সুন্নত ইতিকাফ এর গুরুত্ব ও ফযীলত

 সুন্নত ইতিকাফ এর গুরুত্ব ও ফযীলত 

রমযানের ত্রিশ দিনের শেষ দশদিন অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত। রমযানের একটি বিশেষ আমল হচ্ছে সুন্নত ইতিকাফ। আর তা আদায় করার সময় এটি। রমযানের খায়র-বরকত লাভে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর লাভ করার সম্ভাবনাও বেশি। তাই নবীজী (ছাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াছাল্লাম) রমযানের শেষ দশকে মসজিদে ইতিকাফ করায় বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। এজন্য রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়াহ। সুতরাং আগে থেকে পরিকল্পনা করে আমরা ইতিকাফ করার চেষ্টা করব। তেমনি মহল্লার মসজিদে যেন ইতিকাফ হয় সে বিষয়ে আগে থেকে আলোচনা করব এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করব।

 


নবীজী (ছাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াছাল্লাম) সর্বদা রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন

নবীজী প্রতি বছর অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহা) বলেন---


أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ، حَتّى تَوَفّاهُ اللهُ عَزّ وَجَلّ، ثُمّ اعْتَكَفَ أَزْوَاجُهُ مِنْ بَعْدِهِ.


(অনুবাদ :) নবী কারীম (ছাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াছাল্লাম) ইন্তিকালের আগ পর্যন্ত রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। নবীজীর পর তাঁর স্ত্রীগণও ইতিকাফ করতেন।  [সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৭২; সহীহ বুখারী, হাদীস ২০২৬]


হযরত আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) বলেন---


كَانَ يَعْرِضُ عَلَى النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ القُرْآنَ كُلّ عَامٍ مَرّةً، فَعَرَضَ عَلَيْهِ مَرّتَيْنِ فِي العَامِ الّذِي قُبِضَ فِيهِ، وَكَانَ يَعْتَكِفُ كُلّ عَامٍ عَشْرًا، فَاعْتَكَفَ عِشْرِينَ فِي العَامِ الّذِي قُبِضَ فِيهِ.


(অনুবাদ :) জিবরীল প্রতি বছর নবী (ছাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াছাল্লাম) কে একবার কুরআন শোনাতেন। কিন্তু যে বছর তাঁর ওফাত হয় সে বছর দুই বার শোনান। নবীজী প্রতি বছর দশ দিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু ইন্তেকালের বছর তিনি বিশ দিন ইতিকাফ করেন।  [সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৯৯৮, ২০৪৪]

 

লাইলাতুল কদর প্রাপ্তিতে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম

পূর্বে যেমনটি উল্লেখ হয়েছে, নবী কারীম (ছাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াছাল্লাম) রমযানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করতে বলেছেন। কদরের খায়র ও বরকত লাভ করার ক্ষেত্রে রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফের গুরুত্ব অনেক। ইতিকাফকারী অন্যান্য আমল করতে না পারলেও শুধু মসজিদে অবস্থান করাটাই একটা বড় আমল। সে যতক্ষণ মসজিদে থাকবে ততক্ষণ তার সওয়াব লেখা হতে থাকবে। আর অন্যান্য আমলের জন্য তো ভিন্ন সওয়াব আছেই। তাই শুধু মসজিদে অবস্থান করার মাধ্যমেই সে সহজে কদরের ফযীলত লাভ করতে পারছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad