ইতালির ক্যালাব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ; লাগবে না টিউশন ফি
স্নাতকোত্তরে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে ইতালির ক্যালাব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের টিউশন ফি প্রদান করতে হবে না। এছাড়াও বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা, খাবারে ভর্তুকি ও মাসিক উপবৃত্তি প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশিসহ যে কোনো জাতীয়তার শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ১৪ এপ্রিল।
এ স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীদের সকল খরচ বহন করা হবে। মোট ১২০ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে এ স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। স্নাতকোত্তরের সময়সীমা ২ বছর।
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির হেলথ বায়োটেকনোলজি, পুষ্টি বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিদ্যা, ফিন্যান্স এন্ড ইনস্যুরেন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স এন্ড কম্পিউটার সায়েন্স, এনভারনমেন্টাল এবং টেরিটোরিয়াল সেফটি ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিক্স এবং অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং: স্মার্ট সেন্সিং, কম্পিউটিং এন্ড নেটওয়ার্কিং বিষয়ে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়ন করতে পারবেন।
ক্যালাব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইতালির রেন্ডে অবস্থিত একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে ছিলেন বেনিয়ামিনো আন্দ্রেয়াত্তা, জর্জিও গাগ্লিয়ানি, পিয়েত্রো বুচি এবং পাওলো সিলোস লাবিনি।
সুবিধাসমূহ:
* টিউশন ফি মওকুফ করা হবে।
* থাকার ব্যবস্থা।
* খাবারে ভর্তুকি প্রদান করা হবে।
* প্রতি মাসে ২ হাজার ৫০০ ইউরো মাসিক উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় দুই লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা।
আবেদনের যোগ্যতাসমূহ:
* আবেদনকারীকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশনের জন্য আবেদন করতে হবে এবং অফার লেটার পাওয়ার পরেই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে।
* ইংরেজি দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। আইএলটিএস এ ন্যূনতম ৬.৫ স্কোর থাকতে হবে।
* আবেদনকৃত বিষয়ের প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
* আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং ছবি।
* একাডেমিক পেপারস।
* পার্সোনাল স্টেটমেন্ট।
* রেফারেন্স লেটার দুইটি।
* আবেদনকারীর সিভি।
* আইএলটিএস একাডেমিক স্কোর।
* অন্যান্য পেপারস (যদি থাকে)।
আবেদন পদ্ধতিঃ
আবেদনকারীকে প্রথমে ইউনিভার্সিটি বরাবর এডমিশন এর জন্য আবেদন করতে হবে। এডমিশন পাওয়ার পরই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে ও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।
সুত্র: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস