করার) নেই কোন ক্ষমতা (অসৎকর্ম থেকে বাঁচার)।
[আবু দাউদ শরীফ]
📖ফযিলতঃ হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (দ) ইরশাদ করতেছেন, যখন কোন ব্যক্তি নিজ ঘর হতে বের হয়, তখন সে যেন বলে নেয় "উপরোক্ত দোয়া", তখন তাকে (দোয়া পাঠকারীকে) বলা হয়, 'তোমাকে সঠিক পথের দিশা ও পরিতুষ্টি দেওয়া হলো, আর তোমাকে সংরক্ষিত করে দেওয়া হলো। অত:পর শয়তান তার নিকট হতে দূরে পলায়ন করে।
[মিরাতুল মানাযীহ]
ঘরে প্রবেশ এর দোয়া
اَللّٰهُمَّ اِنِّیْ اَسْاَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللّٰهِ وَلَجْنَا وَعَلَی اللّٰهِ رَبِّنَا تَوَكّلْنَا-0
📖উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আস-আলুকা খইরল মাওলিজি ওয়া খইরল মাখরজি বিছমিল্লাহি ওয়া-লাজেনা ওয়া 'আলাল্লহি রব্বিনা তাওয়াক্কালনা।
📖অনুবাদঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার মহান দরবারে প্রবেশ করা ও বের হওয়ার কল্যাণ কামনা করছি। আল্লাহর নামে আমরা প্রবেশ করলাম এবং আমাদের রব আল্লাহর উপরই আমরা ভরসা করলাম।
[আবু দাউদ শরীফ]
📖ফযিলত: হযরত সাহল বিন সা'দ (রা) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসুলে কারীম (দ)'র নিকট তার অভাব-অনটনের অভিযোগ করলে তখন তিনি (নবীজি) ইরশাদ করলেন, যখন তুমি ঘরে প্রবেশ কর এমতাবস্হায় যে, ঘরে কেউ আছে তখন সালাম দিয়ে প্রবেশ কর। আর যদি ঘরে কেউ না থাকে তবে আমার উপর সালাম প্রদান কর এবং একবার সুরায়ে ইখলাছ পাঠ কর। ঐ ব্যক্তি উক্ত আমল করা আরম্ভ করলো অতঃপর আল্লাহ তা'আলা তাকে এমন সম্পদশালী করলেন যে, সে তার নিজের প্রতিবেশিকেও আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে লাগল। (তাফসিরে কুরতুবি, খন্ড-১০)
📖নোটঃ খালি ঘরে এভাবে সালাম দিতে হবে যেঃ-
اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النّبِیُّ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاةُهٗ0
📖উচ্চারণঃ আস্সালামু 'আলাইকা আয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
📖অনুবাদঃ হে নবী! আপনার (ক্বদমে) সালাম তথা শান্তি বর্ষিত হোক এবং আপনা উপর আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। (বাহারে শরীয়ত)
বিঃদ্রঃ
১.ঘরে/দোকানে ইত্যাদি জায়গায় বাহিরে থেকে প্রবেশের সময় যদি কেহ থাকে সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। (সূরায়ে নূর) তবে নিজের দোকানে প্রবেশ করতে এবং গুদামজাত ঘরে প্রবেশে অনুমতি লাগবে না।
২. যদি উক্ত স্হানে কেহ না থাকে, তাহলে প্রবেশের সময় নবীজিকে সালাম দিয়ে একবার সূরা ইখলাছ পাঠ করে প্রবেশ করতে হবে। (তাফসিরে কুরতুবি) এতে অভাব দূর হয়ে রিযিক বেড়ে যায়।
৩। উপরোক্ত দু'পদ্ধতির সাথে প্রথম দোয়াটি পাঠ করতে হবে। এক্ষেত্রে সেখানে কেহ থাকুক বা নাই থাকুক।
দোয়াটি আরবিতে পড়তে না পারলে বাংলা অর্থটি বলে প্রবেশ করলেও চলবে। তবে আরবিতে বলতে পারলে সাওয়াব বেশি পাওয়া যায়।
আল্লাহ পাক সকলকে আমল করার তৌফিক্ব নছীব করুন। আমীন
অসুস্থ অবস্থায় পড়ার দোয়া
لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّیْ كُنْتُ مِنَ الظّالِمِيْنَ-0
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লা আন্তা ছুবেহানা ইন্নী কুন্তু মিনায্ব য্বলিমীনা।
📖অর্থঃ কোন উপাস্য নেই তুমি (আল্লাহ) ব্যতীত, পবিত্রতা তোমারই, নিশ্চয় আমার আমার দ্বারা অশোভন কাজ সম্পাদিত হয়েছে।
(সুরা আম্বিয়া, আয়াত-৮৭)
📖ফযিলতঃ অসুস্হ অবস্হায় এ দো'আ পাঠ করতে থাকলে সুস্হতা লাভ করবে, আর ঐ অবস্হায় মৃত্যুবরণ করলে শহীদের মর্যাদা লাভ হবে।
(মুসতাদরাক লিল হাকেম, সহীহ হিসনে হাসীন)
যে ব্যক্তি অসুস্হ অবস্হায়
(এ আয়াত শরীফ) ৪০ বার পাঠ করবে, সে যদি ঐ রোগে মৃত্যুবরণ করে, তবে শহীদ আর যদি সুস্হ হয়ে যায় তাহলে তা গুনাহ্ ক্ষমা হয়ে যাবে।
(বাহারে শরীয়ত)
আল্লাহ পাক নবীজির সদক্বায় আমাদেরকে 'আমল করার তৌফিক্ব দান করুন। (আমীন)
অগনিত সওয়াব অর্জনের দোয়া
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِیْ وَلِكُلِّ مُؤْمِنٍ وَّمُؤْمِنَةٍ-0
📖উচ্চারণঃ আল্লহুম্মাগফিরলী ওয়ালি কুল্লি মুমিনিওঁ ওয়া মুমিনাতিন।
📖অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার এবং সমস্ত মুমিন নর-নারীর গুনাহ্ সমূহ ক্ষমা
করে দাও।
📖ফযিলতঃ প্রিয় নবীজি ইরশাদ করতেছেন, যে ব্যক্তি সমস্ত মুমিন নরনারীর জন্য গুনাহ্ মাফ চাইবে,
সে ব্যক্তির জন্য মহান আল্লাহ প্রতিজন মুমিন নরনারীর পরিবর্তে একটি করে সাওয়াব লিখে দিবেন।
(মুসনাদুশ শামিয়ীন লিত ত্বাবরানী)
📖নোটঃ উপরোক্ত দো'আটি আরবীতে কিংবা বাংলাতে অথবা উভয় ভাষায় পড়ার চেষ্টা করুন, বিশেষতঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর কমপক্ষে একবার করে হলেও পড়ার অভ্যাস করুন।
আল্লাহ পাক প্রিয় হাবীব (দ)'র উছিলায় দো'আ করার প্রতি আমাদের মন মানসিকতা তৈরী করে দিন। (আমীন)
আয়না দেখার দোয়া
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ حَسَّنْتَ خَلْقِیْ فَحَسِّنْ خُلُقِیْ-0
📖উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা আনতা হাস্সান্তা খলক্বী ফাহাস্সিন খুলুক্বী।
📖অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আপনি আমার আকৃতি তো সুন্দররূপে সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং আমার চরিত্রও সুন্দর্য্যমন্ডিত করুন।
(আল হিসনুল হাসীন)
📖ফযিলতঃ রাসুল (দ) দাঁড়ি মোবারক আঁচড়ানোর সময় আয়নার মধ্যে আপন চেহেরা মোবারক দেখতেন এবং উপরোক্ত দো'আ পাঠ করতেন।
[ শামায়েলে রাসুল (দ)]
হযরত মা আয়েশা (রা) ইরশাদ করেন, প্রিয় নবী দো'আ করার সময় উক্ত দো'আ পড়তেন।
( মেশকাত শরীফ, কিতাবুল আদাব, বাবুল হুসনুল খুলুক্ব, তবে সেখানে আরবী শব্দ উপরের ন্যায় নয়)
উলামা ইকরাম বলেন, আয়না দেখার সময় উক্ত দো'আ পাঠ করলে সন্তান সন্তুতি সুন্দর আকৃতিতে জন্মলাভ করবে, ইনশা আল্লাহ।
📖সতর্কতাঃ রাসুল (দ)'র চরিত্র মোবারক নিঃসন্দেহে পবিত্র। এগুলো আমরা উম্মতদের শিক্ষার জন্যে পড়তেন, যাতে আমরা আমলগুলোর মাধ্যমে নিজেদের চরিত্র সুন্দর করতে পারি।
আল্লাহ পাক প্রিয় নবীজির মাধ্যমে আমাদের চরিত্রকে আমাদের আকৃতির ন্যায় সুন্দর করে তোলার শক্তি দান করুন। আমীন।
গরমের সময় পড়ার দোয়া
لَا اِلٰه اِلَا اللّٰهُ. اَللّٰهُمَّ اَجِرْنِیْ/اَجِرْنَا مِنْ حَرِّ جَهَنَّمَ0
📖উচ্চারণঃলা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহুম্মা আজিরনী (অথবা) আজিরনা মিন হাররি জাহান্নাম।
📖অনুবাদঃ আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোন ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমাকে অথবা আমাদেরকে জাহান্নামের গরম হতে মুক্তি দাও।
📖ফযিলতঃ রাসুল (দ) ইরশাদ করতেছেন, যখন প্রচন্ড গরমের সময় বান্দাহ উপরোক্ত দোয়া পড়ে, তখন আল্লাহ পাক দোযখকে ইশারা করে ইরশাদ করেন, আমার বান্দা আমার নিকট তোমার গরম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছে, আমি তোমাকে সাক্ষী করছি আমি তাকে (বান্দাহকে) তোমার গরম থেকে মুক্তি দিলাম।
(আল বুদুরুস সাফরাহ)
সারাদিন দরুদ শরীফ পাঠের সওয়াব
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلٰی سَّيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ فِيْ اَوَّلِ كَلَامِنَا وَفِیْ اَوْسَطِ كَلَامِنَا وَفِیْ اَخِرِ كَلَامِنَا-0
📖উচ্চারণঃআল্লহুম্মা ছ্বল্লি ওয়া ছাল্লিম ওয়া বারিক আ'লা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মিদিন ফী আউয়ালি কালামিনা ওয়া ফী আওছাতি কালামিনা ওয়া ফী আখিরি কালামিনা।
📖অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আমাদের কথার শুরুতে, আমাদের কথার মাঝামাঝিতে এবং আমাদের কথার শেষে আমাদের মুনিব ও মাওলা মুহাম্মদ (দ)'র উপর আপনার রহমত, শান্তি ও বরকত দান করুন।
📖ফযিলতঃ যে ব্যক্তি এ দুরুদ শরীফ প্রতিদিন দিনে ৩ বার এবার রাতে ৩ বার পাঠ করবে, সে যেন দিন-রাত দুরুদ শরীফ পাঠ করলো অর্থাৎ সারা দিনরাত দুরুদ শরীফ পাঠ করার সাওয়াব অর্জন করল।
(দুরুদো কি তোহফা)
আল্লাহ পাক নবীজির উছিলায় আমাদেরকে বেশি বেশি উক্ত দুরুদ শরীফ পাঠ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
কাপড় পরিধানের দোয়া
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْ كَسَانِیْ هٰذَا وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّيْ وَلَا قُوَّةَ-0
📖আরবি উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহিল-লাযি কাছানী হাযা ওয়া রযাক্বনীহি মিন গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা ক্বুউ-ওয়াতা।
📖অনুবাদঃ আল্লাহর জন্য সকল প্রশংসা, যিনি আমাকে এ কাপড় পরিধান করিয়েছেন এবং আমার শক্তি সামর্থ না থাকা সত্ত্বেও আমাকে এটা আমাকে দান করেছেন।
📖ফযিলতঃ যে ব্যক্তি কাপড় পরিধান করার সময় উপরোক্ত দো'য়া পড়বে, তার পূর্বের ও পরের সকল গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে।
( আবু দাউদ শরীফ)
আল্লাহ পাক নবীজির উছিলায় আমাদের সকলকে কাপড় পরার দোয়া শিখার এবং সর্বদা পাঠ করার তৌফিক্ব দান করুন। আমীন।
ফুলের ঘ্রাণ নেওয়ার সময় যে দোয়া পড়তে হয়
اَلصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ-
وَعَلٰی اٰلِكَ وَاَصْحَابِكَ يَاحَبِيْبَ اللّٰهِ.
📖আরবী উচ্চারণঃ আছ্ব ছ্বলা-তু ওয়াস্ সালা-মু 'আলাইকা ইয়া রসুলাল্ল-হি, ওয়া 'আলা- আ-লিকা ওয়া আছ্বহা-বিকা ইয়া হাবীবাল্ল-হি।
[ সূত্র: নুযহাতুল মাজালিস, আবে কাউসার]
📖অনুবাদঃ হে আল্লাহর রাসুল! আপনার উপর, আপনার পরিবার উপর, আপনার সাহাবীগণের উপর আল্লাহর রহমত ও সালাম বর্ষিত হোক।
📖ফযিলতঃ ১.বর্ণিত আছে, হযরত নবী করিম (দ) ইরশাদ করতেছেন- মি'রাজ রাতে ফেরার পর আমার পবিত্র ঘামের ফোঁটা যমীনে উপর পড়লো, তখন তা থেকে গোলাপ ফুলের সৃষ্টি হয়েছে। যে কেউ আমার খুশবূ পেতে চায়, সে যেন গোলাপ ফুলের খুশবূ গ্রহণ করে।[মাদারিজুন নবুওয়াত]
২.সম্মানিত আলেমগণ বলেন: রাসুলে পাক (দ)'র পবিত্র ঘাম মোবারকের খুশবূ গোলাপ ফুলে পাওয়া যায়।[প্রাগুক্ত]
বিঃদ্রঃ উপরোক্ত দুরুদ শরীফ ছাড়াও যে কোন দুরুদ পড়া যাবে।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কথাটি কত সুন্দর করে বলেছেন,
ওরে গোলাপ, নিরিবিলি
মোর নবীর ক্বদম ছোঁয়ে ছিলি,
সে ক্বদমের খোশব আজও
তোর আতরে জাগে।
আল্লাহ পাক সকলকে আমল করার এবং নবীজির ঘাম মোবারকের ঘ্রাণ নেওয়ার তৌফিক্ব দান করুন। আমীন।