প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ | আহাদনামা | উদ্দেশ্য সফলের আমল | দোয়ায়ে নাদে আলী ও তার ফজিলত
In this blog post you will learn the Top 10 Plus most important dua for your daily need. So let's star reading and making chart for your daily reading. For getting regular post pls follow our facebook page.
নিজগৃহে প্রবেশের দোয়া
==========
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ ، وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا
অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট উত্তম প্রবেশ স্থান ও উত্তম বের হবার স্থান প্রার্থনা করছি। আল্লাহর নামে প্রবেশ করছি এবং আমাদের প্রভু আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা স্থাপন করছি।
নিজ গৃহ হতে বের হবার দোয়া
==========
بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ
অর্থ : আল্লাহ তা’য়ালার নামে (বের হচ্ছি) আল্লাহ তা’য়ালার উপর ভরসা করছি। পাপ হতে ফিরবার সামর্থ ও সৎকাজ করার শক্তি প্রদানকারী একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালাই।
ফযিলত : হাদীসশরীফে আছে- যে ব্যক্তি ঘর হতে বের হবার সময় উপরোক্ত দোয়া পড়বে। রহমতের ফেরেশতা তাকে বলে, তুমি (এ দোয়া দ্বারা) হিদায়াত লাভ করেছ। তা তোমার জন্য যথেষ্ট হলো। আপদ বিপদ হতে বেঁচে গিয়েছ। এরপর শয়তান লজ্জিত হয়ে যায় এবং অপর শয়তান লজ্জিত শয়তানকে বলে, যে ব্যক্তি হেদায়াত লাভ করেছে এবং (এমন কার্য করেছে যা তার সাহায্যের জন্য) যথেষ্ট হয়েছে সে আপদ-বিপদ হতে বেঁচে গিয়েছে, তাকে কি করতে পারবে? অতঃপর শয়তান নিরাশ হয়ে তার কাছ থেকে দূরে চলে যায়। (তিরমিযী, আবু দাউদ শরীফ)
খানা খাওয়ার শুরুতে এ দোয়া পড়বে
==========
بسم الله و على بركة الله
অর্থ: আল্লাহর নামের সাথে এবং আল্লাহর দানকৃত বরকতের উপর শুরু করলাম (মুসতাদরাকে হাকেম)
খাবার শুরুতে দোয়া পড়তে ভুলে গেলে পরে যখন স্মরণ হবে এ দোয়া পড়বে।
بسم الله اوله واخره
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আউয়ালাহু ওয়া আখিরাহু।
অর্থ : আল্লাহর নামের সাথে শুরুতে ও শেষেও। ( আবু দাউদশরীফ)
খাওয়ার শেষে এ দোয়া পড়বে
==========
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজী আত্বা আ’মানা ওয়া সাক্বানা ওয়াজা আলানা মিনাল মুসলিমীন ।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে খাওয়ালেন ও পান করালেন এবং মুসলমান বানালেন। (আবুদাউদ, তিরমিযী নাসায়ী)
যমযমের পানি পান করার সময় এ দোয়া পড়বে
=========
ক্বেবলার দিকে মুখকরে দাঁড়িয়ে بسم الله (বিসমিল্লাহ) বলে তিন শ্বাসে খুব পেটভরে (যদি বেশি পাওয়া যায়) যমযমের পানি পান করবেন। পানি পান করার পর বলবেন- الحمد لله(আলহামদুলিল্লাহ) (ইবনে মাজাহ) হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু যমযম পান করতে এ দোয়া পড়তেন-
اللهم انى اسألك علما نافعا ورزقا واسعا وشفاء من كل داء
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান না-ফিআন ওয়া রিযকান ওয়াসি আন ওয়া শিফাআন মিন কুল্লি দাইন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই উপকারী জ্ঞান, প্রশস্ত খাদ্য, এবং সকলপ্রকার রোগ থেকে আরোগ্য। (মুসতাদরাকে হাকেম)।
ফযিলত: হাদীসশরীফে বর্ণিত আছে- রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন- যমযমের পানি যে উদ্দেশ্যে পান করা হয়। সে উদ্দেশ্যের জন্য উপকারি হয়ে থাকে। যদি তোমরা এটাকে রোগ-শোক আরোগ্যের জন্য পান করো, তবে আল্লাহপাক তোমাদেরকে আরোগ্য দান করবেন, আর যদি তোমরা কোন শত্রু অথবা বিপদ-আপদ হতে আশ্রয়ের জন্য পান কর, তবে আল্লাহপাক তোমাদেরকে এর দ্বারা আশ্রয় দান করবেন এবং যদি তোমরা নিজেদের পিপাসা নিবারণ করার উদ্দেশ্যে পান কর, তবে আল্লাহপাক তোমাদের পিপাসা নিবারণ করে দিবেন। (মুসতাদরাকে হাকেম)
নিদ্রা যাবার সময় এ দোয়া পড়বে
==========
اللهم باسمك اموت و احيى
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনারই নামের সাথে মৃত্যুবরণ করব এবং আপনারই নামের সাথে জীবিত থাকব।
নিদ্রা হতে জাগ্রত হয়ে এ দোয়া পড়বে
=========
الحمد لله الذى احيانا بعد ما اما تنا واليه النشور
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজী আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।
অর্থ: সকল প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে জীবিত করেছেন (নিদ্রায়) মৃত্যুদান করার পর এবং তাঁর দিকেই পুনরুত্থানের পর ফিরে যাব (বুখারীশরীফ)
নিদ্রা হতে ঠিক সময় উঠার তদবির
==========
জনৈক ব্যক্তি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর কাছে বলল- আমি মনে মনে ঘুম থেকে জেগে নামায পড়তে ইচ্ছা করি।
কিন্তু ঘুম প্রবল হয়ে যায়। তিনি বললেন তুমি যখন ঘুমাতে যাও তখন সূরা কাহাফের শেষ আয়াতগুলো قل لو كان البحر مدادا থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত পাঠ কর। এর ফলে তুমি যখন জাগার ইচ্ছা করবে, আল্লাহ তায়ালা তখনই তোমাকে জাগিয়ে দিবেন। (ছালভী)
প্রিয়া পাঠকবৃন্দ! ঘুম থেকে নির্দিষ্ট সময় জাগ্রত হওয়ার জন্য এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে যে স্বল্প আহার ও তুলনামূলক শক্ত বিছানায় ঘুমাতে হবে।
নিম্নে এই আয়াতখানা প্রদত্ত হলো-
قُل لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ أَن تَنفَدَ كَلِمَاتُ رَبِّي وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهِ مَدَدًا قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰ إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ ۖ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
অপর একটি তদবির, যদি কেহ নির্দিষ্ট সময় নিদ্রা হতে জাগরিত হতে চায়, তবে নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে নিম্নের আয়াত এগারবার পাঠ করে নিদ্রা যাবে। ইনশাআল্লাহ সময়মত নিদ্রা ছুটে যাবে। আয়াতখানা এই-
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُمْ بُنْيَانٌ مَرْصُوصٌ
উচ্চারণ: ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুল্লাযীনা ইউক্বাতিলূনা ফী সাবীলিহী ছাফ্ফান কাআন্নাহুম বুনইয়ানুম মারছূছ্।
নিদ্রা যাবার রীতি-নীতি
==========
নিদ্রা যাবার পূর্বে পানির বরতন ঢেকে রাখবে, প্রদীপ নিভিয়ে দিবে, কোনরূপ ঘ্রাণযুক্তখাদ্য আহার করলে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবে, যাতে কোন তিকারক প্রাণী কোনরূপ তি করবার সুযোগ না পায়। আবুদাউদশরীফে এক হাদীসে এসেছে- হুযুরেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারা ইবনে আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এরশাদ করেছিলেনÑ তোমরা নিদ্রার জন্য শয্যাগ্রহণ করার পূর্বে নামাযের অযুর মত অজু করে নিবে, তারপর বিছানায় ডানকাতে শয়ন করে নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ কর। এই দোয়া পাঠের পরে নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে আর কোনরূপ বাক্যোচ্চারণ কর না। দোয়াটি এই-
اللَّهمَّ إنِّي أسلمت نفسي إليك وفوَّضتُ أمري إليك وألجأتُ ظهري إليك رغبةً ورهبة إليك آمنتُ بكتابك الذي أنزلت وبنبيِّك الذي أرسلت
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসলামতু অজহী ইলাইকা অ ফাওয়্যাদ্বতু আমরী ইলাইকা অলজাতু জাহরী ইলাইকা রাগাবাতাউ অ রাহবাতান ইলাইকা আমানতু বি কিতাবিকাল্লাযী আনযালতা অ নাবিয়্যিকাল্লাযী আর সালতা।
হুযুরেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন- যদি তোমরা নিদ্রা যাবার পূর্বে এই দোয়াটি পড়ে নিদ্রার মধ্যে মৃত্যুবরণ কর, তবে তোমরা মুসলমান হিসাবে মৃত্যুবরণ করবে, (গুনিয়াতুত্ব ত্বালিবীন)
যদি তোমরা নিদ্রার জন্য শয্যায় শায়িত হও, তবে ডানকাতে কিবলামুখী হয়ে এমনভাবে শয়ন কর যেমনভাবে মৃত ব্যক্তিকে কবরে শয়ন করানো হয়। হাদীসশরীফে বর্ণিত আছে- যদি কেহ আল্লাহ তায়ালার আসমান ও যমিনব্যাপী শাসন ও কর্তৃত্ব সম্পর্কে চিন্তা করতে করতে আকাশের দিকে তাকিয়ে চিতভাবে শয়ন করে, তবে তাতে কোন তির কারণ নেই। কিন্তু উলটভাবে অর্থাৎ উপুড় হয়ে শয়ন করা মাকরুহ।
নিদ্রার মধ্যে কোনরূপ ভীতিব্যঞ্জক স্বপ্ন দেখলে কুফল হতে নিরাপত্তার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে এবং বামকাতে ফিরে তিনবার থুক ফেলে পাঠ করবে-
اللهم ارزقنى خير رؤياى واكفنى شرها
যদি শরীর নাপাক না থাকে তবে উক্ত দোয়াটি পড়ে একবার করে আয়াতুল কুরসী, সূরা ইখালাস, সূরা নাস পাঠ করবে। দৃষ্টস্বপ্ন কেবল জ্ঞানী আলেম এবং উত্তম স্বপ্নবিশারদ লোকদের কাছে বর্ণনা করবে। কোন অজ্ঞান এবং মূর্খ ব্যক্তির কাছে স্বপ্ন প্রকাশ করবে না।
হযরত আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- আমি স্বয়ং হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে- সত্যস্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে আসে এবং বেহুদা স্বপ্নসমূহ আসে শয়তান হতে। কাজেই কোনরূপ বেহুদা খাব এবং কুস্বপ্ন দেখলে বামকাতে ফিরে তিনবার থুক ফেলবে এবং আল্লাহর দরবারে পানাহ প্রার্থনা করবে। এইরূপ আমল দ্বারা কুস্বপ্ন দর্শন এবং কুস্বপ্নের তিকর ফল হতে নিরাপদ থাকা যায়। খারাপ স্বপ্ন দেখেই এ দোয়া পড়া চাই-
اعوذ باالله من الشيطن الرجيم ومن شر هذه الرؤياى
হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যদি নিদ্রাবস্থায় কোন ভাল স্বপ্ন দেখে এবং চোখ খুলে যায়, তবে এর উপর الحمد لله ‘আলহামদুলিল্লাহ’ (অর্থ্যাৎ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য) বলবে, আর ঐ স্বপ্ন এমন লোকের নিকটই বর্ণনা করবে, যে তোমার প্রতি ভালবাসা রাখে তোমার হিতাকাংক্সী। (বুখারী ও মুসলিম)
নিদ্রা যাবার সময় বিশেষ আমল
==========
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অমর বাণী-
১. চারহাজার দিনার সদকা দিয়ে ঘুমাবে।
২. একখতম কোরআন শরীফ পড়ে ঘুমাবে।
৩. জান্নাতের মূল্য দিয়ে ঘুমাবে।
৪. উভয়ের বিবাদ মিটিয়ে ঘুমাবে ।
৫. একহজ্জ্ব আদায় করে ঘুমাবে।
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজ আমার জন্য বড়ই কঠিন, আমি কি করে এ কাজ করতে পারি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
১. চারবার সূরা ফাতেহা পড়ে ঘুমালে, চারহাজার দিনার সদকা করার সওয়াব তোমার আমল নামায় লেখা হবে।
২. তিনবার সূরা ইখলাছ ‘কুলহু আল্লাহু আহাদ’ পড়ে ঘুমালে এক খতম কোরআন পড়ার সওয়াব পাবে।
৩. তিনবার দরূদশরিফ পড়লে জান্নাতের মূল্য আদায় হবে।
৪. দশবার আসতাগফিরুল্লাহ পড়ে ঘুমালে উভয়ের বিবাদ মিটানোর সওয়াব পাবে।
৫. চারবার তৃতীয় কালেমা (কালেমা তামজীদ) পড়ে ঘুমালে এক হজ্জের সওয়াব পাবে । (সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহির আলিয়্যিল আজীম)।
এরপর হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ আমি প্রতি রাতে এ আমল করে ঘুমাব।
এরপর গোনাহ্ ক্ষমার দোয়া করবে
اللهم اغفرلى
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলী।
অর্থ: হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন (বুখারীশরীফ)। এরপর অযু করে দুই রাকায়াত নামায পড়বে
ফযিলত: হাদীসশরীফে বর্ণিত আছে- যে ব্যক্তি রাতে জাগ্রত হয়েই উল্লিখিত দোয়া পাঠ করে। গোনাহ ক্ষমার জন্য দোয়া করে বা অন্য কোন দোয়া করে তার দোয়া কবুল হবে। আর যদি অযু করে দু’রাকাআত তাহিয়্যাতুল অযু নামায পড়ে, তবে তার নামায কবুল হবে ।
পায়খানায় প্রবেশ করার সময় এ দোয়া পড়বে
==========
اللهم انى اعوذبك من الخبث والخبائث
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল খুবছি ওয়াল খাবাইছ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই, নর ও নারী শয়তান সকল হতে। (সেহাহ্ সিত্তাহ)
পায়খানা থেকে বের হয়ে এ দোয়া পড়বে
==========
غفرانك الحمد لله الذى اذهب عنى الاذى وعفانى
উচ্চারণ: গুফরানাকা আল হামদুলিল্লা হিল্লাজী আজহাবা আননিল আজা ওয়া আফানী।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার কাছে মা চাই, সে আল্লাহর জন্য সমস্ত কৃতজ্ঞতা, যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করলেন এবং আমাকে নিরাপদ করলেন (নাসাই, ইবনে হাব্বান)
অযু শেষ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে এ দোয়া পড়বে
==========
اشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له واشهد انّ محمّدا عبده ورسوله- اللهم اجعلنى من التوّابين واجعلنى من المتطهرين سبحانك اللهم و بحمدك اشهد ان لا اله الاّ انت استغفرك واتوب اليك
উচ্চারণ: আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু, আল্লাহুম্মাজ আলনী মিন তাওয়াবীনা ওয়াজাআলনী মিনাল মুতাত্বাহ্হিরীনা সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলা হা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা ।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। হে আল্লাহ! আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুণ। হে আল্লাহ আপনি পরম পবিত্র, আপনার জন্যই প্রশংসা, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কেউ এবাদতের উপযুক্ত নেই। আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং (আপন গুনাহসমূহ থেকে) তওবা করি (মুসলিম, তিরমিযী, মুসতাদরাকে হাকেম)
ফযিলত: হাদীসশরীফে বর্ণিত আছে- যে ব্যক্তি অযু করার সময় উল্লেখিত দোয়া করে, তার জন্য মার একটি কাগজের টুকরো লিখে তার উপর মহর লাগিয়ে রেখে দেয়া হয়, কেয়ামতের দিন পর্যন্ত ঐ মোহর ভাঙা হবে না এবং ঐ মার নির্দেশ ঠিকই থাকবে। (ত্বাবরানী আল আওছাত)
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি অযুর শেষে কালিমা শাহাদাত পড়বে, তার জন্য বেহেশতের আটটি দরজা খোলা থাকবে, সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। (মিশকাত ৩৯পৃ:)
মসজিদে প্রবেশের সময় এ দোয়া পড়বে
==========
بسم الله والصلوة والسلام على رسول الله اللهم افتح لى ابواب رحمتك-
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আ‘লা রাসূলিল্লাহি আল্লাহুম্মাফ তাহলী আবওয়াবা রাহমাতিক।
অর্থ: আল্লাহর নামে এবং দরূদ ও শান্তি বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের উপর। হে আল্লাহ! আপনি আপনার করুণার দ্বার আমার জন্য খুলে দিন। (মুসলিম, মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা)
মসজিদ হতে বের হবার সময় এ দোয়া পড়বে
==========
بسم الله والصلوة والسلام على رسول الله اللهم انى اسألك من فضلك-
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়াছছালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদ্বলিক ।
নতুন কাপড় পরার সময় এ দোয়া পড়বে
==========
الحمد لله الذى كسانى هذا ورزقنيه من غير حول منى ولا قوة-
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজী কাসানী হাজা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতা।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’আয়ালার জন্য, যিনি আমাকে এসব কাপড় পরালেন এবং তা আমাকে দান করেছেন, আমার প হতে তা পাওয়ার জন্য কোন শক্তি ও সামর্থ থাকা ব্যতীত। (আবুদাউদ)
ফযিলত: যে ব্যক্তি এ দোয়া পড়ে নতুন কাপড় পরিধান করবে, তার অতীত ও ভবিষ্যতের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে (আবুদাউদ)
স্ত্রী সহবাস করার ইচ্ছা করলে প্রথমে এ দোয়া পড়বে
==========
بسم الله اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقتنا
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিব নাশ শাইত্বানা ওয়াজান্নিবিশ শাইত্বানা মা-রাযাক্বতানা।
অর্থ: আল্লাহর নামের সাথে, হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে দূরে রাখ শয়তান হতে এবং শয়তানকে দূরে রাখ আমাদের জন্য যা নির্ধারণ করেছ তা হতে । (ছিহাহ্ সিত্তাহ)
বীর্যপাতের সময় এ দোয়া পড়বে
==========
اللهم لا تجعل للشيطان فيها رزقتنى نصيبا-
উচ্চরণ: আল্লাহুম্মা লা তাজ ‘আলিশ শাইত্বানি ফীহা রাযাক্বাতানী নাছীবা ।
অর্থ: হে আল্লাহ! যে সন্তান আপনি আমাকে দান করবেন তার মধ্যে শয়তানের কোন অংশ রাখবেন না। (মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বা)
সামুদ্রিক ভ্রমণের দোয়া
=========
নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার ও জাহাজে আরোহণকালে এবং পুল বা সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার হবার সময় নিম্নের দোয়া পড়বে-
بسم الله مجرها و مرسها ان ربى لغفور رحيم
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়ামুর সাহা ইন্না রাব্বী লা গাফুরুর রাহীম।
অর্থ: আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি, আমার পালনকর্তা অতি মা পরায়ণ, মেহেরবান। (সূরা হুদ-৪১)
বাজারে প্রবেশকালে এ দোয়া পড়বে
==========
لا اله الا الله وحده لاشريكله له الملك وله الحمد يحيى ويميت وهو حى لايموت بيده الخير وهو على كل شئ قدير-
উচ্চারণ: লা-ইলা হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু লা শারীকালাহু লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ূহয়ী ওয়া ইয়ূমীতু ওয়া হুয়া হাইয়্যূন লা ইয়ামূতু বিইয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইইন ক্বাদীর ।
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি একক তার কোন অংশীদার নেই। (সমস্ত পৃথিবীও তাঁর, তাঁর জন্য সকল প্রশংসা, তিনি জীবিত রাখেন, তিনি মৃত্যু দেন, তিনি চিরজীবিত তাঁর মৃত্যু নেই, তাঁর হাতে (সকল) কল্যাণ, তিনি সকল বস্তুর উপর মতাশীল। (তিরমিযী)
ফযিলত: যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশের সময় উপরে উল্লেখিত দোয়া পড়বে, আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্য একলাখ নেকী (তার আমলনামায়) লিখে দিবেন এবং তার (আমলনামা হতে) একলাখ গোনাহ মাফ করে দিবেন এবং তার একলাখ দরজা (মর্তবা) উঁচু করে দিবেন এবং জান্নাতে তার জন্য একখানা ঘর (অট্টালিকা) তৈরি করবেন। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্)
আয়না দেখার সময় এ দোয়া পড়বে
==========
اللهم انت حسنت خلقى فحسن خلقى
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আন্তা হাসসানতা খালক্বী ফাহাসসিন খুলুকী।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনিই আমার ছবি ও গঠনকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। অতএব আমার স্বভাব ও চরিত্রকে সুন্দর করে দিন।
হাঁচি দেওয়ার পর এ দোয়া পড়বে
==========
যখন হাঁচি আসবে তখন হাঁচিদাতা নিম্নের দোয়া পড়বে الحمد لله (আলহামদুলিল্লাহ )
অর্থ: আল্লাহ্ তায়ালার কৃতজ্ঞতা বা সর্ব অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞতা (বুখারী, আবুদাউদ)। তার উত্তরে (শ্রবণকারী) অপর ব্যক্তি বলবে- يرحمك الله
অর্থ: আল্লাহ তোমার উপর রহম করুক। (বুখারীশরীফ)
কাউকে রোগে আক্রান্ত দেখলে এ দোয়া পড়বে
==========
যে ব্যক্তি কাউকে (দুঃখ কষ্ট, রোগ বা বিপদে) আক্রান্ত দেখে, তখন আস্তে করে (ঐ ব্যক্তি যেন শুনতে না পায় ) এ দোয়া বলবে
الحمد لله الذى عافنى مما ابتلاك به وفضلنى على كثير مما خلق تفضيلا
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজী আ ফানী মিম্মাব তালাকা বিহী ওয়া ফাদ্বালানী আলা কাছীরিম মিম্মান খালাক্বা তাফদ্বীলা।
অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি সুখ-শান্তি প্রদান করেছেন এমন বিপদ হতে, যাতে তোমাকে লিপ্ত করে দিয়েছেন এবং আমাকে বহু সম্মান প্রদান করেছেন এমন অনেক ব্যক্তির উপর যাদেরকে তিনি সৃজন করেছেন (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
ফযিলত: যে ব্যক্তি কাউকে দুঃখ কষ্ট ও রোগে লিপ্ত দেখে উল্লেখিত দোয়া পড়ে নিবে, সে সারাজীবন ঐ দু:খ-কষ্ট থেকে নিরাপদে থাকবে। (তিরমিযী)
রোগীর রোগমুক্তির জন্য এ দোয়া পড়বে
==========
ডানহাত রোগীর শরীরের উপর ফিরাতে থাকবে এবং এ দোয়া পড়বে-
اللهم اذهب البأس رب الناس اشفه وانت الشافى لاشفاء الا شفاءك لا يغادر سقما
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আজহাবিল বা’ছা রাব্বান নাসি ইশফিহী ওয়া আনতাশ শাফী লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা লা ইউগাদিরু সুকমান।
অর্থ: হে আল্লাহ! কষ্টকে দূরীভূত কর। হে মানুষের প্রভু! এ রোগীকে আরোগ্য কর, এবং তুমিই শেফাদানকারী, তোমার শেফা ব্যতীত অন্য কোন শেফা নেই। এমন শেফা দান কর যেন কোন রোগ না থাকে (বুখারীশরীফ)
অথবা সাতবার এ দোয়া পড়বে
==========
اسئل الله العظيم رب العرش العظيم ان يشفيك
উচ্চারণ: আসআলুল্লা হাল আজীম রাব্বাল আরশিল আজীম আঁই ইয়াশফীকা।
অর্থ: আমি উচ্চ সম্মানিত প্রভুর নিকট প্রার্থনা করছি, যিনি বিশ্বপতির উচ্চ সিংহাসনের মালিক, যিনি আপনাকে আরোগ্য দান করবেন। (আবুদাউদ শরীফ )
ফযিলত: যে কেউ এমন কোন রোগীর সাথে সাক্ষাৎ করে যার মৃত্যু আসেনি এবং (উপরোল্লিখিত) এ দোয়া পড়ে, তবে আল্লাহ তায়ালা ঐ রোগীকে রোগ হতে অবশ্যই শেফা দান করবেন। (আবুদাউদ, তিরমিযী)
কোন বিপদ ও পেরেশানীর সম্মুখীন হলে এ দোয়া পড়বে
==========
لا اله الا الله العظيم الحليم لا اله الا الله رب العرش العظيم لا اله الا الله رب السموات والارض ورب العرش الكريم
উচ্চারণ: লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজীমুল হালীমু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজীমি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, যিনি সর্বাপো মহান, ধৈর্য্য ও সহনশীল, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, যিনি মহান আরশের প্রভু, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, যিনি আকাশসমূহ ও যমীনের প্রভু এবং মহান আরশের মালিক (বুখারীশরীফ)।
পেরেশানীর সময় এ দোয়া পড়বে
==========
حسبنا الله و نعم الوكيل حسبى الله ونعم الوكيل
উচ্চারণ: হাসবুনাল্লাহু ওয়ানি‘মাল ওয়াকীল হাসবিয়াল্লাহু ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল।
অর্থ: আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, কতইনা চমৎকার কামিয়াবী দানকারী, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, কতইনা চমৎকার কামিয়াবী দানকারী। (বুখারীশরীফ)
অথবা এ দোয়া পড়বে
==========
توكلت على الحى الذى لا يموت الحمد لله الذى لم يتخذ ولدا ولم يكن له شريك فى الملك ولم يكن له ولىّ مّن الذل وكبّره تكبيرا
উচ্চারণ: তাওয়াক্কালতু আলাল হায়্যিল লাজী লা ইয়ামূতু আলহামদু লিল্লাহিল্লাজী লাম ইয়াত্তাখিজ ওয়ালাদান ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু শারিকা ফিল মূল্ক ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু ওয়ালিয়্যূম মিনাল জোল্লে ওয়া কাব্বিরহু তাকবীরা।
অর্থ: আমি ঐ চিরঞ্জীব (আল্লাহর) উপর ভরসা করেছি যাঁর জন্য মৃত্যু নেই, সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য। যিনি না কোন সন্তান রাখেন, না তার সার্বভৌমত্বের কোন অংশীদার আছে এবং যিনি দুর্দশাগ্রস্থ হন না, যে কারণে কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং আপনি সভ্রমে তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে থাকুন।
ফযিলত : যে ব্যক্তি উপরোল্লিখিত দোয়াটি ইখলাসের সাথে পড়তে থাকবে, আল্লাহপাক তাকে পেরেশান মুক্ত রাখবেন এবং তার ইজ্জত ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন। (তাফসীরে জালালাইন ২৪০পৃ: সূরা বনী ইসরাঈল)
বিপদ থেকে মুক্ত থাকার জন্য এ দোয়া পড়বে
==========
اللهم احسن عاقبتنا فى الامور كلها واجرنا من خزى الدنيا وعذاب الاخرة
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আহসিন আ’কিবাতিনা ফিল উমূরী কুল্লিহা, ওয়াআ’জিরনা মিন খিযয়িদ দুনিয়া ওয়া আজাবিল আখিরাহ্ ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সকল কাজের শেষ ফলকে সুন্দর ও উত্তম করে দিন এবং আমাদের কে দুনিয়ার অপমান ও আখেরাতের আযাব হতে মুক্তি দান করুন। (ইবনে হাব্বান)
ফযিলত: হাদীসশরীফে বর্ণিত আছে- যে ব্যক্তি সর্বদা এ দোয়া পাঠ করবে, আল্লাহপাক তাকে সমস্ত বিপদ থেকে মুক্ত রাখবেন। (ত্বাবরানী)
পেরেশানমুক্ত ও রিযিক বৃদ্ধির জন্য এ দোয়া পড়বে
==========
الله لطيف بعباده يرزق من يشاء وهو القوى العزيز
উচ্চারণ: আল্লাহু লাত্বীফুম বিইবাদিহী ইয়ার যুকু মাই ইয়াশাউ ওয়াহুয়াল কাবিয়্যুল আজীজ ।
অর্থ: আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু, তিনি যাকে ইচ্ছা রিযিক দান করেন, তিনি প্রবল পরাক্রমশালী।
ফযিলত: যে ব্যক্তি প্রত্যেহ সকাল বিকাল এ আয়াত ৭০বার নিয়মিত পাঠ করবে, সে ব্যক্তি রিযিকের পেরেশানী থেকে মুক্ত থাকবে। (ইহা পরীতি আমল)
ঋণ পরিশোধ ও ঈমান মজবুত হবার জন্য এ দোয়া পড়বে
==========
শোয়ার সময় নিম্নের দোয়াটি পড়ে কথা না বলে ঘুমিয়ে পড়বেন-
بسم الله اللهم اسلمت نفسى اليك ووجهت وجهى اليك وفوضت امرى اليك- والجات ظهرى اليك رغبة ورهبة اليك- لاملجأ ولامنجأ منك الااليك امنت بكتابك الذى انزلت ونبيك الذى ارسلت
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইকা, ওয়াওয়াজ্জাহতু ওয়াজহী ইলাইকা, ওয়াফাও ওয়াদ্বতু আমরী ইলাইকা, ওয়ালজাতু জাহরী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা লা মাল জাআ‘ ওয়ালা মান জা’আ মিনকা ইল্লা ইলাইকা আ মানতু বি কিতাবিল্লাজী আনযালতা ওয়া নাবিয়্যিকাল্লাজী আরসালতা।
অর্থ: আল্লাহর নামের সাথে (শুইছি) হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার কাছে সমর্পণ করলাম, আপনার দিকে মুখ ফিরালাম, আমার কাজ আপনার কাছে ন্যস্ত করলাম এবং আপনার (সাহায্যের) প্রতি আমি ভরসা করলাম আগ্রহে ও ভয়ে। আশ্রয় পাওয়ার মুক্তি পাওয়ার স্থান নেই আপনার কাছে ছাড়া। আমি বিশ্বাস করি আপনার কিতাবে আপনি যা অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনার নবীকে যাকে আপনি প্রেরণ করেছেন । (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ)
শহীদী মর্যাদা ও মদীনায় মৃত্যুর আকাঙ্খায় এ দোয়া পড়বে
==========
اللهم ارزقنى شهادة فى سبيلك و اجعل موتى ببلد رسولك
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মার যুক্বনী শাহাদাতান ফী সাবীলিকা ওয়াজ আ’ল মাওতী বিবালাদি রাসূলিকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে আপনার রাস্তায় শাহাদাত এর তাওফীক দান করুন এবং আপনার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শহরে (মদীনায়) আমাকে মৃত্যু দান করুন। (বুখারী শরীফ)
ফযিলত : যে ব্যক্তি খাস অন্তরে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হবার জন্য দোয়া করবে, সে যদিও বিছানায় পড়ে মরে, আল্লাহ তা’য়ালা তাকে (দোয়ার বরকাতে) শহীদগণের মর্যাদায় পৌঁছে দেবে। (মুসলিমশরীফ)
ইহ ও পারলৌকিক ইলিম হাসিলের দোয়া
==========
হযরত ইমাম আবু হানিফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন- নিম্নের দোয়াটি যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামায বাদে দশবার পাঠ করবে সে দ্বীন-দুনিয়া উভয় স্থানে ইলিম হাসিলে সমর্থ হবে।
ইমাম সাহেব বলেন- ইহা আমার নিজ অভিজ্ঞতাপ্রসূত ঘটনা। আমি নিজেও ইহার আমল করেছি এবং যা ইলিম অর্জন করতে সম হয়েছি তার বদৌলতে। দোয়াটি এই-
اللهم ان نستعينك بك بطاعتك
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাইনুকা বিকা বিত্বয়াতিকা।
দুশমনের দুশমনী থেকে আত্মরার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী আমল
==========
بسم الله الرحمن الرحم- بسم الله على نفسى وابنى بسم الله على اهلى ومالى وولد بسم الله على مااعطانى- الله الله الله لااشرك به شيأ- الله اكبر الله اكبرالله اكبر واعز واجل واعظم مما اخاف واحذر عز جارك وجلاثنلائك ولااله غيرك اللهم انى اعوذبك من شر نفسى ومن شر كل جبار عنيد فان تولوا- فقل حسبى الله لا اله الا هو عليه توكلت وهو رب العرش العظيم-
ان ولى الله الذى نزل الكتاب وهو يتولى الصالحين وصلى الله تعالى على خير خلقه سيدنا محمد وعلى اله واصحابه اجمعين- برحمتك ياارحم الرحمين-
ফযিলত: হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, উপরোল্লেখিত দোয়াটি যে ব্যক্তি প্রতিদিন একবার পড়ে নিবে, তাকে কেউ তি করাতো দূরের কথা বরং কোন বদগুমান (কুধারণা) পর্যন্ত করতে পারবে না।
সকাল-সন্ধ্যাকালে পড়ার দোয়া
==========
প্রতিদিন সকাল বিকাল এ দোয়া তিনবার পড়বে-
بسم الله الذى لايضر مع اسمه شئ فى الارض ولا فى السماء وهو السميع العليم-
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ল্লাজী লা ইয়াদ্বুররু মা ইছমিহী শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালাফিস সামাই ওয়াহুয়াছ ছামীউল আলীম ।
অর্থ: ঐ আল্লাহ তা’য়ালার নামের সাথে যার নামের কোন জিনিসই তিসাধন করতে পারে না। যমীনের মধ্যেও নয় আবার আকাশের মধ্যেও নয় এবং তিনি (সবকিছু) শ্রবণকারী ও সর্বজ্ঞ।
ফযিলত: যে ব্যক্তি সকাল বিকাল তিন-তিন বারে এ দোয়া পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে প্রত্যেক আকস্মিক মসিবত থেকে হেফাজতে রাখবেন।
সকাল-বিকাল এ দোয়া তিনবার পড়বে
رضيت بالله ربا وباالاسلام دينا وبمحمد صلى الله عليه وسلم نبيا
উচ্চারণ: রাদীতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়া বিল ইসলামি দীনাও ওয়া বি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু ইলাইহি ওয়াসাল্লামা নাবিয়্যান।
অর্থ: আমি আল্লাহকে আমার প্রভু এবং ইসলামকে নিজ দ্বীন এবং আমি এর উপর সস্তুষ্ট হয়ে গিয়েছি। (মুসান্না ইবনে আবী শায়বা)
ফযিলত: যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল তিনবার করে এ দোয়া পড়বে, আল্লাহ তায়ালার উপর ঐ ব্যক্তির হক যে, তিনি তাকে কেয়ামতের দিন সন্তুষ্ট ও খুশি করে দিবেন এবং এ দোয়া পড়বে-
ياحى يا قيوم برحمتك استغيث اصلح لى شأنى كله ولاتكلنى الى نفسى طرفة عين
উচ্চারণ: ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বায়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগীছু, আসলিহলী শা’নী কুল্লাহু ওয়ালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বার ফাতা আইনিন ।
অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্বের ধারক। আমি প্রার্থনা করছি আপনার রহমতের ভিক্ষা চেয়ে। আপনি আমার সকল অবস্থাদি সংশোধন করেছেন, এক মুহূর্তের জন্যেও আমাকে আমার আত্মার দিকে অর্পণ করবেন না। (নাসায়ী)
ফযিলত : মসিবতের সময় সেজদায় পড়ে এ দোয়া বড়ই কার্যকরী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদরের যুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় সেজদায় পড়ে এ দোয়া পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা’য়ালা জয় লাভ করান।
সায়্যিদুল ইস্তেগফার
==========
সায়্যিদুল ইস্তেগফার তথা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মা প্রার্থনার দোয়া
اللهم انت ربى لااله الاانت خلقتنى واناعبدك واناعلى عهدك ووعدك مااستطت– ابوءلك بنعمتك على وابوءلك بذنبى فاغفرلى فانه لايغفرالذنوب الاانت-اعوذبك من شر ماصنعت
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বী লা ইলাহা ইল্লা আনতা খলাক্বতানী ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা আলা আহদিকা, ওয়া ওয়া আদিকা মাছত্বা’তুত আবুউলাকা বিনিয়মাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজামবি ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়াগ ফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা। আউযুবিকা মিন শাররি মা ছানা’তু।
ফযিলত: হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন যে- যদি কোন ব্যক্তি সকালে এখলাসের সাথে এই সায়্যেদুল এস্তেগফার পড়ে এবং ঘটনাক্রমে সে সন্ধ্যার পরে এবং সকাল হবার পূর্বে মারা যায় তখন সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারীশরীফ ২য় খণ্ড)
সকালসন্ধ্যায় এ দোয়া পড়বে
اللهم اجرنا من النار
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আজির না মিনান্নার ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি দাও।
ফযিলত: যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিব নামাযের পর কথা বলার পূর্বে দোয়া সাতবার পড়বে, সে যদি ঐদিন মৃত্যুবরণ করে, তবে জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি পাবে। (মিশকাতশরীফ)
বৃষ্টি বর্ষণের সময় এ দোয়া পড়বে
==========
اللهم صيبا نافعا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ছাইয়্যিবান না-ফিআন
অর্থ: হে আল্লাহ! উপকারি বৃষ্টি বর্ষণ করুন (বুখারী)
অতিবৃষ্টিতে তির আশঙ্কা হলে এ দোয়া পড়বে
==========
اللهم حوا لينا ولا علينا- اللهم على الاكام والاجام والظراب والاودية ومنابت الشجر
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা হাওয়া লাইনা ওয়ালা আলাইনা আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াল আজামি ওয়াজ জিরাবি ওয়াল আওদিয়াতি ওয়া মানা বিতিশ শাজারি ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের (বস্তিসমূহের) আশ পাশে (বর্ষণ করুন) আমাদের উপর বর্ষণ করবেন না। হে আল্লাহ! পাহাড়সমূহ, নদী-নালা, উপত্যকা মরুদ্যান এবং বৃরাজি উৎপন্ন হবার স্থানসমূহের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করুন। (বুখারী ও মুসলিমশরীফ)
ঘূর্ণিঝড় ও তুফানের সময় এ দোয়া পড়বে
==========
اللهم انى اسئلك خيرها وخير مافيها وخير ماارسلت به واعوذبك من شرها وشر مافيها وشر ماارسلت به
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আস আলুকা খাউরাহা ওয়া খাইরা মা-ফীহা, ওয়া খাইরা মা- উরসিলাত বিহী, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফীহা ওয়াশাররি মা- উরসিলাত বিহী।
অর্থ: হে আল্লাহ! ঝড় তুফানের উপকারিতা ও তার ভিতরে যা রাখা হয়েছে, তার উপকারিতা এবং তাকে যে কারণে পাঠিয়ে দিয়েছেন তার উপকারিতা আপনার নিকট প্রার্থনা করছি। তার অপকারিতা ও তার ভিতর যা রাখা হয়েছে তার অপকারিতা এবং তাকে যে কারণে পাঠিয়েছেন, তার অপকারিতা হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই। (মুসলিমশরীফ)
ভয়ানক বজ্রপাতের সময় এ দোয়া পড়বে
==========
اللهم لا تقتلنا بغضبك ولا تهلكن بعذابك وعافنا قبل ذالك
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা- তাক্বতুলনা বিগাদ্বাবিকা ওয়ালা তুহলিক্বনা বি আযাবিকা ওয়া আ’ফিনা ক্বাবলা জালিকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার গযব দ্বারা মারবেন না এবং এসবের পূর্বে নিরাপদ ও সুখ প্রদান করুন। (তিরমিযীশরীফ)
গাধা বা কুকুরের আওয়াজ শুনলে এ দোয়া পড়বে
==========
اعوذ بالله من الشيطان الرجيم
উচ্চারণ: আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম ।
অর্থ: আমি (বিতারিত) শয়তান হতে আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় চাচ্ছি। (বুখারীশরীফ)
নিরান্নব্বইটি রোগের ঔষধ
==========
لاحول ولا قوة الا باالله العلى العظيم
উচ্চারণ: লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল্ আলিয়্যিল আজীম ।
অর্থ: কোন উপায় ও মতা নেই আল্লাহ ছাড়া যিনি বড় ও মহান।
ফযিলত: হাদীসশরীফে বর্ণিত আছে- হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন- এ কালিমা পড়, কেননা এ কালিমা জান্নাতের খাজানাগুলোর মধ্যে থেকে একটি খাজানা। (সিহাহ্ সিত্তাহ)
এ কালিমা ৯৯ রোগের ঔষধ যার মধ্যে সবচেয়ে হালকা রোগ দু:খ চিন্তা এবং পেরেশানী (এগুলোকে এ কালিমা দূর করে দেয়) (মুসতাদরাকে হাকেম)
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর রেওয়ায়েতে রাছুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- যাকে দুর্ভাবনা ও দুশ্চিন্তায় ঘিরে ফেলে, তার উচিৎ বেশি পরিমাণে-
لاحول ولاقوة الا بالله
পাঠ করা, ওলামাগণ বলেন, এ কালিমা আমল সর্বাধিক সহায়ক । (মাদারেজেন্নবুয়্যত)
গোনাহ মাফ, প্রত্যেক সংকীর্ণতা হতে বের হওয়ার পথ, চিন্তামুক্ত ও ধারণাতীত জায়গা হতে রিযিকপ্রাপ্তির আমল
سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم استغفر الله واتوب اله ولاحول ولاقوة الا با الله العلى العظيم
অর্থাৎ- আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তার প্রশংসার সাথে আমি আল্লাহর নিকট মা প্রার্থনা করছি এবং তার নিকট তওবা করছি এবং অসৎ কাজ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সৎকাজ করার ও কারো মতা নেই সর্বোচ্চ ও মহান আল্লাহ তায়ালার সাহায্য ছাড়া।
ফজিলত: সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই দোয়ার মধ্যে তিনটি অংশকে একত্রিত করা হয়েছে। হাদীসশরীফের বর্ণনা অনুযায়ী যার ফজিলত অনেক।
প্রথম অংশ হলো, سبحان الله وبحمده এ সম্পর্কে হাদীসশরীফে আছে- হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন- যে ব্যক্তি দৈনিক একশতবার বলবে سبحان الله وبحمده তার গোনাহসমূহ মাফ করা হবে। যদি তা সমুদ্রের ফেনার মতো হয়। (বুখারী ও মুসলিম)।
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু বলেন- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন- যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় একশতবার বলবে سبحان الله وبحمده কিয়ামতের দিন তার ইহা অপেক্ষা শ্রেষ্ট বাক্য নিয়ে কেউ উপস্থিত হতে পারবে না। سبحان الله العيظم এ বাক্যটি পাঠ করলে কোন কোন কিতাবে পাওয়া যায় আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া যায়।
দ্বিতীয় অংশ হলো- استغفر الله واتوب اليه অর্থাৎ আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তার নিকট তওবা করছি।
ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কে হাদীসশরীফে হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন- যে সর্বদা মা চায় আল্লাহ তায়ালা তার জন্য প্রত্যেক সংকীর্ণতা হতে একটি পথ বের করে দেন এবং প্রত্যেক চিন্তা হতে তাকে মুক্তি দেন। আর তাকে রিযিক দান করেন যেখান থেকে সে কখনও ভাবে নাই। তৃতীয় অংশটি (নিরানব্বই রোগের ঔষধ) ইতোপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে (আহমদ, আবুদাউদ ও ইবনে মাজাহ)।
ঈমানের সাথে মৃত্যু হওয়ার আমল
==========
ربنا لا تزغ قلوبنا بعد اذ هديتنا وهب لنا من لدنك رحمة انك انت الوهب
উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বাদা ইয হাদায়তানা ওয়া হাবলানা মিল্ লাদুনকা রাহমাতান, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহ্হাব।
ফযিলত: নিয়মিতভাবে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাযের পর এই পবিত্র আয়াতটি পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ ঈমানের সাথে মৃত্যু হবে।
মৃত্যুর পূর্বে বেহেশতে নিজের বাসস্থান দেখার বা শোনার আমল
==========
হাদীসশরীফে এসেছে, যে ব্যক্তি জুমার মসজিদে উপস্থিত হয়েই নিম্নলিখিত নিয়মে দুই দুই রাকাত করে চাররাকাত নফল নামায আদায় করবে। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার সাথে পঞ্চাশবার করে সূরা এখলাস পাঠ করে, সে ব্যক্তি বেহেশতে নিজের বাসস্থান না দেখে বা না শুনে কখনও মৃত্যুবরণ করবে না। (কিমিয়ায়ে সাআ’দাত)
একসপ্তাহ শয়তানের ধোকা থেকে বাঁচার আমল
==========
জুমুআর নামায শেষে সাতবার করে পাঠ করবেন-
سورة الاخلاص- سورة الفلاق- سورة الناس ও سورة الفاتحة
ফযিলত: হাদীসশরীফে এসেছে- জুমুয়ার নামাযের শেষে উক্ত সূরাগুলি পাঠ করলে, এক জুমুআ থেকে পরবর্তী জুমুআ পর্যন্ত শয়তানের ধোকা থেকে বেঁচে থাকা যায়। (কিমিয়ায়ে সাআ‘দাত)
অকল্পনীয় স্থান থেকে জীবিকালাভের আমল
==========
اللهم ياغنى يا حميد يا مبدى يا رحيم يا ودود اكفنى بحلالك عن حرامك واغننى بفضلك عمن سواك
ফযিলত: বুযুর্গগণ বলেছেন- যে ব্যক্তি এ দোয়াটি সর্বদা পাঠ করবে, সে সব সময়ে অকল্পনীয় স্থান থেকে স্বীয় জীবিকালাভ করতে থাকবে। এতে তাকে আর কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না।
যে কোন রোগে ও মুছিবতে পড়লে দোয়া ইউনুস পড়বে
==========
لااله الا انت سبحانك انى كنت من الظالمين
উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুন্তু মিনাজ যোয়ালেমীন।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নাই, তুমি অতি পবিত্র আমি অবশ্য গুনাহগারদের দলভুক্ত।
ফযিলত: হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- যে মুসলমান অসুখ অবস্থায় দোয়ায়ে ইউনুস চল্লিশবার পড়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করবে, সে ঐ রোগে মারা গেলে শহীদের মরতবা লাভ করবে, আর যদি আরোগ্য লাভ করে তবে সম্পূর্ণ পাপমুক্ত হয়ে উঠবে (মুসতাদরাক)
একটি অতীব বরকতময় দোয়া
==========
بسم الله الرحمن الرحيم- اللهم اغفر لجميع المؤمنين والمؤمنات والمسلمين والمسلمات الاحياء منهم والاموات انك مجيب الدعوات ورافع الدرجات ياقاضى الحاجات برحمتك ياارحم الراحمين
ফাজিলত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি প্রত্যেহ সকল মুমিন মুসলমান নর-নারীর পক্ষে ২৭ বার মা প্রার্থনা করে, সে ব্যক্তি তাদেরই একজন হয়ে যায়, যাদের দোয়া কবুল হয় এবং যাদের উছিলায় পৃথিবীবাসীকে রিযিক দান করা হয়।
অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি সকল মুমিন নর-নারীর জন্য আল্লাহপাকের নিকট ইস্তেগফার করে আল্লাহপাক প্রত্যেক মুমিন মুসলমান নর-নারীর ইস্তেগফারের বদলে তার জন্য একটি নেকী লিখে দেন। (নুজহাতুল মাজালিস নামক কিতাব- ১ম খণ্ড- ৪৪ পৃষ্ঠা)
আহাদনামা
======
اللهم فاطر السموت والارض عالم الغيب والشهادة هو الرحمن الرحيم- اللهم انى اعهد اليك فى هذه الحيوة الدنيا بانى اشهد ان لا اله الا انت وحده لا شريك لك وان محمدا عبدك ورسولك فلا تكلنى الى نفسى فانك ان تكلنى اليها تقربنى الى الشر وتباعدنى من الخير فانى لا اثق الا برحمتك فاجعل لى عندك عهدا حتى توفيه الى يوم القيامة فانك لا تخلف الميعاد- يا الله يا الله برحمتك ياارحم الراحمين- وصلى الله على خير خلقه محمد واله واصحابه اجمعين
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আল্লাহুম্মা ফাতিরাচ্ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্বি আলিমুল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি হুয়ার রাহমানুর রাহীম। আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘হাদু ইলাইকা ফী হাযিহিল হায়াতিদ্দুনইয়া বি আন্নী আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহদাকা লা শারীকা লাকা ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়ারাসূলুকা ফালা তাকিলনী ইলা নাফসী ফা ইন্নাকা ইন তাকিলনী ইলাইহা তুকাররিবনী ইলাশ শাররি ওয়া তুবায়িদনী মিনাল খাইরি ফা-ইন্নী লা আছিকু ইল্লা বিরাহমাতিকা ফাজ আললী ইনদাকা আহদান হাত্তা তুওয়াফফীহু ইলা ইয়াওমিল কিয়ামাতি ফাইন্নাকা লা তুখলিফুল মীআ‘দ, ইয়া আল্লাহু ইয়া আল্লাহু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন , ওয়া ছাল্লাল্লাহু আলা খাইরি খালক্বিহী মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলিহী ওয়া আছহাবিহী আজমাঈন।
ফযিলত
====
ক. বর্ণিত আছে, জীবনে যে ব্যক্তি ১০০বার এ আহাদনামা সরল বিশ্বাসের সাথে পাঠ করবে নিঃসন্দেহে সে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করতে সামর্থ হবে। আর সে বেহেশতে প্রবেশ করবে।
খ. আহাদনামার ফযিলত সম্পর্কে বর্ণিত আছে- মানুষকে আল্লাহপাক ৩০০০ (তিনহাজার)-এর অধিক রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত রেখেছেন তন্মধ্যে মাত্র ১০০০ (একহাজার) রোগ সম্পর্কে চিকিৎসকগণ অবহিত আছেন এবং উহাদের প্রতিষেধক ঔষধ ও তাহাদের পরিজ্ঞাত আছে। অবশিষ্ট ২০০০ (দুইহাজার) রোগ সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহপাক ব্যতীত আর কেহই অবগত নন। যারা এই আহাদনামা লিখে সঙ্গে ধারণ করবে এবং সম্ভব ও সংকুলান মতে রোজ এক দুইবার করে পাঠ করবে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার বরকতে বাকি ২০০০ (দুইহাজার) রোগ তাহাদের অভ্যন্তর হতে দূরীভূত করে দিবেন ।
গ. আহাদনামা লিখে ধারণ করলে সাপ-বিচ্ছুর দংশন এবং যাদুর আসর হতে সম্পূর্ণ নিরাপদে থাকতে পারবে। বরতন বা পবিত্র কাগজে মিশ্ক ও জাফরান দ্বারা লিখে যে কোন রোগীকে ধুয়ে পান করাইলে রোগ চিরতরে নিরাময় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
ঘ. অত্র আহাদনামা যে ব্যক্তি তার জীবনের সর্ববিষয়ের অমোঘ ফলপ্রদ বলে ধারণা ও বিশ্বাস রাখবে, খোদার অশেষ কৃপায় তার যাবতীয় নেকউদ্দেশ্য সফল হবে। জ্ঞান হাছিল ও বোধশক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অত্র আহাদনামা মেশ্ক ও জাফরান কালিদ্বারা লিখে বৃষ্টির পানি দ্বারা ধৌত করে অতি প্রত্যুষে একাধারে কয়েকদিন পান করতে থাকলে তার বিদ্যা-বুদ্ধি ও বুঝশক্তি বৃদ্ধি পাবে। অতঃপর আমলকারী যা কিছুই শ্রবণ করুক না কেন হুবহু তা তার অন্তরে গেঁথে থাকবে।
অত্র আহাদনামা পাঠ করে মুরদাদের রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করলে আল্লাহপাক মৃতব্যক্তির আযাব মাফ করে দিবেন এবং তাকে বেহেশতবাসীদের নামের তালিকাভুক্ত করবেন।
দৃঢ় বিশ্বাস এবং একান্ত মহব্বতের সাথে অত্র আহাদনামা পাঠকারীর চেহারা আল্লাহপাক কিয়ামতের দিনে মহান ব্যক্তিবর্গের চেহারার ন্যায় উজ্জ্বল করে দিবেন এবং যেমনটি উজ্জ্বল হয়ে থাকে ১৪ই (চৌদ্দ) তারিখ রাতের চন্দ্রের নির্মল স্নিগ্ধ শীতল আলোকরশ্মি। লোকে তা দেখে বলাবলি করবে, এ ব্যক্তি হয় কোন মর্যাদাশীল নবী, না হয় ফেরেশতা অন্যথায় আল্লাহর কোন মহান বন্ধুবরেরই চেহারা হবে! এ সময়ে একজন ফেরেশতা এসে তাহাদের ভুল ধারণা শোধরিয়ে বলবেন, তারা আর কেউ নন, ওরা হলেন দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে আহাদনামার পাঠকারী সম্মানিত ব্যক্তিবৃন্দ।
আহাদনামার রচনা বিভিন্ন হাদীছে বিভিন্ন প্রকারে দেখা যায়। কোনটি সুবৃহৎ কোনটি অতিক্ষুদ্র। তবে সবগুলির উদ্দেশ্য ও রচনা ভক্তি প্রায় একই ধরনের। মূল অর্থের মধ্যে বিশেষ কোনও ফাঁক জোক নাই। সবগুলির অর্থই প্রায় এক। কেবল শব্দের আড়ম্বর ও বাক্য-বিন্যাসের ব্যবধান মাত্র।
ইহাদের মধ্যে যেইটি বহুল প্রচারিত, সর্বজনমান্য এবং অকাট্য প্রমাণ্য সেটিই সংগ্রহ করা হয়েছে।
যে কোন উদ্দেশ্য এবং রোগের বেনাকাত ‘ইসমে আজম’
==========
বেনাকাত অর্থাৎ নোকতাবিহীন অর দ্বারা গঠিত আল্লাহর নামের শব্দাবলী। যেমন الله الصمد (আল্লাহুস সামাদ) ইহাকে বহু ওলামাগণ ইসমে আজম বলেছেন ।
ইসমে আজমের মর্তবা সম্পর্কে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে বিশেষ একটি আমলের উদ্দেশ্যে পুন: উল্লেখ করা হল। বেনাকাত ইসমে আজমটির চিল্লার উদ্দেশ্য হাছিল এবং মুক্তির জন্য বিশেষ উপকারী। তা আমলের জন্য কোন একটি স্থান নির্দিষ্ট করে নিতে হবে। অতঃপর একাধারে ৪০ (চল্লিশ) দিন প্রতি রাত্রে এশার নামাযের পর ১১০০০ (এগারো হাজারবার) করে উক্ত ইসমটি সম্ভব হলে এক বৈঠকেই পাঠ করে শেষ করবে। ইসমটির আমলের প্রথমে ও পরে ১১বার করে দরূদশরীফ পাঠ করে নিতে হবে। এ প্রকার আমল করতে পারলে ইনশাআল্লাহ তার যাবতীয় নেক উদ্দেশ্য সফল হবে। যাবতীয় রোগ হতে মুক্তি লাভ করবে।
আল্লামা হাজী মুহাম্মদ জরদার খান (রহ.) উক্ত ইসমে আজমটির ব্যক্তিগত আমলের উল্লেখ করে বলেন- ইহার আমল আমি বহুবার করে আশাতীত ফল লাভ করেছি। তা একন্তভাবে পরীতি বিশেষ কার্যকরী ও ফলপ্রসূ তদবীর।
দোয়া কবুলের সহজ পন্থা
==========
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদা আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মসজিদে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি নামায পড়ছিলেন এবং নামাযের পর বলছিলেন-
اللهم انى اسئلك بان لك الحمد لا اله الا انت الحنان المنان بديع السموت والارض ياذا الجلال والاكرام يا حى ياقيوم اسئلك-
অর্থাৎ- খোদা আমি তোমার নিকট সওয়াল করি এবং জানি যে- তোমারই জন্য প্রশংসা, তুমি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তুমি বড় দয়ালু, বড় দাতা, আসমান ও জমিনের বিনা নমুনায় সৃষ্টি করেছ। হে মহত্ত্ব ও সম্মানের অধিকারী, হে চিরঞ্জীব। হে প্রতিষ্ঠাতা আমি তোমার নিকট সওয়াল করি।
তখন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- সে আল্লাহকে তাঁর ইসমে আজমের সাথে ডাকল ইহা দ্বারা যখন তাঁকে ডাকা হয় উহাতে তিনি সাড়া দেন এবং যখন তার নিকট সওয়াল করা হয় উহা তিনি দান করেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ)।
উদ্দেশ্য সফলের আমল
==========
রাতে শোয়ার পূর্বে কোন একটি ঘর কি কোঠা নির্দিষ্ট করে একা একা অন্ধকারে নিম্নবর্ণিত আয়াতেপাকটি ১০০ (একশত)বার করে পাঠ করবে। আয়াতেপাক পাঠের আগে ও পরে ১১বার যে কোন ধরনের দরূদশরীফ পাঠ করে নিবে এ প্রকার একাধারে ৪০ দিন পাঠ করবে।
খোদার মর্জিতে এ প্রকার আমলকারী তার যাবতীয় রোগ-ব্যধি হতে মুক্তি পাবে এবং যে কোন উদ্দেশ্য সফল হবে। প্রকাশ থাকে যে, আমলকালীন, যে জন্য আমল করা হচ্ছে তার নিয়্যত মনে মনে অবশ্য রাখতে হবে।
لا اله الا انت سبحانك انى كنت من الظالمين- فستجبنا له ونجينه من الغم وكذلك ننجى المؤمنين
আল্লামা জরদার খান (রহ.) বলেন, তিনি এ বিষয়ে বহুবার আমল করিয়াছেন এবং সুফল পেয়েছেন।
দোয়ায়ে না’দে আলী ও তার ফজিলত
==========
بسم الله الرحمن الرحيم ناد عليا مظهر العجائب تجده عونالك فى النوائب كل هم وغم سينجلى بنبوتك يا رسول الله وبولايتك ياعلى ياعلى ياعلى
উচ্চারণ: বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, নাদে আলীয়ান মাজহারুল আজাইবে তাজিদুহু আওনাল লাকা ফিননাওয়াইবে কুল্লা হাম্মিন ওয়া গাম্মিন ছা ইয়ানজালি বিনাবুওয়াতিকা ইয়া রাছুলাল্লাহী ওয়া বিবেলাইয়াতিকা ইয়া আলীউ ইয়া আলীউ ইয়া আলীউ।
নাদে আলীর আমল যারা করবেন অবশ্যই পূর্বে ও পরে এগারোবার দরূদশরীফ পাঠ করবেন।
ইমামে আ’জম আবু হানিফা রাদিয়াল্লাহু আনহুর উস্তাদ ও পীর হযরত ইমাম জাফর ছাদেক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নাদে আলী দোয়ার আমল করার মধ্যে অনেক উপকার রয়েছে।
নাদে আলী পাঠ করার নিয়মাবলী ও উপকারিতা
==========
১। শত্রুকে তাবে বা অধিন করার ইচ্ছা থাকলে (শত্রুর) তাছাব্বুর বা আকৃতির খেয়াল করে ১৮ বার পড়তে হবে।
২। কোন কঠিন সমস্যাকে ত্বরান্বিতভাবে আয়ত্বে আনতে চাইলে দুই রাকাত নফল নামায হাজতের নিয়তে পড়বেন,
প্রত্যেক রাকাতে সূরায়ে ফাতেহার পর তিনবার সূরা এখলাছ পাঠ করে নামায শেষ করে তার সওয়াব শেরে খোদা হযরত আলী মুরতাদা মুশকিল কোশা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর রূহ মোবারকে বখশে দিবেন।
ইহার পর ৭০বার নাদে আলী পড়বেন। ইনশাআল্লাহ ঐদিনই কমিয়াবি হাসিল হবে। একাধারে তিনদিন এরূপ আমল করবেন।
৩। শত্রু এবং অপরের উন্নতি দেখতে পারে না এমন ব্যক্তিবর্গের খারাপ সমালোচনা বন্ধ করার নিয়তে প্রত্যেক নামাযের পর দশবার পাঠ করবেন।
৪। প্রত্যেক জটিল সমস্যা নিরসনের জন্য দুই রাকাত নফল নামায আদায় কারার পর দণ্ডায়মান অবস্থায় নাদে আলী দোয়া ৪৪বার পড়বেন।
৫। লোকজনের মহব্বত লাভ করার জন্য উক্ত দোয়া ৪৭বার পাঠ করে নিজ হাতের তালুতে ফুঁক দিয়ে সারা শরীরে হাত মুছে নিবেন, যে ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করবেন সে ব্যক্তিই বাধ্য হবে।
৬। এই দোয়া ১৫বার পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে জ্বিন, আছিব, ইত্যাদির আছরপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপর পানি ছিটিয়ে দিলে মুক্তিলাভ করবে।
৭। বিপদগ্রস্ত ও চিহ্নিত ব্যক্তি প্রতিদিন একহাজার মর্তবা পবিত্র অবস্থায় পাঠ করলে আল্লাহর ফজল ও করমে সমস্ত চিন্তা দুরিভূত হবে।
৮। পর্যাপ্ত পরিমাণে ধনসম্পদ ও ইজ্জত হুরমত লাভ করতে চাইলে নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে ৫০০বার এই দোয়া পড়লে খোদার মর্জিতে কৃতকার্য হবে।
৯। পর্যাপ্ত পরিমাণ ধনসম্পদ ও ইজ্জত হুরমত অর্জন করতে চাইলে প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর এই দোয়া ৯১বার পাঠ করলে কিছুদিনের মধ্যেই কৃতকার্য হতে পারবে।
অবশ্যই মরণপর্যন্ত এই আমল ঠিক রাখা বাঞ্ছনীয়, কিন্তু সময় ও জায়গা ঠিক রাখতে হবে। অপারগ অবস্থায় কোথাও সফরে গেলে জায়নামায সঙ্গে রাখা বিশেষ প্রয়োজন।
১০। হুজুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিদার বা দর্শন লাভ করতে চাইলে পরিপূর্ণ পবিত্রতার সাথে এশার নামাযের পর নাদে আলী ৫০০বার এবং পূর্বে ও পরে একশতবার দরূদশরীফ পাঠ করে অযুর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়বেন। ইনশাআল্লাহুল আজিজ এ রাতেই নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র দিদার লাভ করতে পারবে। (আমালে রেজা ও শময়ে শবিস্তানে রেজা দ্র.)
এছাড়া নাদে আলী দোয়ার আরও উপকারিতা রয়েছে।
নাদেআলী শরীফের খতম আদায় করার নিয়ম
==========
১ম খতম ১২০০০ (বারহাজার) বার
২য় খতম ৬০০০ (ছয়হাজার) বার
৩য় খতম ৩০০০ (তিনহাজার) বার
৪র্থ খতম ১৫০০ (পনেরশত) বার
মোট= ২২৫০০ (বাইশহাজার পাঁচশত) বার।
খতম আরম্ভ করার পূর্বে ১১বার দরূদশরীফ পাঠ করে নাদে আলী পড়তে আরম্ভ করবেন এবং পড়া বন্ধ করার সময়ও ১১বার দরূদশরীফ পড়বেন। তারপর যতবার পাঠ করলেন তা লিখে রাখবেন। এভাবে হিসেব করে উপরোক্ত চারটি খতম আদায় করবেন।