মার্ক জুকারবার্গ: শূন্য হতে বিলিয়নিয়ার এক সফল নায়কের গল্প
আমরা জানি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক এই জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক সাইট এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন মার্ক জুকারবার্গ। আধুনিক যুগে মার্ককে চিনেন না এমন কাউকে খুজে পাওয়া অসম্ভাব প্রায় তিনি এমনই একজন সফল ব্যাক্তি যিনি মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন।
একজন ব্যাক্তির স্বপ্ন পূরণ আর শ্রম দেওয়ার মানসিকতা থাকলে সবই সম্ভাব বয়স কোন বেপার না এমনই এক দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন মার্ক জুকারবার্গ। তিনি একজন অ্যামেরিকান প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার বর্তমানে তিনি ফেসবুকের প্রধান কর্মকর্তা। মাত্র ২৬ বছর বয়সে মার্ক টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টান্তে বছরের সেরা ব্যাক্তিত হিসাবে নির্বাচিত হয় ২০১০ সালে মার্ককে নিয়ে একটি ছবি বের করা হয়, যার নাম দা সৌশ্যাল নেটওয়ার্ক।
যেখানে তিনি তার জীবন ও ফেসবুক আবিষ্কার তুলে ধরেছেন ২০১৬ সালে তিনি ফোব্রসের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ধনী মানুষের মধ্যে ৫ নাম্বারে অবস্থান করেন। ২০১৮ সালে তার সম্পত্তির পরিমাণ ৬৬.৪ বিলিয়ন ডলার আমাদের এই গল্পে থাকছে কিভাবে সপ্নকে সার্থক করতে হয় এবং বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়।
যুক্ত রাষ্টের এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও সফটওয়্যার ডেভেলপারের পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ। তিনি ১৯৮৪ সালে ১৪ই মে জন্ম গ্রহণ করেন অ্যামেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে তার বাবা হলেন একজন ডেন্টিস্ট ও মা হলেন সাইকোলজিস্ট। চার ভাই বোনের মধ্যে তিনিই হলেন বড় মার্ক প্রাথমিক স্কুল থেকেই প্রোগ্রামিং খুব আগ্রহী ছিল মাধ্যমিকে পড়ার সময়ই তিনি শখের বসে সফটওয়্যার বানাতে শুরু করেন। প্রোগ্রামিং এ খুব আগ্রহ থাকায় তার বাবা তাঁকে ১৯৯০ সালে তাঁকে আটারি বেসিক প্রোগ্রাম শেখানোর জন্য একজন শিক্ষক রেখে দেয়।
মার্কের বয়স যখন ১২ বছর তখন তিনি একটি ম্যাসেজিং সফটওয়্যার তৈরি করে যার নাম দেয় জাকনেট। যে বয়সে ছেলেরা গেমস খেলে আর মার্ক সে বয়সে তৈরি করে এবং একটি মিউজিক প্লেয়ারও বানায় সে।
১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত মার্ক Ardsley high school এ অধ্যায়ন করে ২০০২ সালে তিনি হার্ভার্ড কলেজে ভর্তি হন। তিনি আবার course match নামে একটি সফটওয়্যার চালু করে এটি শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় সাহায্য করে। মার্ক হার্ভার্ড দ্বিতীয় বছর চলাকালিন ২০০৩ সালে তিনি ফেচম্যাস তৈরি করে এবং এতে কলেজের ৯টি শাখার শিক্ষার্থীদের ছবি ব্যবহার করেন তিনি দুইটি ছবি পাশা-পাশি দিয়ে ভোট দিতে বলেন কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ। সেখানে মাত্র ৪ ঘন্তায় ৪৫০ ভিজিটর ২২ হাজার ছবিতে অনলাইনে ভোট দিয়ে ফেচম্যাস অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
এটা থেকে অনুপ্রানিত হয়ে ২০০৪ সালে নতুন কোড লেখা শুরু করে ফেরুয়ারিতে হার্ভার্ডের ডরমিটরিতে ফেসবুক উদ্ভাবন করেন। তার পরে ফেসবুক ব্যবহার কারিদের সংখ্যা দারায় ১ মিলিয়নের বেশি। পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেয় এর উপরেই তিনি তার সকল সময় দিয়ে কাজ করবেন কিছু দিন পরেই তিনি হার্ভার্ড থেকে ড্রপ নিয়ে বন্ধুদের সাথে কাজ শুরু করেন। ২০০৫ সালের আগস্টে তিনি দা ফেসবুক নাম পরিবর্তন করে নাম দেয় ফেসবুক।
ফেসবুক প্রথমে হার্ভার্ড ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হলেই পরে ২০০৫ সালে সবার জন্য করে দেয়। ফলস্বরূপ তার ব্যবহার কারিদের সংখ্যা দারায় ৯ মিলিয়নের বেশি। ফেসবুকের উন্নতি দেখে বিভিন্ন কোম্পানি কিনে নেওয়ার জন্য বলে কিন্তু মার্ক সবাইকে না বলে দেয়। ধিরে ধিরে ফেসবুক হয়ে উঠে সামাজিক যোগাযোগ এর একটি অন্যরকম মাধ্যম এবং এটা দিয়েই হয়ে জান জনপ্রিয়।
তিনি বলেন যদি আমি এই কাজটা না করতাম তাহলে অন্য কেউ কাজটা করতো। যদি আমি ভালবাসা দিয়ে কাজটা না করতাম তাহলে হয়তো এতো সফলতা পেতাম না,, আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম সেই সপ্নে আস্থা ছিল। আর আমি কাজটা কে ভালবাসতাম ফেসবুক বিফলে গেলেও আমার ভালবাসাতা থাকতো। জিবনে একটি স্বপ্ন দেখতে হয় তাঁকে ভালবেসে আগলে রাখতে হয়।
**অন্য একটি তথ্য থেকে জানা যায় মার্ক জুকারবার্গের গার্লফ্রেন্ড তার সাথে ব্রেকআপ করে নেয় এবং তাঁকে সকল সৌশ্যাল সাইট থেকে ব্লক করে দেয়, কিছু দিন পরে সে ব্যাক্তি পৃথিবীর সব থেকে বড় সৌশ্যাল সাইট তৈরি করে।
মার্ক বলেন আজকে তুমি কোথায় সেটা তোমার অতিতের কর্মের ফল, কাল তুমি কোথায় পোঁছাবে সেটা তোমার আজকের কর্মের ফল।
কিসের এতো দুঃখ তোমার যার জন্য নিজের জীবন নিঃস্ব করে দিচ্ছো, সে কি ভুলেও তোমার খবর নেয়, না কি তুমি তার সপ্নে যাও। তাই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসো, বাহিয়ের পুরো পৃথিবীটা মন খুলে দেখ, খোলা হাওয়ায় চোখটা বন্ধ করে নিঃশ্বাস নিতে থাকো, দেখবে যে তোমার বলতে তুমিই আছো, আর কেউ নেই। এই পৃথিবীতে সবাই স্বার্থপর, কেউ কারো না। আজ তুমি ভাল জায়গায় গেলে তারা তোমাকে দেখে আফসোস করবে, আর না যেতে পারলে তুমি তাদের কে দেখে আফসোস করবা।
এখন তুমিই বলো কি করতে চাও..?