বিয়ে সম্পর্কিত কুরআন এর কয়েকটি আয়াত ও এর ফজিলত
১. _‘যে ব্যক্তি আমার তরিকাকে ভালবাসে সে যেন আমার সুন্নাতের উপর চলে, আর আমার সুন্নাতগুলাের মধ্যে একটি হল বিয়ে।’ (1)
২. _‘চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কোন মহিলাকে বিয়ে করা যায় (অর্থাৎ বিয়ে-শাদীতে এগুলাের গুরুত্ব দেওয়া উচিত), ১. সম্পদ, ২. বংশ-কৌলিণ্য, ৩. সৌন্দর্য এবং ৪. দ্বীনদারি। তুমি দ্বীনদারিকে প্রাধান্য দিবে।’ (2)
৩. _‘তােমাদের কেউ যখন বিয়ে করে তখন শয়তান বলে, হায় হায়! আদম-সন্তানটি আমার কাবু হতে তার দুই তৃতীয়াংশ দ্বীন সুরক্ষিত করে নিল!’ (3)
৪. _‘যে ব্যক্তি এতটুকু সম্পদের মালিক যে, বিয়ে করতে পারে। কিন্তু বিয়ে করল না, সে আমার দলভূক্ত নয়। (গুনাহ সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা না হলে সমস্যা নেই)’ (4)
বিয়ে সম্পর্কে সিদ্দীকে আকবরের বাণী
আমীরুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদুনা সিদ্দীকে আকবর رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُُ বলেছেন: “ আল্লাহু তা'আলা যিনি তােমাদেরকে বিয়ে করার আদেশ দিয়েছেন, তােমরা তা পালন করাে। তিনি যে ঐশ্বর্যশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা তিনি পূরণ করবেন। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন:
اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِہِمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ﴾ (5)﴿
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: “ যদি তারা অভাবগ্রস্থ হয়, তবে আল্লাহ্ তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন আপন অনুগ্রহ থেকে। ” (6)
উল্লিখিত আয়াতটির টীকায় হযরত সদরুল আফাজিল সায়্যিদুনা মাওলানা মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন মুরাদাবাদী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ খাযায়িনুল ইরফানে লিখেছেন: “ অভাবমুক্ত দ্বারা উদ্দেশ্য তৃপ্তিবােধ। কারণ এই তৃপ্তিবোেধই উত্তম অভাবমুক্ততা, যা পরিতৃপ্ত ব্যক্তিকে চিন্তা ভাবনা ও দ্বিধাসংশয় থেকে মুক্ত রাখে। অথবা অভাবমুক্ততা দ্বারা উদ্দেশ্য হলাে যথেষ্টবােধ, যেমন: ‘এক জনের খাবার দুই জনের জন্য যথেষ্ট’ যা হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে। অথবা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের রিযিক এক সাথে জুটে যাওয়া। কিংবা বিয়ে করার বরকতে স্বচ্ছলতা আসা। (7)
তথ্যসূত্র:
[1] (শুয়াবুল ঈমান: ৪/৩৮১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৫৪৭৮)
[2] (বুখারী: ৩/৪২৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৫০৯০)
[3] (আল ফিরদৌস বিমাছুরিল খাত্তাব, ১/৩০৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১২২২)
[4] (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৩/২৭০ পৃষ্ঠা)
[5] (সূরা নূর: আয়াত- ৩২)
[6] (তাফসীরে ইবনে আবি হাতেম: ৮ম খন্ড, ২৫৮২ পৃষ্ঠা)
[7] (খাযাঈনুল ঈরফান: সূরা নূর, ৩২ নং আয়াতের ব্যাখ্যায়)